শেকলে বাঁধা রাখাল বালক by জাকারিয়া হৃদয়
মহিষকে ঠিকমতো ঘাস না খাওয়ানোর ‘অপরাধে’ গেরস্ত মালিকের নির্মম পিটুনির শিকার হয় রাখাল বালক রিয়াজ (১৪)। সেই ধকল সইতে পারেনি ওর ছোট্ট শরীর। নির্যাতনের প্রভাব পড়ে ওর মনেও। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ছেলেটি। ওর দরিদ্র বাবা শাহ আলম চিকিৎসা করাতে পারেনি। অস্বাভাবিক আচরণে বাধ্য হয়ে দুইমাস ধরে ওকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের দিনমজুর শাহ আলম বুধবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে শেকলে বাঁধা ছেলে রিয়াজকে নিয়ে আসেন।
তিনি অভিযোগ করেন, দারিদ্র্যের কারণে গত কার্তিক মাসে একই ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর দফাদারের বাড়িতে তিনি ছেলে রিয়াজকে মহিষ রাখার কাজে দেন।
রিয়াজের সামান্য দুষ্টুমি বা গরু-মহিষের ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর দফাদার তাকে মারধর করতেন। সর্বশেষ গত মাঘ মাসে সামান্য অপরাধে প্রকাশ্যে তাকে জুতাপেটা করেন জাহাঙ্গীর।
এতে রিয়াজ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এপরই রিয়াজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে সে পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে দু’মাস ধরে শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। শেকল খুলে দিলে সে ঘর থেকে পালিয়ে যেত।
তিনি জানান, গত ৩০ মার্চ রিয়াজকে বরিশাল নিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. সরোজ কুমার দাসকে দেখানো হয়। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না শাহ আলম।
তিনি ছেলেটির এ অবস্থার জন্য দায়ী জাহাঙ্গীর দফাদারের বিচার দাবি করেন।
ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন প্রশাসক অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন জানান, রিয়াজকে মারধরের কথা তিনি শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, দারিদ্র্যের কারণে গত কার্তিক মাসে একই ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর দফাদারের বাড়িতে তিনি ছেলে রিয়াজকে মহিষ রাখার কাজে দেন।
রিয়াজের সামান্য দুষ্টুমি বা গরু-মহিষের ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর দফাদার তাকে মারধর করতেন। সর্বশেষ গত মাঘ মাসে সামান্য অপরাধে প্রকাশ্যে তাকে জুতাপেটা করেন জাহাঙ্গীর।
এতে রিয়াজ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এপরই রিয়াজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে সে পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে দু’মাস ধরে শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। শেকল খুলে দিলে সে ঘর থেকে পালিয়ে যেত।
তিনি জানান, গত ৩০ মার্চ রিয়াজকে বরিশাল নিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. সরোজ কুমার দাসকে দেখানো হয়। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না শাহ আলম।
তিনি ছেলেটির এ অবস্থার জন্য দায়ী জাহাঙ্গীর দফাদারের বিচার দাবি করেন।
ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন প্রশাসক অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন জানান, রিয়াজকে মারধরের কথা তিনি শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
No comments