বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে-চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা
ঢাকার বাইরে, বিশেষ করে গ্রামের দিকে যে চিকিৎসকেরা কাজ করতে চান না, তা আমরা সবাই জানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো আলোচনায় বারবার এই বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আবার একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পল্লি এলাকায় চিকিৎসকদের উপস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তিনি জেলা সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দিয়েছেন। চিকিৎসকেরা উপস্থিত না থাকলে সিভিল সার্জনদের জবাবদিহি করতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই খবর যেদিন পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে, সেদিনই কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের একটি খবর ছাপা হয়েছে প্রথম আলো পত্রিকায়। চিকিৎসা না পেয়ে সেখান থেকে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। কারণ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই।
ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে চলে আসছে, তাতে এই পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে যাবে, এমন আশা করা যায় না। আশার কথা যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার মধ্যে রয়েছে এবং তিনি বিষয়টির ওপর অব্যাহতভাবে জোর দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে পরিস্থিতির পর্যায়ক্রমে উন্নতি হবে, সে আশা আমরা করতে পারি। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত রয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে উপস্থিতি এবং এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে প্রথমত চিকিৎসা প্রশাসনে দীর্ঘদিন ধরে যে দলীয় রাজনীতির প্রভাব কাজ করছে, তা দূর করতে হবে। দলীয় রাজনীতির সুযোগ নিয়েই অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে চিকিৎসা প্রশাসনকে মুক্ত করতে না পারলে অন্য উদ্যোগ খুব কাজে দেবে বলে মনে হয় না।
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আরও একটি বিষয় খুবই জরুরি, তা হচ্ছে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল। গ্রামাঞ্চলে বা প্রত্যন্ত এলাকায় এমন অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে চিকিৎসকদের পক্ষে নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা কঠিন। এ নিয়ে অনেক সময়, বিশেষ করে নারী চিকিৎসকেরা চরম সমস্যায় পড়েন। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে তাই চিকিৎসকদের আবাসনের দিকটিও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে হলে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ নিশ্চিত করার দিকেও জোর দিতে হবে। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের যে প্রতিবেদন প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে যেখানে কমপক্ষে চিকিৎসক প্রয়োজন ৮৭ জন, সেখানে বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ২৪ জন। গত কয়েক বছরে এই হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসককে প্রেষণে আনা হয়েছিল। গত ১৫ মার্চ মন্ত্রণালয় এক আদেশে তাঁদের প্রত্যাহার করে নেয়। এই চিকিৎসকদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছেন। একসঙ্গে এতজন চিকিৎসককে একটি হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করার আগে মন্ত্রণালয়ের চিন্তা করা উচিত ছিল, হাসপাতালটি কীভাবে চলবে। চিকিৎসা প্রশাসন যে যথাযথভাবে চলছে না, এটা তার বড় প্রমাণ।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে তাই সামগ্রিক বিবেচনায় দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে চলে আসছে, তাতে এই পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে যাবে, এমন আশা করা যায় না। আশার কথা যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার মধ্যে রয়েছে এবং তিনি বিষয়টির ওপর অব্যাহতভাবে জোর দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে পরিস্থিতির পর্যায়ক্রমে উন্নতি হবে, সে আশা আমরা করতে পারি। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত রয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে উপস্থিতি এবং এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে প্রথমত চিকিৎসা প্রশাসনে দীর্ঘদিন ধরে যে দলীয় রাজনীতির প্রভাব কাজ করছে, তা দূর করতে হবে। দলীয় রাজনীতির সুযোগ নিয়েই অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে চিকিৎসা প্রশাসনকে মুক্ত করতে না পারলে অন্য উদ্যোগ খুব কাজে দেবে বলে মনে হয় না।
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আরও একটি বিষয় খুবই জরুরি, তা হচ্ছে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল। গ্রামাঞ্চলে বা প্রত্যন্ত এলাকায় এমন অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে চিকিৎসকদের পক্ষে নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা কঠিন। এ নিয়ে অনেক সময়, বিশেষ করে নারী চিকিৎসকেরা চরম সমস্যায় পড়েন। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে তাই চিকিৎসকদের আবাসনের দিকটিও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে হলে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ নিশ্চিত করার দিকেও জোর দিতে হবে। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের যে প্রতিবেদন প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে যেখানে কমপক্ষে চিকিৎসক প্রয়োজন ৮৭ জন, সেখানে বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ২৪ জন। গত কয়েক বছরে এই হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসককে প্রেষণে আনা হয়েছিল। গত ১৫ মার্চ মন্ত্রণালয় এক আদেশে তাঁদের প্রত্যাহার করে নেয়। এই চিকিৎসকদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছেন। একসঙ্গে এতজন চিকিৎসককে একটি হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করার আগে মন্ত্রণালয়ের চিন্তা করা উচিত ছিল, হাসপাতালটি কীভাবে চলবে। চিকিৎসা প্রশাসন যে যথাযথভাবে চলছে না, এটা তার বড় প্রমাণ।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে তাই সামগ্রিক বিবেচনায় দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments