বনে স’ মিল, জানে না বনবিভাগ! by জাকারিয়া হৃদয়
বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স’ মিল স্থাপন নিষেধ। কিন্তু পটুয়াখালী উপকূলের বনাঞ্চলের মধ্যে বেশ কয়েকটি স’ মিলে নির্বিচারে চেরাই করা হচ্ছে বনের শত শত গাছ।
পটুয়াখালী জেলার একাধিক উপজেলায় এ কার্যক্রম চলে আসছে। প্রশাসনের চোখের সামনে দিনের পর দিন এ কাণ্ড চললেও অজ্ঞাত কারণে তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
এমনকি বনবিভাগের বক্তব্য, তারা বিষয়টি জানেই না!
সরকারি অনুমতি ছাড়া বনাঞ্চলের মধ্যে স’ মিল বসিয়ে গাছ চেরাইয়ের ঘটনা দেখে মনে হয় বন উজাড়ের অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাগর পাড়ের কলাপাড়া উপজেলার চান্দুপাড়া গ্রামে বাঁধের বাইরে স’ মিল স্থাপন করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাই সান্টু তালুকদার।
বনবিভাগ, ভূমি অফিস বা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো অনুমতি ও কাগজপত্র ছাড়া এ মিলে শতশত গাছ চেরাই করা হচ্ছে প্রতিদিন।
স’ মিলের চারদিকে ছইলা, কেওড়া ও বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিদ্যুৎ না থাকলেও জেনারেটর দিয়ে গাছ চেরাই করা হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে।
স্থানীয়রা জানায়, এখানকার বাঁধের বাইরের ছইলা ও কেওড়া গাছ কেটে স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা বাড়ির ফার্নিচার ও ঘর তৈরির কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে এ গাছ উজাড়।
তবে স’ মিল মালিক সান্টু তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, মিলটি তার মেয়ে জামাই মনসুর খাঁকে তিনি দিয়েছেন। মিলের লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে ছইলা ও কেওড়া ঘাছ চেরাই করার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
শুধু চান্দুপাড়ায় নয়; এমন দৃশ্য চোখে পড়বে কলাপাড়া উপজেলার একাধিক বনের মধ্যে। এমনকি কুয়াকাটা সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানেও এমন স’ মিল রয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত চেরাই হচ্ছে শত শত গাছ।
কলাপাড়া উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সদস্য মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, বনবিভাগের চোখের সামনে স’ মিলগুলোতে গাছ কাটলেও তারা মাসোহারার বিনিময়ে নীরব।
তিনি বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল বারেক মোল্লা বনাঞ্চলের মধ্যে স’ মিল বসিয়ে গাছ উজাড় করছেন কয়েক বছর ধরে। অথচ তার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলা বন কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াকুব আলী বাংলানিউজকে জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স’ মিল বসানো অবৈধ। এছাড়া স’ মিল বসানোর জন্য তাদের কাছে কেউ আবেদন করেনি।
তিনি জানান, তারা এ ঘটনা জানেন না। যদি কেউ বনের মধ্যে স’ মিল স্থাপন করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমনকি বনবিভাগের বক্তব্য, তারা বিষয়টি জানেই না!
সরকারি অনুমতি ছাড়া বনাঞ্চলের মধ্যে স’ মিল বসিয়ে গাছ চেরাইয়ের ঘটনা দেখে মনে হয় বন উজাড়ের অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাগর পাড়ের কলাপাড়া উপজেলার চান্দুপাড়া গ্রামে বাঁধের বাইরে স’ মিল স্থাপন করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাই সান্টু তালুকদার।
বনবিভাগ, ভূমি অফিস বা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো অনুমতি ও কাগজপত্র ছাড়া এ মিলে শতশত গাছ চেরাই করা হচ্ছে প্রতিদিন।
স’ মিলের চারদিকে ছইলা, কেওড়া ও বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিদ্যুৎ না থাকলেও জেনারেটর দিয়ে গাছ চেরাই করা হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে।
স্থানীয়রা জানায়, এখানকার বাঁধের বাইরের ছইলা ও কেওড়া গাছ কেটে স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা বাড়ির ফার্নিচার ও ঘর তৈরির কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে এ গাছ উজাড়।
তবে স’ মিল মালিক সান্টু তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, মিলটি তার মেয়ে জামাই মনসুর খাঁকে তিনি দিয়েছেন। মিলের লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে ছইলা ও কেওড়া ঘাছ চেরাই করার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
শুধু চান্দুপাড়ায় নয়; এমন দৃশ্য চোখে পড়বে কলাপাড়া উপজেলার একাধিক বনের মধ্যে। এমনকি কুয়াকাটা সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানেও এমন স’ মিল রয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত চেরাই হচ্ছে শত শত গাছ।
কলাপাড়া উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সদস্য মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, বনবিভাগের চোখের সামনে স’ মিলগুলোতে গাছ কাটলেও তারা মাসোহারার বিনিময়ে নীরব।
তিনি বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল বারেক মোল্লা বনাঞ্চলের মধ্যে স’ মিল বসিয়ে গাছ উজাড় করছেন কয়েক বছর ধরে। অথচ তার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলা বন কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াকুব আলী বাংলানিউজকে জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স’ মিল বসানো অবৈধ। এছাড়া স’ মিল বসানোর জন্য তাদের কাছে কেউ আবেদন করেনি।
তিনি জানান, তারা এ ঘটনা জানেন না। যদি কেউ বনের মধ্যে স’ মিল স্থাপন করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments