সময়ের প্রতিবিম্ব-বিচার বিভাগের ওপর সাঁড়াশি আক্রমণ by এবিএম মূসা

অতীতকালের কথা। ব্রিটিশ শাসনের শেষ আর পাকিস্তানি আমলের শুরুতে জজ সাহেবদের দেখা পাওয়া ছিল দুষ্কর। তাঁদের সমাজ ছিল না, আত্মীয়-পরিজনের সচরাচর দেখা পেতেন না। তাঁরা সরকারি কর্মচারীদের মিলনস্থান অফিসার্স ক্লাবে যেতেন না। জেলা ‘ম্যাজিস্ট্রেট অ্যান্ড কালেক্টার’ ব্যতীত তাঁরাই শুধু মোটরগাড়ি ব্যবহার করতেন।


তাঁরা সেই গাড়িতে পেয়াদা সঙ্গে নিয়ে সকাল ১০টায় আদালতে যেতেন, বিকেলে বাসায় ফিরতেন। এই যাওয়া-আসার পথে অনেকে কৌতূহল নিয়ে তাঁর চেহারাটি উঁকি মেরে দেখতেন।
এমনই একজন জজ সাহেবের বাসাবাড়ির পাশে কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ে আমরা থাকতাম। আমার আব্বা ছিলেন বিচারিক হাকিম তথা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জজ সাহেব এত অসামাজিক কেন? আব্বা বলেছিলেন, জজ সাহেবদের বিচারকাজ যেন প্রভাবান্বিত না হয়, সেই জন্যই তাঁদের নিভৃতবাস। অনেক বছর পর যখন ঢাকায় সাংবাদিকতা শুরু করি, তখন প্রাদেশিক উচ্চ আদালত তথা হাইকোর্টের জজ সাহেবদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। দু-একটি সরকারি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে, কিন্তু অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠেনি। তবে অতি কাছাকাছি এসেছিলাম যাঁদের সঙ্গে তাঁরা হচ্ছেন, বিচারপতিরা সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, মোহাম্মদ হোসেন ও জাস্টিস কাইয়ানি। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তাঁদের সম্মেলন ও প্রীতিভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এই কারণে তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্য গড়ে উঠলেও সম্মানীয় দূরত্ব বজায় রাখতাম।
আদালতের ভেতরে-বাইরে তাঁদের বা অন্য বিচারকদের নিয়ে বিতর্ক দূরে থাকুক, আলোচনাও হতো না। বহু বছর পরে আজ সেই বিচারকদের সুদূর নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের অবতারণা হয়েছে। বিতর্কের বিষয়টিও অদ্ভুত, তাঁরা আদালত পরিচালনা ও বৈচারিক কার্যক্রমে সর্বময় ক্ষমতাধারী কি না। দ্বিতীয়ত, তাঁদের জবাবদিহি থাকা প্রয়োজন কি না, থাকলে কার কাছে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এই বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থার তিনটি অঙ্গের দুটি, আইনসভা ও বিচার বিভাগ। প্রশ্ন উঠেছে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কে স্বাধীন, সংসদ নাকি বিচার বিভাগ, কে অধিক ক্ষমতাধারী। এই বিতর্কে তাঁদের ওপর সাঁড়াশি আক্রমণ চলছে। এই বিতর্কটি ও আক্রমণ কেন, উদ্দেশ্য কী, তা আমার বোধগম্য নয়। তবে একটি বিষয় প্রতীয়মান হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী কার কোথায় অবস্থান, এ নিয়ে বিশেষ করে জবাবদিহি প্রশ্নে নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিচারপতি ও বিচারব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে। কারও কারও মতে কেন জানি বিচারপতিদের তটস্থ করে রাখা হচ্ছে। একটি টেলিভিশন টক শো আলোচনায় আমি বলেছিলাম, নির্বাহী, সংসদ ও বিচারব্যবস্থা—সবাই সমান স্থানে রয়েছেন। তবে ফার্স্ট এবং ইক্যুয়েল, সমানে সমান অবস্থানে থেকেও একটি ঊর্ধ্বতন অবস্থানে রয়েছে বিচারব্যবস্থা তথা জুডিশিয়ারি। কারণ, নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ উভয়কেই শেষ পর্যন্ত বিচারকদের দরবারে হাজির হতে হয়।
এই হাজিরা নিয়েই শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক বিতর্ক। একটি সংসদীয় কমিটি বিচারব্যবস্থায় গৃহীত একটি সিদ্ধান্তের জবাবদিহি চেয়েছে উচ্চতম আদালতের কাছে, এমনকি হাজিরা চেয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, তাঁদের জবাবদিহি সংসদের কাছে নয়, নিজেদের বিবেকের কাছে। অপরদিকে কমিটির সভাপতি বলেছেন, সবার জবাবদিহি জনগণের কাছে। সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিচারকদের সংসদের কাছে জবাবদিহি রয়েছে। যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।’ তারপর আছে, ‘এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।’ সুরঞ্জিতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, যেহেতু তাঁরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেহেতু জনগণের আয়ত্তাধীন ক্ষমতা তাঁরাই প্রয়োগ করবেন।’ এই যুক্তিতে বিচার বিভাগের তাঁদের কাছে জবাবদিহি রয়েছে।
সুরঞ্জিতের বক্তব্য মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু অনুচ্ছেদের উল্লিখিত বাক্যটির শেষাংশ হচ্ছে, ‘সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হবে।’ এখানেই চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণ প্রকৃতপক্ষে কার ওপর ন্যস্ত করেছে, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। জনপ্রতিনিধিরা সংসদে যে আইন করবেন, তা সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে যথাযথভাবে কার্যকর করেছেন কি না, তা নির্ধারণের বা যাচাইয়ের মাধ্যমে জবাবদিহিও করতে হবে। তা করবেন আদালত তথা বিচারকেরা, সার্বিকভাবে বিচার বিভাগ। সংসদ কোনো আইন করলে তা সংবিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তা বাতিল করার ক্ষমতা বিচারকদের তথা জুডিশিয়ারির আছে। শেষোক্ত ব্যবস্থায় বিচারকদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কিন্তু আদালতের কোনো রায় বা সিদ্ধান্ত সংসদ উল্টাতে পারে না। সংসদ হাকিম নাড়তে পারবে এমনকি সংসদের নিরাপদ ভবনের অভ্যন্তরে থেকে সমালোচনা করতে পারবে, হুকুম বজায় থাকবে।
আমার বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণিত হয়েছে পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়েও সংবিধানে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্যরা সামরিক শাসকদের অসাংবিধানিক পদক্ষেপ বাতিল করার সাহসী ভূমিকা নেননি। সার্বভৌম ক্ষমতার দাবিদারেরা সেই ক্ষমতাটি বিচারকদের তথা আদালতের কাঁধে চাপিয়েছেন। তাঁদের অক্ষমতার কারণটি হচ্ছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২(১-ক) অনুচ্ছেদ, যেখানে কতিপয় ধারার সংশোধনে গণভোটের কথা বলা হয়েছে। মনকে চোখ ঠারিয়ে লাভ নেই। জনগণের প্রতিনিধিরা জনগণের পরিবর্তে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কেন? কেন তাঁরা বিচারকদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙেছেন, নিজেদের দাবি করা সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে দুটি সংশোধনী সংসদে সংশোধন করে বাতিল করেননি কেন?
এর পরও তাঁরা বিচারকদের বিচারের জন্য, তাঁদের সংসদের কাছে জবাবদিহির বিধান করতে ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপিত করার দাবি জানিয়েছেন। বাহাত্তরের সংবিধানে এই অনুচ্ছেদে বিচারকদের অভিশংসনের ব্যবস্থা অর্থাৎ বিচারকদের বিচারের ক্ষমতা সংসদকে দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় সামরিক হুকুমনামায় সেই বিধানটি প্রতিস্থাপিত করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বিচারকদের বিচার করার বিধান করা হয়েছে। বর্তমান বিধান অনুযায়ী, এখন রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নালিশ জানাতে পারবেন। সংসদে তেমন কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই। অপরদিকে প্রশ্ন করা যায়, যে ‘সার্বভৌম’ সংসদের সদস্যরা বিচারকদের অভিশংসন করবেন, তাঁরা নিজেরা কি স্বাধীন? অনুচ্ছেদ ৭০ সংসদ সদস্যদের দলীয় বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। তাঁদের বিচার-বিবেচনা-বিবেক কেড়ে নিয়েছে। ধরা যাক, সংসদে একজন বিচারককে সত্য-মিথ্যা নানা অভিযোগ এনে অভিশংসন করা হলো। সেই অভিশংসনের ব্যাপারে স্বাধীন মতামত একজন সাংসদ দিতে পারেন? যদি কোনো বিচারকের কর্মপদ্ধতি বা সিদ্ধান্ত সঠিক হয়ও, দলীয় নেতা বা নেত্রী যিনি সংসদের নেতাও বটে, বেঠিক মনে করলে কোনো সদস্য কি আপন বিবেকের কাছে জবাবদিহি থাকা সত্ত্বেও ‘না’ বলতে পারবেন? দলীয় তথা সংসদে নিজ দলের নেতা-নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে সংসদে উপস্থিত থেকে হাত না ওঠালে, এমনকি অনুপস্থিত থাকলেও তিনি সদস্যপদ হারাবেন। তাহলে অভিশংসিত বিচারপতি যথাযথ নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন কি? আমি বিচারকদের বিচারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে সংসদে অভিশংসনের প্রস্তাব শর্ত সাপেক্ষে সমর্থন করব। শর্ত হচ্ছে, তার আগে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে কোনো অভিশংসনের যথার্থতার পক্ষে-বিপক্ষে রায় দেওয়ার পূর্ণ অধিকার ও আপন সিদ্ধান্ত প্রয়োগের পূর্ণ স্বাধীনতা সংসদ সদস্যদের দিতে হবে। নতুবা প্রতিস্থাপিত বিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কাউন্সিলেই বিচারপতির বিচার হওয়া উচিত, যেখানে যেকোনো বিচারক সদস্যের ‘হ্যাঁ বা না’ বলার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতির একটি সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের ক্ষুব্ধ করেছে, সেটি হচ্ছে আদালত পুনর্বিন্যাস। এ নিয়ে আইনি বা সাংবিধানিক মতামত দেওয়ার জ্ঞান আমার নেই। তাই আমি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রদত্ত হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের মতটি উদ্ধৃত করছি। তিনি সংবিধানের ১০৭ (৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন, ‘কোন কোন বিচারক লইয়া কোন বিভাগের কোন বেঞ্চ গঠিত হইবে এবং কোন কোন বিচারক কোন উদ্দেশ্যে আসন গ্রহণ করিবেন তাহা প্রধান বিচারপতি নির্ধারণ করিবেন।’ সংবিধানে প্রদত্ত প্রধান বিচারপতির ক্ষমতার প্রয়োগে আইনজীবীরা কেন ক্ষুব্ধ, তা সাধারণ বিচারপ্রার্থী অনুধাবন করতে পারছেন না। বরং কোন মামলা কে করবেন, সেই বিচারক নির্ণয়ে আইনজীবীদের অবস্থান, পছন্দ-অপছন্দের দাবি রহস্যে ঘেরা মনে হচ্ছে। প্রথম আলো বুধবারের সম্পাদকীয়তে বলেছে, ‘কোটারি স্বার্থে আঘাত লেগেছে।’ বিক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে বিচারপতিদেরও দলীয় ছাপ দেওয়ার অপচেষ্টাও বটে। আমরা জানি, আইনজীবীদের মধ্যে দুটি ভাগ রয়েছে। এক পক্ষ যা-ই করুন বা বলুন, অন্য পক্ষ তার বিপরীত অবস্থান নেন। অথচ এই একটি ক্ষেত্রে দেখা গেল, এক পক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করলেন, আরেক পক্ষ সভা করে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেন। প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ যখন ক্ষুব্ধ, তখন বুঝতে হবে প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সর্বশেষ, প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে প্রদত্ত একটি প্রজ্ঞাপনে আইনজীবীদের আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করতে হুঁশিয়ারি জ্ঞাপন করা হয়েছে। আমার প্রতিবেদনের শুরুতে বলেছিলাম, একসময় বিচারপতিরা লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতেন, এখন বলছি, সাম্প্রতিক কালে দ্বিমুখী ও ত্রিমুখী সাঁড়াশি আক্রমণে তাঁদের পুরোপুরি না হলেও নির্বাক থাকার ঘেরাটোপ থেকে আংশিক বেরিয়ে আসতে হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়। তাঁরা তো সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না, টেলিভিশনের মাইকের সামনে বক্তব্য দিতে পারেন না, সব বিচারক মিলে পাল্টা মিছিল করতে পারেন না, তাই প্রধান বিচারপতি শুধু একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা রক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই ধরনের প্রজ্ঞাপনটি কেন বহু আগে অতীতের কোনো প্রধান বিচারপতি জারি করেননি, সেই প্রশ্নটিই বরং করা যেতে পারে। প্রধান বিচারপতির দরজায় যখন একদল আইনজীবী লাথি মেরেছিলেন অথবা আদালত প্রাঙ্গণে বস্তি বসিয়েছিলেন, তখন তদানীন্তন প্রধান বিচারপতির বা বিচারালয়ের কোনো মুখপাত্র এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেননি কেন? অভিমান নিয়ে বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে বিনীতভাবে প্রশ্ন করছি, সাংবাদিক দুই কলম লিখলে ১০৮ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে আদালত অবমাননা মামলায় শাস্তি পান আর ‘অফিসার্স অব দ্য কোর্ট’ আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করলে আইনজীবীদের শুধু প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হুঁশিয়ার করে ছাড় দেওয়া হলো কেন?
আমার শেষ বক্তব্য, এমনিতেই আমাদের বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। বিচারব্যবস্থা-সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কীয় সব পদ্ধতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাছে আবেদন, আঘাতের পর আঘাত করে আদালত ও বিচার বিভাগকে ভেঙে চুরমার করে দেবেন না। বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিচার-জট খোলার যেসব সাহসিক পদক্ষেপ নিয়েছেন, অজিয়ান স্টেবল, বহুদিনের জমানো মামলায় আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করার, বিচারব্যবস্থা জনগণের সহজলভ্য করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সমর্থন না করুন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিরোধিতা করবেন না।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.