বুয়েটে অচলাবস্থা-ধর্মঘট নয়, আলোচনায় বসুন
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা রাজনীতির যে নোংরা খেলা দেখি, শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যস্ত হতে দেখি, তা থেকে অনেকটাই মুক্ত ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট। আন্তর্জাতিক শিক্ষা পরিমণ্ডলেও বুয়েট মোটামুটি একটি অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছিল। সম্ভবত বুয়েটের সেই ঐতিহ্য আর ধরে রাখা যাবে না।
কারণ, রাজনীতির নোংরা খেলা ক্রমেই এখানেও তার থাবা বিস্তার করছে। শিক্ষক সমিতির আহ্বানে ১২ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম। আরো কত দিন বন্ধ থাকবে তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন এ অবস্থা? এর ফলে শিক্ষার্থীদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তার দায়দায়িত্ব কে নেবে?
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বুয়েট শিক্ষক সমিতি বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ ও পরীক্ষার ফল পরিবর্তনসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে এ ধর্মঘট আহ্বান করেছে। একই সঙ্গে আরো কিছু দাবিও উত্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করার দাবিও রয়েছে। শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা এসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়া নিয়ে গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি এবং শিক্ষক সমিতি তাদের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। অবশ্য তাদের মূল অভিযোগ ও কিছু দাবিদাওয়ার সমাধান একান্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গৌণ। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের খোলামেলা আলোচনা এবং সমস্যা সমাধানের মানসিকতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। দুঃখজনক হলেও সত্য, তার পরিচয় এ পর্যন্ত আমরা কোনো পক্ষ থেকেই দেখতে পাইনি। শিক্ষক সমিতি যেসব দাবি ও অভিযোগ উত্থাপন করেছে, তার মধ্যে যেমন যুক্তি রয়েছে, তেমনি এসব ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেগুলোকেও অযৌক্তিক বলা যাবে না। আমরা সেই বিতর্কে যেতে চাই না। আমরা শুধু চাই, বর্তমান অচলাবস্থা যেন আর দীর্ঘায়িত না হয়, শিক্ষার্থীরা যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পাশাপাশি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বুয়েট যে ভাবমূর্তি ও ঐতিহ্য এখন পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তা রক্ষার দায়িত্বও বুয়েটের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের। আমরা চাই না, রাজনীতির নোংরা দিকগুলোর কবলে পড়ে এখানকার পরিস্থিতি ক্রমেই আরো অবনতির দিকে যাক। বলা বাহুল্য, তেমন ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে দ্রুত অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ নিন। প্রয়োজনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে অভিযোগগুলোর সত্যতা নিরূপণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। একই সঙ্গে শিক্ষক সমিতির প্রতিও আমাদের অনুরোধ রইল ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়টি আবার বিবেচনা করার জন্য।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বুয়েট শিক্ষক সমিতি বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ ও পরীক্ষার ফল পরিবর্তনসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে এ ধর্মঘট আহ্বান করেছে। একই সঙ্গে আরো কিছু দাবিও উত্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করার দাবিও রয়েছে। শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা এসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়া নিয়ে গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি এবং শিক্ষক সমিতি তাদের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। অবশ্য তাদের মূল অভিযোগ ও কিছু দাবিদাওয়ার সমাধান একান্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গৌণ। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের খোলামেলা আলোচনা এবং সমস্যা সমাধানের মানসিকতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। দুঃখজনক হলেও সত্য, তার পরিচয় এ পর্যন্ত আমরা কোনো পক্ষ থেকেই দেখতে পাইনি। শিক্ষক সমিতি যেসব দাবি ও অভিযোগ উত্থাপন করেছে, তার মধ্যে যেমন যুক্তি রয়েছে, তেমনি এসব ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেগুলোকেও অযৌক্তিক বলা যাবে না। আমরা সেই বিতর্কে যেতে চাই না। আমরা শুধু চাই, বর্তমান অচলাবস্থা যেন আর দীর্ঘায়িত না হয়, শিক্ষার্থীরা যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পাশাপাশি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বুয়েট যে ভাবমূর্তি ও ঐতিহ্য এখন পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তা রক্ষার দায়িত্বও বুয়েটের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের। আমরা চাই না, রাজনীতির নোংরা দিকগুলোর কবলে পড়ে এখানকার পরিস্থিতি ক্রমেই আরো অবনতির দিকে যাক। বলা বাহুল্য, তেমন ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে দ্রুত অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ নিন। প্রয়োজনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে অভিযোগগুলোর সত্যতা নিরূপণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। একই সঙ্গে শিক্ষক সমিতির প্রতিও আমাদের অনুরোধ রইল ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়টি আবার বিবেচনা করার জন্য।
No comments