মাদকের বিস্তার
৮ এপ্রিল কালের কণ্ঠে 'নেশায় অপচয় দিনে ৫০ কোটি টাকা' শিরোনামে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবশ্যই বড় কারণ। একটি দেশের যুব কিংবা তরুণসমাজ যদি নেশার ছোবলে এভাবে আক্রান্ত হতে থাকে, তাহলে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে বাধ্য।
ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা ৫০ লাখ (মতান্তরে ৭০ লাখ)। জনশ্রুতি আছে, বেশির ভাগ মাদকাসক্তই যুব ও তরুণ সম্প্রদায়ভুক্ত।
মাদক পাচার, ব্যবসা ও ব্যবহারকারীর ক্রমপ্রসার রোধকল্পে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে নানা রকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো ইতিবাচক ফল মিলছে না। মাদক শুধু একজন ব্যক্তি কিংবা একটি পরিবারের জন্যই অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়নি, দেশ-জাতির জন্যও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছে। নানা রকম প্রাণঘাতী রোগব্যাধি বিস্তারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করে তুলছে। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার প্রকট রূপের পেছনে মাদক অন্যতম বড় একটি উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে। হত্যাকাণ্ড, ইভ টিজিং, ছিনতাই, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের ধরন বিশ্লেষণে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্বশীলরাও চমকে যাচ্ছেন। উদ্বেগের বিষয় হলো, নেশার জগতে নিত্য যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। আসছে নতুন নতুন মাদকও। মাদক ব্যবসায়ীরা বাড়াচ্ছে তাদের পরিধি। এসব বিষয়ে আইনি অভিযান চলমান থাকলেও সাফল্য খুব একটা যে নেই বিদ্যমান পরিস্থিতি এরই সাক্ষ্যবহ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে অসাধুদের অস্তিত্ব রয়েছে-এ অভিযোগও নতুন কিছু নয়। তা ছাড়া এ অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রশ্নমুক্তও নয়। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন শুধু নগর-মহানগরেই এখন আর সীমাবদ্ধ নয়, গ্রামবাংলা পর্যন্ত পেঁৗছেছে। অভিযানে যারা ধরা পড়ছে, তাদের বেশির ভাগই বাহক বা ব্যবহারকারী। মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দৃশ্যের আড়ালে এই যে অদৃশ্য মহাশক্তিধর চক্রটি রয়েছে, তাদের সন্ধান করে মূলোৎপাটনে কার্যত তেমন কিছুই পরিলক্ষিত হচ্ছে না বিধায় এর ক্রমবিস্তার ঘটে চলেছে।
রাজধানীর অভিজাতপাড়া থেকে শুরু করে বস্তির খুপরি, নগর-মহানগরের অলিগলি এবং গ্রামবাংলার ঝুপড়ি পর্যন্ত মাদকের যে ভয়াবহ বিস্তার ঘটল, তা এক দিনের ফল নয়। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এখন এর ভয়াবহতার শিকার। সীমান্তপথে মাদকের অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে এবং দেশে মাদকের অপব্যবহার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান চালিয়ে মাদক চোরাচালানি, চোরাকারবারি, চোরাচালানের রুট, মজুদ ও বাজারজাতকরণের একটি তালিকাও তৈরি করেছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, এই তালিকা ধরে অভিযানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি সেল গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে। দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে এ নিয়ে আর কালক্ষেপণ না করে পরিকল্পিত উপায়ে দ্রুত সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা দরকার। এই সর্বনাশকাণ্ড অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ বড় বেশি অন্ধকার হয়ে পড়বে। শুধু সরকারি পর্যায়েই নয়, বেসরকারি ও সামাজিক পর্যায়েও এ জন্য চাই আরো জোরদার কার্যক্রম। এ ব্যাপারে কালক্ষেপণের কোনোই অবকাশ নেই।
মাদক পাচার, ব্যবসা ও ব্যবহারকারীর ক্রমপ্রসার রোধকল্পে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে নানা রকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো ইতিবাচক ফল মিলছে না। মাদক শুধু একজন ব্যক্তি কিংবা একটি পরিবারের জন্যই অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়নি, দেশ-জাতির জন্যও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছে। নানা রকম প্রাণঘাতী রোগব্যাধি বিস্তারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করে তুলছে। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার প্রকট রূপের পেছনে মাদক অন্যতম বড় একটি উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে। হত্যাকাণ্ড, ইভ টিজিং, ছিনতাই, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের ধরন বিশ্লেষণে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্বশীলরাও চমকে যাচ্ছেন। উদ্বেগের বিষয় হলো, নেশার জগতে নিত্য যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। আসছে নতুন নতুন মাদকও। মাদক ব্যবসায়ীরা বাড়াচ্ছে তাদের পরিধি। এসব বিষয়ে আইনি অভিযান চলমান থাকলেও সাফল্য খুব একটা যে নেই বিদ্যমান পরিস্থিতি এরই সাক্ষ্যবহ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে অসাধুদের অস্তিত্ব রয়েছে-এ অভিযোগও নতুন কিছু নয়। তা ছাড়া এ অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রশ্নমুক্তও নয়। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন শুধু নগর-মহানগরেই এখন আর সীমাবদ্ধ নয়, গ্রামবাংলা পর্যন্ত পেঁৗছেছে। অভিযানে যারা ধরা পড়ছে, তাদের বেশির ভাগই বাহক বা ব্যবহারকারী। মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দৃশ্যের আড়ালে এই যে অদৃশ্য মহাশক্তিধর চক্রটি রয়েছে, তাদের সন্ধান করে মূলোৎপাটনে কার্যত তেমন কিছুই পরিলক্ষিত হচ্ছে না বিধায় এর ক্রমবিস্তার ঘটে চলেছে।
রাজধানীর অভিজাতপাড়া থেকে শুরু করে বস্তির খুপরি, নগর-মহানগরের অলিগলি এবং গ্রামবাংলার ঝুপড়ি পর্যন্ত মাদকের যে ভয়াবহ বিস্তার ঘটল, তা এক দিনের ফল নয়। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এখন এর ভয়াবহতার শিকার। সীমান্তপথে মাদকের অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে এবং দেশে মাদকের অপব্যবহার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান চালিয়ে মাদক চোরাচালানি, চোরাকারবারি, চোরাচালানের রুট, মজুদ ও বাজারজাতকরণের একটি তালিকাও তৈরি করেছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, এই তালিকা ধরে অভিযানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি সেল গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে। দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে এ নিয়ে আর কালক্ষেপণ না করে পরিকল্পিত উপায়ে দ্রুত সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা দরকার। এই সর্বনাশকাণ্ড অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ বড় বেশি অন্ধকার হয়ে পড়বে। শুধু সরকারি পর্যায়েই নয়, বেসরকারি ও সামাজিক পর্যায়েও এ জন্য চাই আরো জোরদার কার্যক্রম। এ ব্যাপারে কালক্ষেপণের কোনোই অবকাশ নেই।
No comments