খালটির ওপর কালভার্ট নির্মাণ করুন-নিজের আইন ভঙ্গ করছে রাজউক
পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যগুলো সত্য হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুটি সুনির্দিষ্ট আইন ভঙ্গের অভিযোগ জোরালোভাবে উঠে আসে। আইন দুটি হলো: বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০। প্রথম আইনটি প্রয়োগের দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের, দ্বিতীয়টি রাজউকেরই।
যে আইন অন্যরা ভঙ্গ করছে কি না, তা দেখার এবং কেউ ভঙ্গ করলে তার প্রতিকার করার দায়িত্ব রাজউকের, রাজউক নিজেই সে আইনটি ভঙ্গ করলে তার প্রতিকার কী?
প্রশ্নটি নতুন নয়; দীর্ঘদিন ধরেই এমন প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে। রাজউক নিজেই নিজের আইন মানে না—সংবাদমাধ্যমে এমন লেখালেখি এবং নাগরিক পর্যায়ে বলাবলি চলছে অনেক দিন ধরেই।
মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রাজউকের বিরুদ্ধে খাল তথা জলাশয় ভরাট করে সড়ক নির্মাণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের খবর প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেছেন, ঢাকা-পূর্বাচল সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় সড়ক নির্মাণের কাজে ডুমনি খালের বেশ কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। এতে খালের পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে, খালটির অস্তিত্বই সংকটের মুখে পড়েছে। তাই পরিবেশ আইন লঙ্ঘন এবং খাল ভরাট করে প্রতিবেশের ক্ষতি করার অপরাধে কেন ক্ষতিপূরণ আদায় করা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় মামলা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—এই মর্মে পরিবেশ অধিদপ্তর রাজউককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
এখন আমাদের দেখার বিষয়, রাজউক সেই নোটিশের উত্তরে কী কারণ দর্শায়। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে খাল ভরাট করা হলে জলাশয় সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ হয়, যে আইনটি প্রয়োগের কর্তৃপক্ষ রাজউক নিজেই। অর্থাৎ নিজের বিরুদ্ধেই আইন প্রয়োগ করতে হয়। আসলে, এক দশকের বেশি সময় ধরে যে জলাশয় সংরক্ষণ আইন কার্যকর রয়েছে, তার অধীনে এ পর্যন্ত কারোরই কোনো শাস্তি হয়নি। কেন হয়নি? রাজউক নিজেই এই আইনটি বরাবর লঙ্ঘন করে আসছে। বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান খাল-নদী-জলাভূমি ভরাট করে নানা ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করছে, তাদের প্রতিরোধ করার বা শাস্তি দেওয়ার নৈতিক শক্তিটাই রাজউক অর্জন করতে পারেনি সম্ভবত এই কারণে।
রাস্তাঘাটসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। মহানগরের সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে অবকাঠামোরও সম্প্রসারণ ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্প্রসারণ যেন সুপরিকল্পিত হয়, যেন প্রতিবেশের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা যায়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া খুব প্রয়োজন। মহানগরের যে গুটিকয় খাল এখন টিকে রয়েছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি। ঢাকা-পূর্বাচল সংযোগ সড়কটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় একটি সড়ক। কিন্তু সেটি নির্মাণ করতে গিয়ে ডুমনি খালের অস্তিত্ব বিলোপ করতে তো দেওয়া চলবে না; কারণ মহানগরের পানিনিষ্কাশনে এই প্রাকৃতিক খালের ভূমিকা বিরাট। পানিপ্রবাহ বাধাহীন রাখার জন্য ডুমনি খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করা উচিত।
প্রশ্নটি নতুন নয়; দীর্ঘদিন ধরেই এমন প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে। রাজউক নিজেই নিজের আইন মানে না—সংবাদমাধ্যমে এমন লেখালেখি এবং নাগরিক পর্যায়ে বলাবলি চলছে অনেক দিন ধরেই।
মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রাজউকের বিরুদ্ধে খাল তথা জলাশয় ভরাট করে সড়ক নির্মাণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের খবর প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেছেন, ঢাকা-পূর্বাচল সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় সড়ক নির্মাণের কাজে ডুমনি খালের বেশ কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। এতে খালের পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে, খালটির অস্তিত্বই সংকটের মুখে পড়েছে। তাই পরিবেশ আইন লঙ্ঘন এবং খাল ভরাট করে প্রতিবেশের ক্ষতি করার অপরাধে কেন ক্ষতিপূরণ আদায় করা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় মামলা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—এই মর্মে পরিবেশ অধিদপ্তর রাজউককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
এখন আমাদের দেখার বিষয়, রাজউক সেই নোটিশের উত্তরে কী কারণ দর্শায়। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে খাল ভরাট করা হলে জলাশয় সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ হয়, যে আইনটি প্রয়োগের কর্তৃপক্ষ রাজউক নিজেই। অর্থাৎ নিজের বিরুদ্ধেই আইন প্রয়োগ করতে হয়। আসলে, এক দশকের বেশি সময় ধরে যে জলাশয় সংরক্ষণ আইন কার্যকর রয়েছে, তার অধীনে এ পর্যন্ত কারোরই কোনো শাস্তি হয়নি। কেন হয়নি? রাজউক নিজেই এই আইনটি বরাবর লঙ্ঘন করে আসছে। বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান খাল-নদী-জলাভূমি ভরাট করে নানা ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করছে, তাদের প্রতিরোধ করার বা শাস্তি দেওয়ার নৈতিক শক্তিটাই রাজউক অর্জন করতে পারেনি সম্ভবত এই কারণে।
রাস্তাঘাটসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। মহানগরের সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে অবকাঠামোরও সম্প্রসারণ ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্প্রসারণ যেন সুপরিকল্পিত হয়, যেন প্রতিবেশের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা যায়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া খুব প্রয়োজন। মহানগরের যে গুটিকয় খাল এখন টিকে রয়েছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি। ঢাকা-পূর্বাচল সংযোগ সড়কটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় একটি সড়ক। কিন্তু সেটি নির্মাণ করতে গিয়ে ডুমনি খালের অস্তিত্ব বিলোপ করতে তো দেওয়া চলবে না; কারণ মহানগরের পানিনিষ্কাশনে এই প্রাকৃতিক খালের ভূমিকা বিরাট। পানিপ্রবাহ বাধাহীন রাখার জন্য ডুমনি খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করা উচিত।
No comments