খালেদার মামলা প্রত্যাহার করুন-কোনো অবস্থায় হরতাল নয়
আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ এলাকা ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতির বিষয় হয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রের যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে।
বিশেষ করে যে এলাকায় প্রকল্পটি হবে, সেই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সম্মতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে তা হয়নি বলে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার আড়িয়ল বিল রক্ষা কমিটির অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক।
এরপর সব পক্ষের সংযত ও সহনশীল হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল থেকে উসকানিমূলক তৎপরতাই লক্ষ করা যাচ্ছে। সোমবারের ঘটনার জন্য পুলিশ ২১ হাজার লোককে আসামি করে মামলা করেছে, গ্রামে গ্রামে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে একজন সরকারি আইনজীবী পুলিশ হত্যার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছেন। এ মামলার পরপরই মঙ্গলবার বিএনপি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে, দলীয় কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছেন, আগুন দিয়েছেন। বিএনপি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।
এসব ঘটনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে, সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হলো, পুলিশ হত্যার জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে কেন? তিনি যে বিক্ষোভকারীদের উসকে দিয়েছেন, তার কি কোনো প্রমাণ বাদীর কাছে আছে? আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলেই কেউ খুনের মামলার আসামি হতে পারেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করলে শেষ পর্যন্ত এর দায় কিন্তু সরকারের ওপরই পড়বে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। এলাকায় যে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে, তা-ও বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। পুলিশ হত্যার ঘটনাটি নিন্দনীয় এবং কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মামলাও হতে পারে। কিন্তু গয়রহ সবাইকে মামলার আসামি করলে স্থানীয় মানুষ আরও ক্ষুব্ধ হবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্থানীয় মানুষ না চাইলে আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর হবে না। তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানাই। যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে স্থানীয় জনগণের আবেগ অনুভূতির বিষয়টিও আমলে নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের কাছেও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশিত। সরকার জনস্বার্থবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নিলে বিরোধী দল প্রতিবাদ করবে। তবে সেই প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে শান্তিপূর্ণ। দেশের সমৃদ্ধি এবং জনজীবনে শান্তি ও স্থিতি রক্ষার স্বার্থেই সোমবারের হরতাল প্রত্যাহার করে নিন। রাজনীতিকে রাজপথমুখী না করে সংসদমুখী করুন।
এরপর সব পক্ষের সংযত ও সহনশীল হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল থেকে উসকানিমূলক তৎপরতাই লক্ষ করা যাচ্ছে। সোমবারের ঘটনার জন্য পুলিশ ২১ হাজার লোককে আসামি করে মামলা করেছে, গ্রামে গ্রামে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে একজন সরকারি আইনজীবী পুলিশ হত্যার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছেন। এ মামলার পরপরই মঙ্গলবার বিএনপি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে, দলীয় কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছেন, আগুন দিয়েছেন। বিএনপি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।
এসব ঘটনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে, সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হলো, পুলিশ হত্যার জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে কেন? তিনি যে বিক্ষোভকারীদের উসকে দিয়েছেন, তার কি কোনো প্রমাণ বাদীর কাছে আছে? আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলেই কেউ খুনের মামলার আসামি হতে পারেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করলে শেষ পর্যন্ত এর দায় কিন্তু সরকারের ওপরই পড়বে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। এলাকায় যে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে, তা-ও বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। পুলিশ হত্যার ঘটনাটি নিন্দনীয় এবং কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মামলাও হতে পারে। কিন্তু গয়রহ সবাইকে মামলার আসামি করলে স্থানীয় মানুষ আরও ক্ষুব্ধ হবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্থানীয় মানুষ না চাইলে আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর হবে না। তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানাই। যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে স্থানীয় জনগণের আবেগ অনুভূতির বিষয়টিও আমলে নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের কাছেও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশিত। সরকার জনস্বার্থবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নিলে বিরোধী দল প্রতিবাদ করবে। তবে সেই প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে শান্তিপূর্ণ। দেশের সমৃদ্ধি এবং জনজীবনে শান্তি ও স্থিতি রক্ষার স্বার্থেই সোমবারের হরতাল প্রত্যাহার করে নিন। রাজনীতিকে রাজপথমুখী না করে সংসদমুখী করুন।
No comments