পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে

বাংলাদেশ সরকারকে কিছু না জানিয়েই ভারত তাদের নিজেদের মতো করে বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুক্তি সই করেছে। অথচ কথা ছিল এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করা হলে দেশের সিলেট অঞ্চলে গুরুতর পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং দেশের একটি বড় সমৃদ্ধ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।


কিন্তু শুরু থেকেই ভারত এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ করার কোনো প্রয়োজন মনে করেনি। পরবর্তী সময়ে এ দেশের মিডিয়া ও জনমতের চাপে বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি সন্তোষজনক নয়। আমাদের কিছু প্রতিনিধি হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া কাজের কাজ কিছু করেছেন বলে মনে হয়নি।
এই সময়ে কিছুদিন নীরব থেকে ভারত আবারও টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন ভারতের ভারী ভারী বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রগুলোকে নিজেদের রাস্তাঘাটের ক্ষতি করেও ট্রান্সশিপমেন্ট দিয়েছে বাংলাদেশ। বন্ধুত্বের এ ধরনের প্রতিদান ভারতের কাছ থেকে পাওয়া দুঃখজনক, তবে অপ্রত্যাশিত নয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এখন স্মরণকালের সবচেয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে। একদিকে মন্ত্রী, অন্যদিকে উপদেষ্টার চাপে পড়ে এই মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের সমন্বয় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় তিস্তা চুক্তি নিয়ে যে টানাপড়েন হলো, সে কথা আবারও স্মরণ করা যায়।
জনমনে এ ধারণা পরিষ্কার যে সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উষ্ণ রাখতে চায়। কিন্তু এই বন্ধুত্ব অতি মাত্রায় উষ্ণ রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে কী পরিমাণ মূল্য দিতে হচ্ছে সে ব্যাপারে ভেবে দেখার সময় এসেছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে দুটি পার্শ্ববর্তী দেশের মধ্যে একটি দেশের একতরফা বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখিয়ে যাওয়াটা সম্ভব নয়, এ ধরনের পদক্ষেপকে দুর্বলতা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। যেহেতু আমাদের একতরফা বন্ধুত্ব থেকে কিছুই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের পদক্ষেপগুলো আবারও খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই প্রস্তুতির জন্য যোগ্য ও দক্ষ মানুষদের দায়িত্ব দিতে হবে, বর্তমান সমন্বয়হীনতা নীতি ও দুর্বলতা থেকে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু অর্জিত হবে না।
নিজেদের নায্য অধিকার নিয়ে বিশ্ব দরবারে আমাদের সরকার মুখর হবে_এটাই এ মুহূর্তে আমাদের প্রত্যাশা।পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ভাবার
সময় এসেছে

বাংলাদেশ সরকারকে কিছু না জানিয়েই ভারত তাদের নিজেদের মতো করে বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুক্তি সই করেছে। অথচ কথা ছিল এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করা হলে দেশের সিলেট অঞ্চলে গুরুতর পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং দেশের একটি বড় সমৃদ্ধ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হবে। কিন্তু শুরু থেকেই ভারত এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ করার কোনো প্রয়োজন মনে করেনি। পরবর্তী সময়ে এ দেশের মিডিয়া ও জনমতের চাপে বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি সন্তোষজনক নয়। আমাদের কিছু প্রতিনিধি হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া কাজের কাজ কিছু করেছেন বলে মনে হয়নি।
এই সময়ে কিছুদিন নীরব থেকে ভারত আবারও টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন ভারতের ভারী ভারী বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রগুলোকে নিজেদের রাস্তাঘাটের ক্ষতি করেও ট্রান্সশিপমেন্ট দিয়েছে বাংলাদেশ। বন্ধুত্বের এ ধরনের প্রতিদান ভারতের কাছ থেকে পাওয়া দুঃখজনক, তবে অপ্রত্যাশিত নয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এখন স্মরণকালের সবচেয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে। একদিকে মন্ত্রী, অন্যদিকে উপদেষ্টার চাপে পড়ে এই মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের সমন্বয় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় তিস্তা চুক্তি নিয়ে যে টানাপড়েন হলো, সে কথা আবারও স্মরণ করা যায়।
জনমনে এ ধারণা পরিষ্কার যে সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উষ্ণ রাখতে চায়। কিন্তু এই বন্ধুত্ব অতি মাত্রায় উষ্ণ রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে কী পরিমাণ মূল্য দিতে হচ্ছে সে ব্যাপারে ভেবে দেখার সময় এসেছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে দুটি পার্শ্ববর্তী দেশের মধ্যে একটি দেশের একতরফা বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখিয়ে যাওয়াটা সম্ভব নয়, এ ধরনের পদক্ষেপকে দুর্বলতা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। যেহেতু আমাদের একতরফা বন্ধুত্ব থেকে কিছুই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের পদক্ষেপগুলো আবারও খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই প্রস্তুতির জন্য যোগ্য ও দক্ষ মানুষদের দায়িত্ব দিতে হবে, বর্তমান সমন্বয়হীনতা নীতি ও দুর্বলতা থেকে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু অর্জিত হবে না।
নিজেদের নায্য অধিকার নিয়ে বিশ্ব দরবারে আমাদের সরকার মুখর হবে_এটাই এ মুহূর্তে আমাদের প্রত্যাশা।

No comments

Powered by Blogger.