প্রবাসীদের আয়-উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ হোক
প্রবাসীরা বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাঁদের আয় উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে না। ২০ নভেম্বর 'প্রবাসী আয় যাচ্ছে অনুৎপাদনশীল খাতে' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয়, তাঁদের আয়ের টাকা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যয় হচ্ছে স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয়ে, যা ব্যাপক অর্থে দেশের কল্যাণে আসছে না। ফলে শুধু জমির দামই বাড়ছে, উৎপাদন খাতে তা কাজে লাগছে না।
অথচ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই আয় উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগালে তাঁদের যেমন ব্যক্তিগত লাভ হতো, তেমনি দেশও উপকৃত হতো। তবে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের রাস্তা সংকুচিত এবং এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ব্যাপক।
বিদেশ প্রত্যাগতরা দেশে ফিরে যদি তাঁদের আয় ক্ষুদ্র কিংবা কুটির শিল্পসহ অন্য যেকোনো উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতেন, তাহলে দেশেও কাজের ক্ষেত্র বিস্তৃত হতো। অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়ত। প্রবাস থেকে ফেরা বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ তাঁদের অর্জিত টাকা মাসের পর মাস ভেঙে খান। একপর্যায়ে তাঁদের হাত খালি হয়ে যায়, দেখা দেয় হতাশা। তখন আবারও বাধ্য হয়ে বিদেশমুখী হন। অথচ কৃষিনির্ভর এ দেশে মফস্বলে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের উপযুক্ততা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তাঁদের নেই কোনো ধারণা কিংবা পরিকল্পনা। প্রবাসীদের বেশির ভাগের বসবাস গ্রামে কিংবা মফস্বলে। বিনিয়োগ পরামর্শমূলক কার্যক্রম গ্রাম স্পর্শ করেনি, মফস্বল শহরেও তেমন পেঁৗছায়নি। সেদিকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আছে বলেও মনে হয় না। সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব। সামাজিক প্রেক্ষাপটও এর যথেষ্ট অনুকূলে। চাই শুধু দূরদর্শী পরিকল্পনা ও যথাযথ কার্যকর উদ্যোগ। কৃষি, মৎস্য, হ্যাচারি, পোলট্রি, গবাদিপশুর খামারসহ শিল্পসংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র কাজে লাগানো কোনো দুরূহ বিষয় নয়।
বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বিভিন্ন উৎপাদনশীল কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো, যা বর্তমানে আর সচল নেই। ডিএফআইডির অর্থায়নে প্রকল্পটি চালু ছিল। তাদের অর্থায়ন শেষ হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি চালু রাখেনি। আমরা মনে করি, সরকারের এ ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো দরকার। শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শই নয়, সার্বিক সহযোগিতাদানও প্রয়োজন। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামোর দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। অর্থ বিনিয়োগ না করলে যে অর্থ বাড়ে না_এই সত্য অস্বীকার করা যাবে না। প্রবাসীদের আয়ের অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সমৃদ্ধির চাকা গতিশীল করা কঠিন কোনো কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা, দূরদর্শিতা ও বিদ্যমান নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মানুষকে এর জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলে সেদিকে ধাবিত করা।
বিদেশ প্রত্যাগতরা দেশে ফিরে যদি তাঁদের আয় ক্ষুদ্র কিংবা কুটির শিল্পসহ অন্য যেকোনো উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতেন, তাহলে দেশেও কাজের ক্ষেত্র বিস্তৃত হতো। অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়ত। প্রবাস থেকে ফেরা বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ তাঁদের অর্জিত টাকা মাসের পর মাস ভেঙে খান। একপর্যায়ে তাঁদের হাত খালি হয়ে যায়, দেখা দেয় হতাশা। তখন আবারও বাধ্য হয়ে বিদেশমুখী হন। অথচ কৃষিনির্ভর এ দেশে মফস্বলে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের উপযুক্ততা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তাঁদের নেই কোনো ধারণা কিংবা পরিকল্পনা। প্রবাসীদের বেশির ভাগের বসবাস গ্রামে কিংবা মফস্বলে। বিনিয়োগ পরামর্শমূলক কার্যক্রম গ্রাম স্পর্শ করেনি, মফস্বল শহরেও তেমন পেঁৗছায়নি। সেদিকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আছে বলেও মনে হয় না। সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব। সামাজিক প্রেক্ষাপটও এর যথেষ্ট অনুকূলে। চাই শুধু দূরদর্শী পরিকল্পনা ও যথাযথ কার্যকর উদ্যোগ। কৃষি, মৎস্য, হ্যাচারি, পোলট্রি, গবাদিপশুর খামারসহ শিল্পসংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র কাজে লাগানো কোনো দুরূহ বিষয় নয়।
বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বিভিন্ন উৎপাদনশীল কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো, যা বর্তমানে আর সচল নেই। ডিএফআইডির অর্থায়নে প্রকল্পটি চালু ছিল। তাদের অর্থায়ন শেষ হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি চালু রাখেনি। আমরা মনে করি, সরকারের এ ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো দরকার। শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শই নয়, সার্বিক সহযোগিতাদানও প্রয়োজন। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামোর দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। অর্থ বিনিয়োগ না করলে যে অর্থ বাড়ে না_এই সত্য অস্বীকার করা যাবে না। প্রবাসীদের আয়ের অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সমৃদ্ধির চাকা গতিশীল করা কঠিন কোনো কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা, দূরদর্শিতা ও বিদ্যমান নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মানুষকে এর জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলে সেদিকে ধাবিত করা।
No comments