কেন এই স্বেচ্ছাবন্দিত্ব? by রাব্বী রহমান
কেউ মেরে ফেলতে পারে_সারাক্ষণ এই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াত তাঁকে। এমন কঠিন সময়ে স্বামীও তাঁকে ফেলে রেখে যান সন্তানসহ। অসহায় ও মানসিকভাবে অসুস্থ নারীটি তাঁর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে থাকেন রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি ফ্ল্যাটে। গত রবিবার তাঁকে ওই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্ত করে আনে পুলিশ। উদ্ধার করা নারীর নাম আজমেরী সুপ্তি জেসি (৩৫)। সন্তানসহ সুপ্তিকে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
পুলিশের উপকমিশনার শামীমা বেগম গতকাল এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে জানান, রবিবার সকালে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ৭২ সেগুনবাগিচার অ্যাপার্টমেন্ট মালিক নাসিমা হক। এর ভিত্তিতে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের কুইক রেসপন্স টিম একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অ্যাপার্টমেন্টের সি/৫ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে মা ও শিশুকে উদ্ধার করে। ওই সময় ফ্ল্যাটটি ছিল অন্ধকার, দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। ফ্ল্যাটে আলো-বাতাস ঢোকে এমন জায়গাগুলো পর্দা ও কাগজ দিয়ে বন্ধ করা ছিল।
শামীমা বেগম আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্তি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন। মানসিক অসুস্থতার কারণে মা ও শিশুকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাপোর্ট সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া গেলে তাদের কাছে মা ও শিশুকে হস্তান্তর করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তানসহ সুপ্তিকে ফেলে তাঁর স্বামী আশরাফ গুড্ডু এক মাস ধরে নিরুদ্দেশ। উদ্ধারের পর সুপ্তি তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না।
পুলিশ হেফাজতে থাকা সুপ্তির সঙ্গে কাউন্সেলিং করেছেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের কাউন্সিলর ড. রেহেনা বেগম। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, সুপ্তির সঙ্গে কথা বলে ও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তাঁকে সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন। তবে অতীতের অনেক তথ্যই তিনি সঠিকভাবে দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। সুপ্তির দেওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি দীর্ঘদিন আমেরিকার নিউ জার্সিতে বসবাস করেছেন। তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত এবং অন্যদের সহায়তায় তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে সুপ্তি অভিযোগ করেছেন। অস্পষ্টভাবে তিনি আরো জানিয়েছেন, আইএফআইসি ব্যাংকে তাঁর দেড় কোটি টাকার স্থায়ী আমানত এবং বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। তবে সেগুলোর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানা নেই তাঁর।
কারা, কেন তাঁকে হত্যা করবে_এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপ্তি পুলিশ বা চিকিৎসকের কাছে সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
চিকিৎসকের কাছে সুপ্তি জানিয়েছেন, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হবে, এমন আতঙ্কে ভুগতেন তিনি। এ কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না এবং ঘরের সব কিছু অন্ধকার ও বন্ধ করে রাখতেন। শিশু সন্তানটিকে কোনো কাপড় পরিধান করাতেন না।
ড. রেহেনা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, সুপ্তির সঙ্গে আরো কথা বলতে হবে। কাউন্সেলিং করতে হবে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তিনি মা-বাবার নাম-পরিচয় দিচ্ছেন না। জানাজানি হলে তাঁর মা-বাবারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে সুপ্তির ধারণা। ড. রেহেনার মতে, সুপ্তির আরো চিকিৎসা প্রয়োজন। তাঁর স্বামীকেও খুঁজে বের করা জরুরি।
এদিকে অ্যাপার্টমেন্ট মালিক নাসিমা হক জানান, দুই বছর ধরে তাঁর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সুপ্তি ও আশরাফ গুড্ডু। তিন মাস ধরে ভাড়া না দেওয়া এবং অ্যাপার্টমেন্টের অন্যান্য বিল বকেয়া থাকায় কেয়ারটেকার বিষয়টি তাঁকে জানান। সুপ্তির স্বামীকে না পাওয়া ও সুপ্তি কথা না বলায় সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। সুপ্তির আচরণ আগে থেকে এলোমেলো হলেও প্রকৃত অবস্থা জানা ছিল না। দীর্ঘ সময় নিজ ফ্ল্যাটে বন্দির মতো বসবাসও রহস্যজনক।
অ্যাপার্টমেন্টের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমনিতেই সুপ্তিকে তেমন একটা দেখা যেত না। এক মাস ধরে তাঁকে কখনো বাসা থেকে বেরোতে দেখেছেন বলে কেউ মনে করতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাস শুকনো খাবার খেয়েই কেটেছে সুপ্তি ও তাঁর ছেলের। অ্যাপার্টমেন্টের কোনো একজন কর্মীকে দিয়ে মাঝেমধ্যে পাউরুটি, কলা, বিস্কুট ইত্যাদি খাবার আনাতেন সুপ্তি। এ ছাড়া একজন প্রতিবেশীর সঙ্গে তিনি সামান্য যোগাযোগ রাখতেন। ওই বাসা থেকেও তাদের কখনো কখনো খাবার দেওয়া হতো।
গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ সুপ্তির স্বামী ও অভিভাবকদের কোনো সন্ধান পায়নি।
শামীমা বেগম আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্তি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন। মানসিক অসুস্থতার কারণে মা ও শিশুকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাপোর্ট সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া গেলে তাদের কাছে মা ও শিশুকে হস্তান্তর করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তানসহ সুপ্তিকে ফেলে তাঁর স্বামী আশরাফ গুড্ডু এক মাস ধরে নিরুদ্দেশ। উদ্ধারের পর সুপ্তি তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না।
পুলিশ হেফাজতে থাকা সুপ্তির সঙ্গে কাউন্সেলিং করেছেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের কাউন্সিলর ড. রেহেনা বেগম। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, সুপ্তির সঙ্গে কথা বলে ও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তাঁকে সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন। তবে অতীতের অনেক তথ্যই তিনি সঠিকভাবে দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। সুপ্তির দেওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি দীর্ঘদিন আমেরিকার নিউ জার্সিতে বসবাস করেছেন। তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত এবং অন্যদের সহায়তায় তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে সুপ্তি অভিযোগ করেছেন। অস্পষ্টভাবে তিনি আরো জানিয়েছেন, আইএফআইসি ব্যাংকে তাঁর দেড় কোটি টাকার স্থায়ী আমানত এবং বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। তবে সেগুলোর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানা নেই তাঁর।
কারা, কেন তাঁকে হত্যা করবে_এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপ্তি পুলিশ বা চিকিৎসকের কাছে সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
চিকিৎসকের কাছে সুপ্তি জানিয়েছেন, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হবে, এমন আতঙ্কে ভুগতেন তিনি। এ কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না এবং ঘরের সব কিছু অন্ধকার ও বন্ধ করে রাখতেন। শিশু সন্তানটিকে কোনো কাপড় পরিধান করাতেন না।
ড. রেহেনা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, সুপ্তির সঙ্গে আরো কথা বলতে হবে। কাউন্সেলিং করতে হবে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তিনি মা-বাবার নাম-পরিচয় দিচ্ছেন না। জানাজানি হলে তাঁর মা-বাবারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে সুপ্তির ধারণা। ড. রেহেনার মতে, সুপ্তির আরো চিকিৎসা প্রয়োজন। তাঁর স্বামীকেও খুঁজে বের করা জরুরি।
এদিকে অ্যাপার্টমেন্ট মালিক নাসিমা হক জানান, দুই বছর ধরে তাঁর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সুপ্তি ও আশরাফ গুড্ডু। তিন মাস ধরে ভাড়া না দেওয়া এবং অ্যাপার্টমেন্টের অন্যান্য বিল বকেয়া থাকায় কেয়ারটেকার বিষয়টি তাঁকে জানান। সুপ্তির স্বামীকে না পাওয়া ও সুপ্তি কথা না বলায় সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। সুপ্তির আচরণ আগে থেকে এলোমেলো হলেও প্রকৃত অবস্থা জানা ছিল না। দীর্ঘ সময় নিজ ফ্ল্যাটে বন্দির মতো বসবাসও রহস্যজনক।
অ্যাপার্টমেন্টের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমনিতেই সুপ্তিকে তেমন একটা দেখা যেত না। এক মাস ধরে তাঁকে কখনো বাসা থেকে বেরোতে দেখেছেন বলে কেউ মনে করতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাস শুকনো খাবার খেয়েই কেটেছে সুপ্তি ও তাঁর ছেলের। অ্যাপার্টমেন্টের কোনো একজন কর্মীকে দিয়ে মাঝেমধ্যে পাউরুটি, কলা, বিস্কুট ইত্যাদি খাবার আনাতেন সুপ্তি। এ ছাড়া একজন প্রতিবেশীর সঙ্গে তিনি সামান্য যোগাযোগ রাখতেন। ওই বাসা থেকেও তাদের কখনো কখনো খাবার দেওয়া হতো।
গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ সুপ্তির স্বামী ও অভিভাবকদের কোনো সন্ধান পায়নি।
No comments