রেন্টাল প্লান্ট থেকে প্রাপ্তি সামান্যই by আরিফুজ্জামান তুহিন
যেসব কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের জন্য ভর্তুকিমূল্যে ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করতে গিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য নড়বড়ে হয়ে পড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসতে পারেনি। ফলে এখনো বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোই ভরসা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) উৎপাদনের হিসাবে দেখা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় দেশের সরকারি-বেসরকারি কেন্দ্রগুলো থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৬১
মেগাওয়াট, এর মধ্যে ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া গেছে ৩২৮ মেগাওয়াট, যা মোট উৎপাদনের মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ।
৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাগ্রহণের প্রাক্কালে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল আগস্ট মাসে পাঁচ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট। সে হিসাবে এ সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের নতুন উৎপাদন হয়েছে দুই হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট। পিডিবি আশা করছে, চলতি মাসে আরো ১০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ যোগ হবে। পিডিবি তথ্যমতে, ২০১১ সালে বিদ্যুতের গড় চাহিদা রয়েছে ছয় হাজার ৭৬৫ মেগাওয়াট। আর জোগান থাকবে পাঁচ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের মতো।
বিদ্যুতের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। গ্যাসের অপ্রতুলতার কারণে সরকার তেলভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আগ্রহী হয়। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ফার্নেস অয়েলে ভর্তুতির ঘোষণা দেয়। ফার্নেস অয়েলচালিত এসব কেন্দ্র থেকে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুই হাজার ৪০৫ মেগওয়াট নতুন বিদ্যুৎ আসার কথা ছিল। তবে এ সময়ের মধ্যে এসেছে মাত্র ৩০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বাকি দুই হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সময়মতো আসতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়োত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে।
জ্বালানি কর্মকর্তারা জানান, রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও পিকিং পাওয়ার প্লান্ট নামের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সময়মতো এলে বিদ্যুতের উৎপাদন আরো বাড়ত। যেসব বেসরকারি কুইক রেন্টাল কেন্দ্র সময়মতো আসতে পারেনি, তার মধ্যে রয়েছে কেরানীগঞ্জের পাওয়ারপ্যাকের ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি আসার কথা ছিল গত জুনে, সিনহা পাওয়ারের রাজশাহীর আমনুরায় ৫০ মেগাওয়াট ও মেঘনাঘাটে এইচপিসিজিএলের ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে আসার কথা ছিল গত জুলাই মাসে, চট্টগ্রামের জুলাডায় আর্কন ইনফ্রা সার্ভিস লিমিটেডের ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল গত আগস্ট মাসে আর গত অক্টোবরে উৎপাদনে যাওয়ার সময় ছিল এনপিসিএলের কাটাখালী রাজশাহীর ৫০ মেগাওয়াট। সময়মতো ওই কেন্দ্রগুলোর একটিও উৎপাদনে আসতে পারেনি। এই বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দগুলো থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে না পারার কারণে লোডশোডিং সমস্যা কাটেনি।
একইভাবে সরকারের অধীন পিকিং পাওয়ার প্লান্টগুলোও নির্ধারিত সময় আসতে পারেনি। তার মধ্যে গত জুলাই মাসে উৎপাদনে আসার কথা ছিল ফরদিপুরের ৫৪ মেগাওয়াট, গত আগস্টে গোপালগঞ্জের ১০৯ মেগাওয়াট, দোহাজারীর কেন্দ্রের ১০২ ও হাটহাজির কেন্দ্রের ৯২ মেগাওয়াট গত সেপ্টেম্বরে ও সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট গত অক্টোবর মাসে ও চলতি মাসে হাজিপুরের ৫০ মেগাওয়াট। বেসরকারি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রের মতো একই পরিণতি ঘটেছে সরকারের অধীন ছয়টি কেন্দ্রের ৫৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের বেলায়।
সময়মতো নতুন বিদ্যুৎ না আসায় সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হয়েছে এক হাজার সাত মেগাওয়াট।
৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাগ্রহণের প্রাক্কালে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল আগস্ট মাসে পাঁচ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট। সে হিসাবে এ সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের নতুন উৎপাদন হয়েছে দুই হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট। পিডিবি আশা করছে, চলতি মাসে আরো ১০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ যোগ হবে। পিডিবি তথ্যমতে, ২০১১ সালে বিদ্যুতের গড় চাহিদা রয়েছে ছয় হাজার ৭৬৫ মেগাওয়াট। আর জোগান থাকবে পাঁচ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের মতো।
বিদ্যুতের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। গ্যাসের অপ্রতুলতার কারণে সরকার তেলভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আগ্রহী হয়। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ফার্নেস অয়েলে ভর্তুতির ঘোষণা দেয়। ফার্নেস অয়েলচালিত এসব কেন্দ্র থেকে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুই হাজার ৪০৫ মেগওয়াট নতুন বিদ্যুৎ আসার কথা ছিল। তবে এ সময়ের মধ্যে এসেছে মাত্র ৩০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বাকি দুই হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সময়মতো আসতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়োত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে।
জ্বালানি কর্মকর্তারা জানান, রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও পিকিং পাওয়ার প্লান্ট নামের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সময়মতো এলে বিদ্যুতের উৎপাদন আরো বাড়ত। যেসব বেসরকারি কুইক রেন্টাল কেন্দ্র সময়মতো আসতে পারেনি, তার মধ্যে রয়েছে কেরানীগঞ্জের পাওয়ারপ্যাকের ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি আসার কথা ছিল গত জুনে, সিনহা পাওয়ারের রাজশাহীর আমনুরায় ৫০ মেগাওয়াট ও মেঘনাঘাটে এইচপিসিজিএলের ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে আসার কথা ছিল গত জুলাই মাসে, চট্টগ্রামের জুলাডায় আর্কন ইনফ্রা সার্ভিস লিমিটেডের ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল গত আগস্ট মাসে আর গত অক্টোবরে উৎপাদনে যাওয়ার সময় ছিল এনপিসিএলের কাটাখালী রাজশাহীর ৫০ মেগাওয়াট। সময়মতো ওই কেন্দ্রগুলোর একটিও উৎপাদনে আসতে পারেনি। এই বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দগুলো থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে না পারার কারণে লোডশোডিং সমস্যা কাটেনি।
একইভাবে সরকারের অধীন পিকিং পাওয়ার প্লান্টগুলোও নির্ধারিত সময় আসতে পারেনি। তার মধ্যে গত জুলাই মাসে উৎপাদনে আসার কথা ছিল ফরদিপুরের ৫৪ মেগাওয়াট, গত আগস্টে গোপালগঞ্জের ১০৯ মেগাওয়াট, দোহাজারীর কেন্দ্রের ১০২ ও হাটহাজির কেন্দ্রের ৯২ মেগাওয়াট গত সেপ্টেম্বরে ও সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট গত অক্টোবর মাসে ও চলতি মাসে হাজিপুরের ৫০ মেগাওয়াট। বেসরকারি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রের মতো একই পরিণতি ঘটেছে সরকারের অধীন ছয়টি কেন্দ্রের ৫৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের বেলায়।
সময়মতো নতুন বিদ্যুৎ না আসায় সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হয়েছে এক হাজার সাত মেগাওয়াট।
No comments