অতিথি-বাইক্কা বিলে পাখির মেলা by নূরুল ইসলাম ও শামীম আক্তার হোসেন,
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর অধ্যুষিত এ দেশের জনপদ প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র্যে ভরপুর। হেমন্ত শেষ না হতেই শীতের আগমনী বার্তার জানান দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে আসা অতিথি পাখিরা। শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে হরেক প্রজাতির দেশি ও অতিথি পাখি আসা শুরু করেছে বাইক্কা বিলে। অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত এলাকা।
পাখিপ্রেমী পর্যটকরাও আসতে শুরু করেছেন। দল বেঁধে পানকৌড়ি বাইক্কা বিলের চারদিকে উড়ছে। জলের বুকে ঝাঁপ দিচ্ছে। খাদ্যের সন্ধানে পানকৌড়ি ডুব দিয়ে বিলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে ভাসমান অবস্থায় কিচিরমিচির করছে সরালি পাখির ঝাঁক। আরও দেখা গেছে, শামুকভাঙা ও অতিথি পাখি বেগুনি কালেমের। এ দৃশ্য এখন বাইক্কা বিলজুড়ে।
শীতের আগমনী বার্তার শুরুতে অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ও অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। শীত যত ঘনিয়ে আসবে ততই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এ বিলে আসবে। পুরো শীত মৌসুম কাটিয়ে বসন্তের শুরুতে গন্তব্যে উড়াল দেবে তারা। মৌলভীবাজার
জেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাইক্কা বিলজুড়ে এখন রয়েছে কচুরিপানা, জলজ উদ্ভিদ, শ্যাওলা, বিভিন্ন জাতের পদ্ম, শাপলা। এ ছাড়া বিলের তীরজুড়ে রয়েছে বনজ, ঔষধি ও প্রাকৃতিক ফলজ, বৃক্ষ-লতা। আয়েশি সময়ে পাখিরা রোদ পোহাতে এসব গাছে বিশ্রাম নেয়। হাইল হাওরের মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ বিলটিকে ২০০৩ সালে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্ষা মৌসুমে এ হাওরের আয়তন হয় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর। শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর। চাপড়া, মাগুরা, যাদুরিয়া বিল ও এর সংলগ্ন ডোবা এলাকা সমন্বয়ে গঠিত বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম। এ অভয়াশ্রম হাইল-হাওরের শতাধিক প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন এ অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এবং শ্রীমঙ্গল স্থানীয় সরকার কমিটি এ সংগঠনের কার্যক্রম দেখাশোনা ও পরামর্শ প্রদান এবং তদারকি করে থাকে।
শীত মৌসুমে বাইক্কা বিলে পাতি সরালি, ধলা বেলেহাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, মরচে রং, ভূতি হাঁস, দাগি ঘাসপাখি, ভুবন চিল, শঙ্খচিল, পানাসি, করঈগল, বাংলা শকুন, বড় গুটি ঈগল, পাতি পান মুরগি, নেউপিপি, মেটেমাথা টিটি, পাতি চ্যাগা, দেশি কানিবক, গোবগা, লালচে বক, কালামাথা কান্তেরা, ছোট পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখির বসবাস বছরজুড়েই রয়েছে। মাছের মধ্যে রয়েছে ঘনিয়া, কালিবাউস, রিটা, বোয়াল, ফলি, চিতল, কানি পাবদা, শোল, রানী, টাকি, সরপুঁটি, মলা, নামা, চান্দা, কই, তারাবাইম ইত্যাদি।
বাংলাদেশ বণ্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বন্য প্রাণীপ্রেমী সীতেশ রঞ্জন দেব সমকালকে মোবাইল ফোনে বলেন, বাইক্কা বিলে হিমালয়, ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে পাখিরা এসে থাকে। পাখিদের এ অভয়াশ্রমটিকে পর্যটনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য রাস্তাঘাটের সংস্কার করা জরুরি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
শীতের আগমনী বার্তার শুরুতে অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ও অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। শীত যত ঘনিয়ে আসবে ততই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এ বিলে আসবে। পুরো শীত মৌসুম কাটিয়ে বসন্তের শুরুতে গন্তব্যে উড়াল দেবে তারা। মৌলভীবাজার
জেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাইক্কা বিলজুড়ে এখন রয়েছে কচুরিপানা, জলজ উদ্ভিদ, শ্যাওলা, বিভিন্ন জাতের পদ্ম, শাপলা। এ ছাড়া বিলের তীরজুড়ে রয়েছে বনজ, ঔষধি ও প্রাকৃতিক ফলজ, বৃক্ষ-লতা। আয়েশি সময়ে পাখিরা রোদ পোহাতে এসব গাছে বিশ্রাম নেয়। হাইল হাওরের মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ বিলটিকে ২০০৩ সালে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্ষা মৌসুমে এ হাওরের আয়তন হয় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর। শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর। চাপড়া, মাগুরা, যাদুরিয়া বিল ও এর সংলগ্ন ডোবা এলাকা সমন্বয়ে গঠিত বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম। এ অভয়াশ্রম হাইল-হাওরের শতাধিক প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন এ অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এবং শ্রীমঙ্গল স্থানীয় সরকার কমিটি এ সংগঠনের কার্যক্রম দেখাশোনা ও পরামর্শ প্রদান এবং তদারকি করে থাকে।
শীত মৌসুমে বাইক্কা বিলে পাতি সরালি, ধলা বেলেহাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, মরচে রং, ভূতি হাঁস, দাগি ঘাসপাখি, ভুবন চিল, শঙ্খচিল, পানাসি, করঈগল, বাংলা শকুন, বড় গুটি ঈগল, পাতি পান মুরগি, নেউপিপি, মেটেমাথা টিটি, পাতি চ্যাগা, দেশি কানিবক, গোবগা, লালচে বক, কালামাথা কান্তেরা, ছোট পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখির বসবাস বছরজুড়েই রয়েছে। মাছের মধ্যে রয়েছে ঘনিয়া, কালিবাউস, রিটা, বোয়াল, ফলি, চিতল, কানি পাবদা, শোল, রানী, টাকি, সরপুঁটি, মলা, নামা, চান্দা, কই, তারাবাইম ইত্যাদি।
বাংলাদেশ বণ্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বন্য প্রাণীপ্রেমী সীতেশ রঞ্জন দেব সমকালকে মোবাইল ফোনে বলেন, বাইক্কা বিলে হিমালয়, ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে পাখিরা এসে থাকে। পাখিদের এ অভয়াশ্রমটিকে পর্যটনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য রাস্তাঘাটের সংস্কার করা জরুরি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
No comments