র ঙ বে র ঙ-দাবি আদায়ের হাতিয়ার
সরকার বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জনসাধারণ বা কর্মীরা যখন দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়, তখনই স্ট্রাইক বা ধর্মঘট করে। ডাক দেয় হরতালের। নানা কারণে বহুদিন আগে থেকেই আমরা হরতাল বা ধর্মঘট শব্দের সঙ্গে পরিচিত। বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য এবং দেশ স্বাধীন করতে আমাদের যেমন ধর্মঘট, হরতালের আশ্রয় নিতে হয়েছিল; স্বাধীন দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও জনসাধারণ রাজপথে নেমেছে বারবার।
হরতাল, ধর্মঘটের মাধ্যমে কোনো কোনো শাসককে ক্ষমতাচ্যুতও করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করে অনেক দাবিও আদায় করা সম্ভব হয়েছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বিচিত্র বিষয় নিয়ে ধর্মঘটের ঘটনা ঘটে। তারা তাতে সফলও হয়। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর থেকে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকার ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। অনুষ্ঠান নির্মাতারা অনুষ্ঠান বানানোর পেছনে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করত। প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে তা তুলেও নিত। কিন্তু লেখকদের পাওনা পরিশোধ করতে চাইত না। শুধু কমিকস ও অ্যানিমেশনের চিত্রনাট্যকারদের বিল পরিশোধ করত। এ কারণে লেখকরা আন্দোলন শুরু করে। অর্থ আদায়ের জন্য তারা হরতালও ডেকে বসে। মজার ব্যাপার হলো, অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী তাদের সঙ্গে যোগ তো দেয়ই, পিকেটিংয়েও অংশ নেয়।
উত্তর আমেরিকায় হকি খুব জনপ্রিয় খেলা। ২০০৪-২০০৫ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় হকি লীগের আগে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট করে বসে! কারণ কি? খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, একটি প্রতিষ্ঠান এক খেলোয়াড়ের বেতন দীর্ঘদিন ধরে দিচ্ছিলেন না। ফলে সব খেলোয়াড় একজোট হয়ে ধর্মঘট ডেকে বসে, যা 'হকি ধর্মঘট' নামে পরিচিত। হকির মতো ফুটবল ধর্মঘটও হয়েছিল ম্যাসাচুসেটসের জিলেট স্টেডিয়াম মাঠে।
নিউইয়র্ক শহরে অন্য শহর থেকে আসা শ্রমিকদের ঢুকতে না দেওয়ায় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে হরতাল ডেকে বসেছিল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। বিশ্বখ্যাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওয়াল-মার্টের কর্মীরা তাদের বেতন কাটা যাওয়ায় সম্প্রতি ধর্মঘট ডেকে বসেছিল। পরে আদালতের মাধ্যমে তা মিটমাট করে ফেলে মালিকপক্ষ।
দাবি আদায়ের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত এ রকম অসংখ্য ধর্মঘট বা হরতালের ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে তো এটি ডাল-ভাতের মতো। মন চাইলেই যে কেউ ডেকে বসতে পারে হরতাল। ফলে আমাদের দেশে হরতাল-ধর্মঘটের প্রকৃত মানেই বদলে গেছে।
সোহাগ আহমেদ
উত্তর আমেরিকায় হকি খুব জনপ্রিয় খেলা। ২০০৪-২০০৫ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় হকি লীগের আগে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট করে বসে! কারণ কি? খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, একটি প্রতিষ্ঠান এক খেলোয়াড়ের বেতন দীর্ঘদিন ধরে দিচ্ছিলেন না। ফলে সব খেলোয়াড় একজোট হয়ে ধর্মঘট ডেকে বসে, যা 'হকি ধর্মঘট' নামে পরিচিত। হকির মতো ফুটবল ধর্মঘটও হয়েছিল ম্যাসাচুসেটসের জিলেট স্টেডিয়াম মাঠে।
নিউইয়র্ক শহরে অন্য শহর থেকে আসা শ্রমিকদের ঢুকতে না দেওয়ায় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে হরতাল ডেকে বসেছিল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। বিশ্বখ্যাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওয়াল-মার্টের কর্মীরা তাদের বেতন কাটা যাওয়ায় সম্প্রতি ধর্মঘট ডেকে বসেছিল। পরে আদালতের মাধ্যমে তা মিটমাট করে ফেলে মালিকপক্ষ।
দাবি আদায়ের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত এ রকম অসংখ্য ধর্মঘট বা হরতালের ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে তো এটি ডাল-ভাতের মতো। মন চাইলেই যে কেউ ডেকে বসতে পারে হরতাল। ফলে আমাদের দেশে হরতাল-ধর্মঘটের প্রকৃত মানেই বদলে গেছে।
সোহাগ আহমেদ
No comments