মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড-নরসিংদীতে সন্ত্রস্ত মানুষ ভীত মন্ত্রী-এমপিরাও by পারভেজ খান ও সুমন বর্মণ

পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও নরসিংদীর বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। বাইরে থেকে দৈনন্দিন চালচিত্র স্বাভাবিক মনে হলেও ভেতরে ভেতরে কেমন যেন এক অজানা আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিরাও। সবাই একই কথা বলছেন-নরসিংদীতে খুনখারাবি আর সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। কিন্তু লোকমানকে হত্যার ঘটনা ব্যতিক্রম।


এতে সব কিছুই ওলট-পালট হয়ে গেছে। গত চার দিন বৃহত্তর নরসিংদীর পাঁচ থানা এলাকায় বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি আর রাজনীতিবিদ, যার সঙ্গেই কথা বলা হয়েছে সবাই এই আতঙ্ক আর অস্বাভাবিক পরিবেশের কথা বলেছেন।
নরসিংদীর এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, জনপ্রতিনিধি খুন নরসিংদীতে কোনো নতুন ঘটনা নয়। বলা চলে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এটা শুরু হয়েছে। ১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ মনোহরদীতে প্রথম খুন হন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ভুঁইয়া। এরপর ১৯৮৬ সালের ২৮ এপ্রিল শিবপুরে খুন হন আরেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আউয়াল খান কিরণ। এরপর পর্যায়ক্রমে আরো বেশ কয়েকজন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি খুন হয়েছেন। গত ১৫ মার্চ খুন হয়েছেন নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) বিল্লাল হোসেন রনি, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, তাঁর ছোট ভাই রিপন সরকার, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সহসভাপতি রায়পুরার মনিরুজ্জামান মনিরসহ আরো অনেকে। গত বৃহস্পতিবার রাতেও শহরের সাটিরপাড়ায় খুন হয়েছে মাসুম নামের এক যুবক। মাসুম নিজেও সন্ত্রাসী ছিল।
এই খুনের রাজনীতি বা সংস্কৃতি থেকে নরসিংদীবাসী বের হয়ে আসতে পারছে না। পাশাপাশি রয়েছে চর দখল নিয়ে নিত্যদিনের টেঁটাযুদ্ধ আর খুনখারাবি। কিন্তু এর পরও কখনো থামেনি জেলার জীবন স্পন্দন। কিন্তু আজ যেন সেটারই উপক্রম হতে চলেছে। ওই প্রবীণ বাসিন্দা এর জন্য দায়ী করেন রাজনীতিবিদদের অস্থিরতা, আধিপত্য নিয়ে বিরোধ আর ঈর্ষার মনোভাবকে। একজনের উত্থান আরেকজন কখনোই সহজভাবে মেনে নিতে পারেন না। সেটা নিজ দলেরই হোক আর প্রতিপক্ষেরই হোক।
নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি নিবারণ রায় কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ১৯৭২ সাল থেকে সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। নরসিংদীতে হত্যা, ডাকাতি কোনো ঘটনাই নয়। এসব হরহামেশা ঘটছে। কিন্তু লোকমান হত্যাকাণ্ডে যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, এমনটি আগে কখনো ঘটেনি। নরসিংদীর পুলিশ সূত্র মতে, স্বাধীনতার পর নরসিংদীতে তিন সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
সরেজমিন অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে জানা গেছে, নরসিংদীর ছয়টি উপজেলার মানুষের আতঙ্কের কথা। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। মন্ত্রীও এই অবস্থার বাইরে নেই।
লোকমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বড় ভাই ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নরসিংদীর মানুষ আজ আতঙ্কগ্রস্ত। তবে একটি মহল উদ্দেশ্যজনকভাবে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য। এটি কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। নরসিংদীর রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস ঘাঁটলেই বের হয়ে আসবে, এসবের পেছনে কার ভূমিকা কী?
রাজু বলেন, 'আমাদের এবং আওয়ামী লীগের মান ক্ষুণ্ন করার জন্যই আজ একটি মহল চক্রান্ত শুরু করেছে।' তিনি হত্যা ও আতঙ্ক সৃষ্টির রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। অথচ আজ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ঘিরে যে নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে, তাতে তিনিও আতঙ্ক বোধ করছেন।
নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী কালের কণ্ঠকে বলেন, একজন জনপ্রতিনিধিকে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। অথচ তাঁদেরই খুন করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে অন্যায়ের অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু যা শুরু হয়েছে, এটা ঠিক নয়। এটা কেমন রাজনীতি? ঘরের ভেতরে খুন হবেন লোকমানের মতো একজন আকাশছোঁয়া ভালোবাসা পাওয়া জনপ্রতিনিধি। তার ওপরে আবার ক্ষমতাসীন দলেরই একজন নেতা। মঞ্জুর এলাহী বলেন, এই ঘটনার পর থেকে অসুস্থ রাজনীতির ওপর শুধু তাঁর ঘৃণাই জন্মেনি, তিনি রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্তও। এখন রাস্তায় নয়, ঘরের মাঝেও তিনি ভয়ে থাকেন। একজন জনপ্রতিনিধির জন্য এই আতঙ্ক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবন্ধকও বলে তিনি মনে করেন।
নরসিংদীর শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক ভুঁইয়া মোহন বলেন, লোকমান হত্যার ঘটনা জনজীবনকে থমকে দিয়েছে। প্রতিটি মানুষ আজ স্বজন হারানোর যন্ত্রণায় কাঁদছে। আজ নরসিংদীবাসী আতঙ্কগ্রস্ত, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি নিজেও আতঙ্কিত। লোকমান হত্যাকাণ্ডের পর কথা হয়েছিল মনোহরদী বেলাবো এলাকার সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে। তিনিও বলেছিলেন, এই ঘটনায় শুধু তিনি নিজে নন, পুরো নরসিংদীবাসী আতঙ্কগ্রস্ত।
পলাশ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খান দিলীপ বলেন, এই নির্মম আর বর্বর ঘটনায় তিনি শুধু শোক আর যন্ত্রণায় কাতর নন, নিজেও ভীতসন্ত্রস্ত। হত্যাকাণ্ডের পর জেলা আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় তিনি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেছেন। প্রকাশ করেছেন তাঁদের আশঙ্কার কথা।
আশরাফ খান বলেন, 'আমার ধারণা, আগের ঘটনাগুলোর সঠিক বিচার হয়নি। আর এই কারণেই আরেকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো। আমি মনে করি, হত্যাকাণ্ডগুলোর দ্রুত ও সঠিক বিচার না হলে এই হত্যা প্রবণতা বন্ধ করা যাবে না। কোনো ভালো মানুষ আর রাজনীতিতে আসবেন না। যাঁরা আছেন, তাঁরাও সরে যাবেন। এতে করে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে নরসিংদীর রাজনীতিতে।'
শিবপুরের চক্রধা ইউপির চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা আতঙ্কিত কি না, এটা কোনো প্রশ্নই হতে পারে না। লোকমানের মতো মানুষ যেখানে খুন হতে পারে, সেখানে কে আতঙ্কগ্রস্ত নয়? আজ সব জনপ্রতিনিধির জীবনই হুমকির মুখে। পদে পদে ভয়। ঘাড়ের ওপর কারো নিঃশ্বাস পড়লেই পেছনে ঘাতক ভেবে বুকের ভেতর চমকে ওঠে।' কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এস কাইয়ুম বললেন, তিনিও আজ আতঙ্কগ্রস্ত। বাসা থেকে বের হতে ভয় পান। লোকমান হত্যাকাণ্ডের পর তাঁকেও হত্যা করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
কালের কণ্ঠকে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক বলেন, লোকমান হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত। তিনি মনে করেন, এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্তরাই পারে এই আতঙ্ক কমিয়ে আনতে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেও দায়ী করেন।
লোকমানের ভাই এবং হত্যা মামলার বাদী কামরুজ্জামান বললেন, তিনি আশঙ্কা করছেন না, তিনি নিশ্চিত হয়েছেন, তাঁকে খুনের পরিকল্পনা চলছে। শঙ্কা প্রকাশ করেছেন লোকমানের স্ত্রী নুশরাত বুবলীও।
রায়পুরার বাসিন্দা এবং নরসিংদীর প্রবীণ রাজনীতিবিদ ফজলুল হক খন্দকার, শিবপুরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফটিক মাস্টার, মনোহরদীর নুরুল ইসলাম, পলাশ উপজেলার হেলাল উদ্দিন, বেলাবর মতিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁদের এলাকার বাসিন্দারাও আজ আতঙ্কগ্রস্ত। যেখানে লোকমানের মতো একজন জনবন্ধু নেতা খুন হতে পারে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটুকু। নরসিংদীতে এই ধরনের আতঙ্ক এর আগে কখনো সৃষ্টি হয়নি বলে তাঁরা জানান।
নরসিংদী পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তাঁদের কর্মকাণ্ড গোয়েন্দাভিত্তিক। তাঁদের কাছেও মনে হয়েছে, মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশি ব্যবস্থা জোরালো আছে বলে তিনি জানান।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের একটি হত্যাকাণ্ডের পর আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে তিনি মনে করেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। নরসিংদীতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ব্যবস্থা। শিগগিরই এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
লোকমান হত্যা মামলার তদন্ত
লোকমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রিমান্ডে নেওয়া সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে বের হয়ে আসছে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এত দিন যারা পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল, ঘাতক হিসেবে তাদের সম্পৃক্ততার পাল্লাটি আরো ভারী হচ্ছে।
পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন, তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক মামুনুর রশিদ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও মেয়রের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরোধজনিত ঘটনা। এটা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে এটি সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
নিহতর পরিবারসহ এলাকার বেশির ভাগ লোকের ভাষ্য, পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর বাচ্চুর সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য বের হয়ে আসবে বলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলছে না পুলিশ। এখনো পুলিশ এজাহারভুক্ত ১৪ আসামির মধ্যে ১৩ জনকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, আসামির রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয় তাঁদের ধর্তব্য নয়। অপরাধী যেই হোক, তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। অহেতুক যাতে কেউ এ ধরনের মামলায় হয়রানির শিকার না হয়, সে কারণে তাদের অনেক ভেবেচিন্তে এগোতে হচ্ছে। বিলম্ব হওয়ার কারণে আসামিদের পালিয়ে যাওয়া বা আত্মগোপনের সুযোগ ঘটবে কি না_জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপরাধীকে ধরা পড়তেই হবে। পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলার তদন্ত নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। তদন্ত নিরপেক্ষভাবে, তার সঠিক পথেই চলছে। একটা মানসম্মত তদন্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা অপরাধ স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আরো তথ্য দিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ পরবর্তী পরিকল্পনা করছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি বা তাঁর ভাই কোনোভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নন। আর তাঁর পক্ষে কোনো খুনিকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং ফায়দা লুটতে এসব রটানো হচ্ছে।
গত ১ নভেম্বর রাতে সন্ত্রাসীর গুলিতে মারা যান নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন। নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আসামিদের ১২ জনই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জড়িত। হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ছয়জন। তারা হচ্ছে আশরাফ হোসেন সরকার, হাজি সেলিম, কাজী টিপ্পন, ফারুক, মাহফুজ ও শাহিন। মাহফুজ ও শাহিনসহ অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার আছে নাসির নামের আরো একজন।

No comments

Powered by Blogger.