গোদাগাড়ী সাবরেজিস্ট্রার অফিস-ঘুষের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষে বিরোধ চরমে
রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাবরেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে নিয়মিত অবৈধভাবে টাকা আদায় করা হয়। এ অবৈধ আদায়ের পরিমাণ মাসে পাঁচ লাখ টাকা। দিনের নির্ধারিত সময়ের পরে দলিল হলে তাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের উৎকোচ। বছরে আদায় হয় ৬০ লাখ টাকা। এসব টাকা দলিল লেখক সমিতির মাধ্যমেই আদায় করা হয়। জেলার অন্যান্য সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একই পরিস্থিতি।
অবৈধভাবে আদায় করা টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী দলিল লেখক সমিতির নেতাদের মধ্যে সমপ্রতি সংঘটিত বিরোধের জের ধরে গত রবিবার এক পক্ষ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করে। টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দলিল লেখক সমিতির দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গোদাগাড়ী সাবরেজিস্ট্রার অফিসে মাসে ৭০০-র বেশি দলিল সম্পাদিত হয়। সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে জমির ক্রেতার কাছ থেকে সমিতির নামে ৩০০ টাকা আর সাবরেজিস্ট্রারের নামে ৪০০ টাকাসহ মোট ৭০০ টাকা আদায় করা হয় অবৈধভাবে। এ টাকা না দিলে কোনো লেখকই দলিল সম্পাদনে রাজি হন না। জানা গেছে, অবৈধভাবে উত্তোলিত টাকার মধ্যে মাস শেষে সাবরেজিস্ট্রারকে তাঁর অংশের টাকা বুঝিয়ে দেন সমিতির কর্মকর্তারা। লেখকদের অংশের টাকা সমিতির হিসাবে জমা করা হয় এবং কিছু কিছু ভাগ করা হয়। মাস শেষে অবস্থান অনুযায়ী লেখকরা নিজেদের মধ্যে এ টাকা বণ্টন করেন। অভিযোগে জানা গেছে, ভাগ-বণ্টনের পর গোদাগাড়ী দলিল লেখক সমিতির হিসাবে গত কয়েক বছরের জমা বাবদ প্রায় ৭০ লাখ টাকা ছিল। সমিতির বর্তমান সভাপতি হুমায়ুন কবির ও দলিল লেখক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল দলিল লেখক সমপ্রতি সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম, বর্তমান সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ কোরবান আলীর কাছে গত তিন বছরে সমিতির হিসাবে জমা হওয়া ৭০ লাখ টাকার হিসাব দাবি করে শেষ পর্যন্ত একটি কমিটি গঠন করে সমিতির হিসাবে ৫৩ লাখ টাকা জমা থাকার হিসাব পাওয়া যায়। বর্তমান সভাপতি এ টাকা ভাগ-বণ্টনের দাবিতে কয়েক দিন আগে সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। শেষ পর্যন্ত সাবেক কোষাধ্যক্ষ কোরবানের কাছ থেকে ৫৩ লাখ টাকা জমা আছে মর্মে একটি স্ট্যাম্প করে নেন। এ নিয়েই মুখোমুখি দলিল লেখকরা।
সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘুষের টাকা ঘুষেই চলে গেছে। কোনো টাকা জমা নেই। কিন্তু বর্তমান সভাপতি হুমায়ুন কবিরের মতে নিয়ম করে দলিলপ্রতি সমিতির নামে টাকা নেওয়া হয়। এ টাকা সব দলিল লেখকের। সবাই দাবিদার। তিনি দাবি করেন, সাবেক সভাপতিসহ কয়েকজন সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গোদাগাড়ী সাবরেজিস্ট্রার অফিসে মাসে ৭০০-র বেশি দলিল সম্পাদিত হয়। সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে জমির ক্রেতার কাছ থেকে সমিতির নামে ৩০০ টাকা আর সাবরেজিস্ট্রারের নামে ৪০০ টাকাসহ মোট ৭০০ টাকা আদায় করা হয় অবৈধভাবে। এ টাকা না দিলে কোনো লেখকই দলিল সম্পাদনে রাজি হন না। জানা গেছে, অবৈধভাবে উত্তোলিত টাকার মধ্যে মাস শেষে সাবরেজিস্ট্রারকে তাঁর অংশের টাকা বুঝিয়ে দেন সমিতির কর্মকর্তারা। লেখকদের অংশের টাকা সমিতির হিসাবে জমা করা হয় এবং কিছু কিছু ভাগ করা হয়। মাস শেষে অবস্থান অনুযায়ী লেখকরা নিজেদের মধ্যে এ টাকা বণ্টন করেন। অভিযোগে জানা গেছে, ভাগ-বণ্টনের পর গোদাগাড়ী দলিল লেখক সমিতির হিসাবে গত কয়েক বছরের জমা বাবদ প্রায় ৭০ লাখ টাকা ছিল। সমিতির বর্তমান সভাপতি হুমায়ুন কবির ও দলিল লেখক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল দলিল লেখক সমপ্রতি সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম, বর্তমান সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ কোরবান আলীর কাছে গত তিন বছরে সমিতির হিসাবে জমা হওয়া ৭০ লাখ টাকার হিসাব দাবি করে শেষ পর্যন্ত একটি কমিটি গঠন করে সমিতির হিসাবে ৫৩ লাখ টাকা জমা থাকার হিসাব পাওয়া যায়। বর্তমান সভাপতি এ টাকা ভাগ-বণ্টনের দাবিতে কয়েক দিন আগে সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। শেষ পর্যন্ত সাবেক কোষাধ্যক্ষ কোরবানের কাছ থেকে ৫৩ লাখ টাকা জমা আছে মর্মে একটি স্ট্যাম্প করে নেন। এ নিয়েই মুখোমুখি দলিল লেখকরা।
সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘুষের টাকা ঘুষেই চলে গেছে। কোনো টাকা জমা নেই। কিন্তু বর্তমান সভাপতি হুমায়ুন কবিরের মতে নিয়ম করে দলিলপ্রতি সমিতির নামে টাকা নেওয়া হয়। এ টাকা সব দলিল লেখকের। সবাই দাবিদার। তিনি দাবি করেন, সাবেক সভাপতিসহ কয়েকজন সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
No comments