স্বপ্ন দেখি স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়ারঃ কুলদীপ নায়ার
ভারতীয় সাংবাদিক ও কলামিস্ট কুলদীপ নায়ার বলেছেন, যেহেতু ভারত ও বাংলাদেশ ৫০টিরও বেশি অভিন্ন নদীর যৌথ অংশীদার, ভারতের উচিত যেকোনো নদী-সংক্রান্ত কার্যক্রমেই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। আজ মঙ্গলবার প্রথম আলো কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। কুলদীপ নায়ার বলেন, পানি-সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা ও বিতর্কের সমাধানে ভারত ও বাংলাদেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি এ ব্যাপারে নেপালকে অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেন। কুলদীপ আরও বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি দক্ষিণ এশিয়ার এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে ভিসা-পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো এখানেও অভিন্ন একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে কিন্তু প্রতিটি দেশের আলাদা সত্তা অক্ষুণ্ন থাকবে। স্বপ্ন দেখি এক স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়ার। পুরো বিষয়টিই স্বপ্ন হতে পারে কিন্তু এ সুন্দর স্বপ্ন দেখতে তো বারণ নেই।’
ভারতীয় সেনাবাহিনী শক্তিশালী ও আকারে অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। এর নেপথ্য কারণটি কী—এই প্রশ্নের উত্তরে কুলদীপ নায়ার বলেন, স্বাধীনতার পরপরই ভারতের ক্ষমতায় ছিলেন জওহরলাল নেহরুর মতো অসম্ভব জনপ্রিয় একজন রাজনীতিক। তিনি দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালী ভিত্তি দিয়ে গেছেন।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী এক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিল্ড মার্শাল মানেক’শ ছিলেন মিত্রবাহিনীর সেনাপ্রধান। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর পুরো ভারতে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয়তা পান। সে সময় অনেকের মুখে তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের জল্পনাও শুরু হয়েছিল। ক্রমে তা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কানে ওঠে। তিনি মানেক’শর কাছে বিষয়টি খোলাখুলিভাবে জানতে চান। ইন্দিরা গান্ধীর প্রশ্নের জবাবে মানেক’শ বিব্রত হয়ে বলেন, রাজনীতি করা তাঁর কাজ নয়—দেশ চালানোও নয়। তিনি কেবল রাষ্ট্রের অধীনে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর এ মন্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এর পরপরই তিনি ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, উপসম্পাদক আনিসুল হক, সিনিয়র সহকারী সম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া, সহকারী সম্পাদক মশিউল আলম, বার্তা সম্পাদক সেলিম খান প্রমুখ।
ভারতীয় সেনাবাহিনী শক্তিশালী ও আকারে অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। এর নেপথ্য কারণটি কী—এই প্রশ্নের উত্তরে কুলদীপ নায়ার বলেন, স্বাধীনতার পরপরই ভারতের ক্ষমতায় ছিলেন জওহরলাল নেহরুর মতো অসম্ভব জনপ্রিয় একজন রাজনীতিক। তিনি দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালী ভিত্তি দিয়ে গেছেন।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী এক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিল্ড মার্শাল মানেক’শ ছিলেন মিত্রবাহিনীর সেনাপ্রধান। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর পুরো ভারতে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয়তা পান। সে সময় অনেকের মুখে তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের জল্পনাও শুরু হয়েছিল। ক্রমে তা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কানে ওঠে। তিনি মানেক’শর কাছে বিষয়টি খোলাখুলিভাবে জানতে চান। ইন্দিরা গান্ধীর প্রশ্নের জবাবে মানেক’শ বিব্রত হয়ে বলেন, রাজনীতি করা তাঁর কাজ নয়—দেশ চালানোও নয়। তিনি কেবল রাষ্ট্রের অধীনে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর এ মন্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এর পরপরই তিনি ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, উপসম্পাদক আনিসুল হক, সিনিয়র সহকারী সম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া, সহকারী সম্পাদক মশিউল আলম, বার্তা সম্পাদক সেলিম খান প্রমুখ।
No comments