আইএমএফের ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্থিক খাতে লাগাম টেনে ধরার পরামর্শ দিয়েছে ঋণদাতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সরকারের বর্ধিত ঋণ ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতিকে আরো বাড়িয়ে দেবে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি। ভর্তুকি ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, সামাজিক খাতে ব্যয় বাড়ানো এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যই সরকারকে ভর্তুকি ব্যয় কমাতে হবে।
এ জন্য সংস্থাটি জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখার ওপর মত দিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি এটিরি কিনত্রাজে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে অনেক ভালো। বর্তমান প্রবৃদ্ধিতে পোশাক খাত এ দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। তবে রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় চাপের মুখে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বর্তমানে চার মাসের আমদানির সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখছে। সেখানে বাংলাদেশে তিন মাসেরও কম সময়ের রিজার্ভ রয়েছে। এসব কারণে আমেরিকান ডলারের বিপরীতে দিন দিন টাকার মান কমছে বলে আইএমএফ ধারণা করছে।
এটিরি কিনত্রাজে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যৌক্তিকভাবেই নগদ জমা সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্যই সিআরআর এবং এসএলআর বাড়িয়েছিল। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ন করার মতো উদ্যোগ নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। অর্থনীতিতে এর দায় অনেক বেশি হওয়ার প্রেক্ষাপটেই ভর্তুকি প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ভর্তুকি বাজেটে অনুমিত ১৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় পেঁৗছাবে। যদি মূল্য সমন্বয় না করা হয় তাহলে এ ভর্তুকি মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ব্যাংক পুঁজিবাজারে অতিমাত্রায় বিনিয়োগ করেছে। ফলে মুদ্রাবাজারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, 'জ্বালানি তেলের মূল্যস্ফীতি কমাতে এবং উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ওপর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দূর করতে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা জরুরি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সরকার ও জনগণ। আমরা অসামঞ্জস্যতাই তুলে ধরছি।'
কিনত্রাজে বলেন, জ্বালানি মূল্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পার্থক্য রয়েছে। ফলে জ্বালানি পাচারের ঘটনাও ঘটতে পারে। আইএমএফ জানিয়েছে, সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে দেশের রিজার্ভ বাড়ছে। এটা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ তৈরি করছে। এরই মধ্যে তা দুই অঙ্কের ঘরে পেঁৗছেছে। এভাবে চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি এটিরি কিনত্রাজে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে অনেক ভালো। বর্তমান প্রবৃদ্ধিতে পোশাক খাত এ দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। তবে রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় চাপের মুখে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বর্তমানে চার মাসের আমদানির সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখছে। সেখানে বাংলাদেশে তিন মাসেরও কম সময়ের রিজার্ভ রয়েছে। এসব কারণে আমেরিকান ডলারের বিপরীতে দিন দিন টাকার মান কমছে বলে আইএমএফ ধারণা করছে।
এটিরি কিনত্রাজে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যৌক্তিকভাবেই নগদ জমা সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্যই সিআরআর এবং এসএলআর বাড়িয়েছিল। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ন করার মতো উদ্যোগ নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। অর্থনীতিতে এর দায় অনেক বেশি হওয়ার প্রেক্ষাপটেই ভর্তুকি প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ভর্তুকি বাজেটে অনুমিত ১৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় পেঁৗছাবে। যদি মূল্য সমন্বয় না করা হয় তাহলে এ ভর্তুকি মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ব্যাংক পুঁজিবাজারে অতিমাত্রায় বিনিয়োগ করেছে। ফলে মুদ্রাবাজারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, 'জ্বালানি তেলের মূল্যস্ফীতি কমাতে এবং উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ওপর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দূর করতে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা জরুরি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সরকার ও জনগণ। আমরা অসামঞ্জস্যতাই তুলে ধরছি।'
কিনত্রাজে বলেন, জ্বালানি মূল্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পার্থক্য রয়েছে। ফলে জ্বালানি পাচারের ঘটনাও ঘটতে পারে। আইএমএফ জানিয়েছে, সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে দেশের রিজার্ভ বাড়ছে। এটা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ তৈরি করছে। এরই মধ্যে তা দুই অঙ্কের ঘরে পেঁৗছেছে। এভাবে চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে।
No comments