প্রকৃতি-লাল শাপলায় রাঙা হালদার বিল by সুমন বর্মণ,
লাল শাপলাকে গ্রামগঞ্জের মানুষ রক্ত শাপলাও বলে থাকে। এ লাল শাপলার সৌন্দর্যে ঝলমল করছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাজবাড়ী গ্রামের হালদার বিল। শাপলার রাঙা রূপে জুড়িয়ে যায় চোখ। সৌন্দর্যপিপাসুদের মন কেড়ে নিচ্ছে লাল শাপলা। পাশাপাশি ওষুধ ও সবজি হিসেবেও এ শাপলার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।
খাদ্য হিসেবেও এটি গ্রাম ও শহরে বেশ প্রচলিত। শাপলার ভরা মৌসুম সেপ্টেম্বর-অক্টোবর। কখনো কখনো নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় দেশের হাওর-বাঁওড়, বিল-ঝিলে বিপুল শাপলা ফোটে। শাপলা সাধারণত লাল ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। লাল শাপলা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি খুব পুষ্টিগুণসম্পন্ন সবজি। শাপলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে, শাপলায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি।
শাপলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিবপুর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সত্য রঞ্জন সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতার খাদ্যপ্রাণে রয়েছে ১ দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১ দশমিক ১ গ্রাম আঁশ, ৩ দশমিক ১ গ্রাম ক্যালোরি-প্রোটিন, ৩১ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা ও ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এর ফল দিয়ে সুস্বাদু খই তৈরি হয়, যা গ্রামগঞ্জে ঢ্যাপের খই নামে পরিচিত। আর মাটির নিচের মূলকে শালুক বলে। এ শালুকও খাওয়া যায়। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু ও উপকারী।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রায় ৪০-৪৫ বছর আগে কবিরাজ চেরাগ আলী প্রধান নামের এক ব্যক্তি ঔষধি জলজ উদ্ভিদের একটি লাল শাপলার মূল রোপণ করেছিলেন হালদার বিলে। সেই একটি থেকে আজ প্রায় ৫০০ একর আয়তনের পুরো বিল লাল শাপলায় ছেয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম এলেই নজরকাড়া শাপলায় ভরে ওঠে কড়াই বিল। লাল শাপলা শুধু সৌন্দর্যই বিকশিত করেনি, শাপলা কুড়িয়ে আর্থিকভাবেও উপকৃত হয়েছে এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবার। স্থানীয় লোকজন এসব শাপলা ও শালুক তুলে বিক্রি করছে হাটবাজারে। বিভিন্ন স্থানের কবিরাজও ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য সংগ্রহ করছেন এ শাপলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব আকাশের লাল সূর্য আলো ছড়াচ্ছে ধরণিতে। কিন্তু সূর্যের লাল আলোকে হার মানিয়েছে হালদার বিলের শাপলার রং। লাল শাপলা যেন আবির ছড়িয়ে রেখেছে হালদার বিলজুড়ে। প্রথম দেখায় মনে হবে, বিল নয়, যেন প্রকৃতির বুকে আঁকা বিশাল এক নকশি কাঁথা। এরই মধ্যে গ্রামের ছোট ছোট শিশু খালি শরীরে শাপলা তুলতে ব্যস্ত।
লাল শাপলা তুলতে আসা সোহরাব মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, শাপলার ডাঁটা সবজি হিসেবে রান্না করা হয়। তাই বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক। তাঁরা প্রতি আঁটি শাপলা ১০ টাকা করে বিক্রি করেন। বাজার থেকে পাইকাররা শাপলার আঁটি কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন।
এলাকাবাসী তাজুল ইসলাম বলেন, লাল শাপলায় সকালে পুরো বিলে এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটন্ত ফুলগুলো পুনরায় তার পাপড়িগুলোকে গুছিয়ে কলিতে রূপান্তরিত হয়। তাই সকালে লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের মানুষ ভিড় করে। ফেরার সময় কেউ কেউ বিল থেকে একটি-দুটি লাল শাপলা নিয়েও যায়।
হালদার বিলের লাল শাপলা দেখতে আসা নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'লাল শাপলার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ। অন্য যেকোনো পর্যটন স্থানের চেয়ে হালদার বিলের লাল শাপলার সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু প্রচারের অভাবে অনেকেই এর কথা জানতে পারছে না।'
ওষুধ ও সবজির পাশাপাশি বিলের জমির উর্বরতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে লাল শাপলা। রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেনজীর আলম বলেন, লাল শাপলার গোড়ায় যে মূল থাকে, সেগুলো পচে জৈব সার তৈরি হয়। এ কারণে অন্যান্য জমির তুলনায় হালদার বিলে বোরো ফসলের ফলন ভালো হয়।
শাপলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিবপুর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সত্য রঞ্জন সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতার খাদ্যপ্রাণে রয়েছে ১ দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১ দশমিক ১ গ্রাম আঁশ, ৩ দশমিক ১ গ্রাম ক্যালোরি-প্রোটিন, ৩১ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা ও ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এর ফল দিয়ে সুস্বাদু খই তৈরি হয়, যা গ্রামগঞ্জে ঢ্যাপের খই নামে পরিচিত। আর মাটির নিচের মূলকে শালুক বলে। এ শালুকও খাওয়া যায়। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু ও উপকারী।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রায় ৪০-৪৫ বছর আগে কবিরাজ চেরাগ আলী প্রধান নামের এক ব্যক্তি ঔষধি জলজ উদ্ভিদের একটি লাল শাপলার মূল রোপণ করেছিলেন হালদার বিলে। সেই একটি থেকে আজ প্রায় ৫০০ একর আয়তনের পুরো বিল লাল শাপলায় ছেয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম এলেই নজরকাড়া শাপলায় ভরে ওঠে কড়াই বিল। লাল শাপলা শুধু সৌন্দর্যই বিকশিত করেনি, শাপলা কুড়িয়ে আর্থিকভাবেও উপকৃত হয়েছে এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবার। স্থানীয় লোকজন এসব শাপলা ও শালুক তুলে বিক্রি করছে হাটবাজারে। বিভিন্ন স্থানের কবিরাজও ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য সংগ্রহ করছেন এ শাপলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব আকাশের লাল সূর্য আলো ছড়াচ্ছে ধরণিতে। কিন্তু সূর্যের লাল আলোকে হার মানিয়েছে হালদার বিলের শাপলার রং। লাল শাপলা যেন আবির ছড়িয়ে রেখেছে হালদার বিলজুড়ে। প্রথম দেখায় মনে হবে, বিল নয়, যেন প্রকৃতির বুকে আঁকা বিশাল এক নকশি কাঁথা। এরই মধ্যে গ্রামের ছোট ছোট শিশু খালি শরীরে শাপলা তুলতে ব্যস্ত।
লাল শাপলা তুলতে আসা সোহরাব মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, শাপলার ডাঁটা সবজি হিসেবে রান্না করা হয়। তাই বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক। তাঁরা প্রতি আঁটি শাপলা ১০ টাকা করে বিক্রি করেন। বাজার থেকে পাইকাররা শাপলার আঁটি কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন।
এলাকাবাসী তাজুল ইসলাম বলেন, লাল শাপলায় সকালে পুরো বিলে এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটন্ত ফুলগুলো পুনরায় তার পাপড়িগুলোকে গুছিয়ে কলিতে রূপান্তরিত হয়। তাই সকালে লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের মানুষ ভিড় করে। ফেরার সময় কেউ কেউ বিল থেকে একটি-দুটি লাল শাপলা নিয়েও যায়।
হালদার বিলের লাল শাপলা দেখতে আসা নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'লাল শাপলার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ। অন্য যেকোনো পর্যটন স্থানের চেয়ে হালদার বিলের লাল শাপলার সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু প্রচারের অভাবে অনেকেই এর কথা জানতে পারছে না।'
ওষুধ ও সবজির পাশাপাশি বিলের জমির উর্বরতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে লাল শাপলা। রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেনজীর আলম বলেন, লাল শাপলার গোড়ায় যে মূল থাকে, সেগুলো পচে জৈব সার তৈরি হয়। এ কারণে অন্যান্য জমির তুলনায় হালদার বিলে বোরো ফসলের ফলন ভালো হয়।
No comments