সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস সর্বত্র চালু হচ্ছে না by বদরুদ্দোজা সুমন
সরকারি খাতে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য 'প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস' চালুর প্রস্তাবটি ঝুলে আছে। স্বায়ত্তশাসিত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সেবাটি চালু করেছে। কিন্তু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যায়ে চালুর বিষয়ে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেই। ফলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও ফি আদায়ে যা ইচ্ছা তাই হচ্ছে। প্রাইভেট চেম্বারে প্রথমবার কনসালটেশনের সময় প্রদত্ত ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতেও ফি আদায় করছেন
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইনে এ বিষয়গুলো অগ্রাহ্য করা হয়েছে।রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার একটি অভিজাত হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন ঢাকা মেডিকেলের এক অধ্যাপক। তিনি ৬০০ টাকা কনসালটেশন ফি নেন। রিপোর্ট দেখতে নেন ৩৫০ টাকা। সব মিলিয়ে একবার তার কাছ থেকে সেবা নিতে লাগে ৯৫০ টাকা। বাংলামটর এলাকায় এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে ৭০০ টাকা ফি গুনতে হয়। স্বাস্থ্য অধিকার কর্মীরা বলছেন, এ ধরনের কাজ চরম অনৈতিক। রিপোর্ট অবশ্যই বিনামূল্যে দেখা উচিত।
চিকিৎসকদের বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সমকালকে জানান, সপ্তাহে রোটেশন এবং প্রণোদনা পদ্ধতির মাধ্যমে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে 'প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস' চালুর সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে। চেম্বারে
ইচ্ছামতো ফি আদায়কে বিএমএ সমর্থন করে না।
কয়েক দিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮২ সালে কেবল একবারই চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। 'দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেজুলেশন) অর্ডিন্যান্স'-এ প্রথম কনসালটেশনে ৪০ টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারিত হয়। দ্বিতীয়বারে ২০ টাকা এবং চিকিৎসক বাসায় গিয়ে রোগী দেখলে ৮০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়ার বিধান জারি করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের উদ্যোগ পেশাজীবী চিকিৎসক সংগঠনের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে। ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তীব্র চাপের মুখে প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ পূর্ববর্তী সরকারের জারিকৃত আদেশ বাতিলে বাধ্য হন। ২০০০ সালে একটি নির্দেশনা জারির তথ্য শোনা গেলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে সরকারি তরফে ফি নির্ধারণের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অফিস সময়ের বাইরে সাতটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০০ টাকা ফির বিনিময়ে রোগী দেখছেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ রোগী এ সেবা পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্ত বলেন, মানুষের স্বার্থেই আমরা এ সেবা চালাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মেডিকেলে এটি চালু করলে মানুষ উপকৃত হবে।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিভিন্ন বিভাগের কনসালটেন্টদের ফি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। জুনিয়র কনসালটেন্টদের ফি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। খণ্ডকালীন বিদেশি স্বনামধন্য চিকিৎসক এলে কনসালটেশন ফি কমপক্ষে এক হাজার টাকা। ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, চিফ কনসালটেন্ট বা সার্জন ও বিশেষায়িত শাখার পরিচালক পদমর্যাদাধারীরা প্রথমবারে ৮০০ টাকা নিয়ে থাকেন। জুনিয়রদের বেলায় রাখা হয় ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ্যাপোলো ও ল্যাবএইড হাসপাতাল সূত্রও প্রায় একই ধরনের তথ্য জানিয়েছে। এগুলো বড় করপোরেট হাসপাতাল। তাই ফি অনেকটা বেশি। কিন্তু বিভিন্ন অলিগলিতে গড়ে ওঠা প্রাইভেট চেম্বারের চিত্রও খুব বেশি আলাদা নয়।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব সমকালকে জানান, চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কোনো 'রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে' চলছে না। রাষ্ট্রের একটা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চয়ই থাকা চাই। সরকার যৌক্তিকতা যাচাই করে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে দিতে পারে। বিভিন্ন দেশে পেশাজীবীরা নিজেরাই যৌক্তিকভাবে ফি নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার নজির রয়েছে।
স্বাস্থ্যনীতিতে সুরাহা নেই
জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত স্বাস্থ্যনীতিতে কেবল আবাসিক চিকিৎসক বা সার্জন, জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও নন-ক্লিনিক্যাল বিষয়ে কর্মরতদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের কথা বলা হয়েছে। তবে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা অথবা চেম্বারে আদায়যোগ্য সর্বোচ্চ ফি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালুর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে জাতীয় কমিটির বৈঠকে দফায় দফায় আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ও চিকিৎসক প্রতিনিধিরা বারবার আশ্বস্ত করলেও অনুমোদিত নীতিতে তা না থাকায় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।
দায়সারা বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখা জানায়, দেশে বেসরকারি খাতে নিবন্ধিত হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮১৫টি। অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৪ হাজার ৮১০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট প্র্যাকটিসরতরা তদারকির বাইরে। 'বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন-২০১১' নামে একটি আইন প্রণয়নে প্রক্রিয়া চললেও খসড়ায় চেম্বারে চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ বিষয়ে কিছু বলা নেই। আইনটি প্রণয়নে জড়িত কোর কমিটির এক সদস্য সমকালকে জানান, চিকিৎসক প্রতিনিধিদের বাধার মুখে ফি নির্ধারণের চেষ্টা সফল হয়নি। খসড়াটি এখন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার সিফায়েত উল্লাহ বলেন, চিকিৎসকরা নিজের চেয়ে রোগীর স্বার্থকে বড় করে দেখবেন_ মানুষ এটাই আশা করে। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে একটি যৌক্তিক সমাধানে পেঁৗছানো খুবই জরুরি।
চিকিৎসকদের বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সমকালকে জানান, সপ্তাহে রোটেশন এবং প্রণোদনা পদ্ধতির মাধ্যমে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে 'প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস' চালুর সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে। চেম্বারে
ইচ্ছামতো ফি আদায়কে বিএমএ সমর্থন করে না।
কয়েক দিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮২ সালে কেবল একবারই চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। 'দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেজুলেশন) অর্ডিন্যান্স'-এ প্রথম কনসালটেশনে ৪০ টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারিত হয়। দ্বিতীয়বারে ২০ টাকা এবং চিকিৎসক বাসায় গিয়ে রোগী দেখলে ৮০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়ার বিধান জারি করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের উদ্যোগ পেশাজীবী চিকিৎসক সংগঠনের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে। ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তীব্র চাপের মুখে প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ পূর্ববর্তী সরকারের জারিকৃত আদেশ বাতিলে বাধ্য হন। ২০০০ সালে একটি নির্দেশনা জারির তথ্য শোনা গেলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে সরকারি তরফে ফি নির্ধারণের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অফিস সময়ের বাইরে সাতটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০০ টাকা ফির বিনিময়ে রোগী দেখছেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ রোগী এ সেবা পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্ত বলেন, মানুষের স্বার্থেই আমরা এ সেবা চালাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মেডিকেলে এটি চালু করলে মানুষ উপকৃত হবে।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিভিন্ন বিভাগের কনসালটেন্টদের ফি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। জুনিয়র কনসালটেন্টদের ফি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। খণ্ডকালীন বিদেশি স্বনামধন্য চিকিৎসক এলে কনসালটেশন ফি কমপক্ষে এক হাজার টাকা। ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, চিফ কনসালটেন্ট বা সার্জন ও বিশেষায়িত শাখার পরিচালক পদমর্যাদাধারীরা প্রথমবারে ৮০০ টাকা নিয়ে থাকেন। জুনিয়রদের বেলায় রাখা হয় ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ্যাপোলো ও ল্যাবএইড হাসপাতাল সূত্রও প্রায় একই ধরনের তথ্য জানিয়েছে। এগুলো বড় করপোরেট হাসপাতাল। তাই ফি অনেকটা বেশি। কিন্তু বিভিন্ন অলিগলিতে গড়ে ওঠা প্রাইভেট চেম্বারের চিত্রও খুব বেশি আলাদা নয়।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব সমকালকে জানান, চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কোনো 'রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে' চলছে না। রাষ্ট্রের একটা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চয়ই থাকা চাই। সরকার যৌক্তিকতা যাচাই করে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে দিতে পারে। বিভিন্ন দেশে পেশাজীবীরা নিজেরাই যৌক্তিকভাবে ফি নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার নজির রয়েছে।
স্বাস্থ্যনীতিতে সুরাহা নেই
জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত স্বাস্থ্যনীতিতে কেবল আবাসিক চিকিৎসক বা সার্জন, জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও নন-ক্লিনিক্যাল বিষয়ে কর্মরতদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের কথা বলা হয়েছে। তবে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা অথবা চেম্বারে আদায়যোগ্য সর্বোচ্চ ফি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালুর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে জাতীয় কমিটির বৈঠকে দফায় দফায় আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ও চিকিৎসক প্রতিনিধিরা বারবার আশ্বস্ত করলেও অনুমোদিত নীতিতে তা না থাকায় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।
দায়সারা বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখা জানায়, দেশে বেসরকারি খাতে নিবন্ধিত হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮১৫টি। অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৪ হাজার ৮১০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট প্র্যাকটিসরতরা তদারকির বাইরে। 'বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন-২০১১' নামে একটি আইন প্রণয়নে প্রক্রিয়া চললেও খসড়ায় চেম্বারে চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ বিষয়ে কিছু বলা নেই। আইনটি প্রণয়নে জড়িত কোর কমিটির এক সদস্য সমকালকে জানান, চিকিৎসক প্রতিনিধিদের বাধার মুখে ফি নির্ধারণের চেষ্টা সফল হয়নি। খসড়াটি এখন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার সিফায়েত উল্লাহ বলেন, চিকিৎসকরা নিজের চেয়ে রোগীর স্বার্থকে বড় করে দেখবেন_ মানুষ এটাই আশা করে। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে একটি যৌক্তিক সমাধানে পেঁৗছানো খুবই জরুরি।
No comments