দূরের দূরবীনে-মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি, জীবন নিয়ে নীরবতা by অজয় দাশগুপ্ত
আমরা একদিকে যেমন সংবেদনশীল, অন্যদিকে হুজুগে জাতি হিসেবে চিত্রিত। যেকোনো ঘটনায় আমরা আবেগ থরথর হওয়ার কারণে অনেক জরুরি বিষয় যেমন ঘোলাটে হয়ে পড়ে, তেমনি ঘোলাটে বিষয়ও অকারণে দানা বাঁধার সুযোগ পেয়ে যায়। মাতৃবিয়োগের পর দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও জন্মভূমিতে এসেছিলাম। চট্টগ্রামেই বেশির ভাগ সময় কেটেছে। চাকরি, দৈনন্দিন জীবনের কর্তব্য ও সময়ের চাপে রাজধানীতে সময় কাটানোর সুযোগ মেলেনি।
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বন্ধু, অগ্রজ, হিতাকাঙ্ক্ষীসহ অনেক প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। সে কষ্ট বুকে পাথর চাপা দিয়েই আসতে হয়, কিন্তু গেলবার যেমন শতবর্ষী বটবৃক্ষ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে ভুলিনি, এবারও শীর্ষ তালিকায় থাকা এক বন্ধুর মুখদর্শনে ভুল হয়নি।
ওই যে আবেগে স্পর্শ বাঙালি চিন্তা, বন্ধুটি সে প্রক্রিয়ার দায়ে গভীরভাবে জড়িত, মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর পরই ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন সে কঙ্বাজারে, এসেছে ভ্রমণ বা অবসর কাটানো বলতে পারলেই ভালো লাগত, দুর্ভাগ্যবশত বন্ধু ও বন্ধুপত্নীর কঙ্বাজার ভ্রমণ ছিল জরুরি, মানসিক ও স্বাস্থ্যগত উভয় দিক থেকে তাঁর জন্য এ ছিল জরুরি যাত্রা। গোড়াতে একটু দমে গিয়েছিলাম, আফসোস হচ্ছিল, হায় রে! এতদূর এসেও বুঝি আর দেখা হলো না। কিন্তু না, অন্তরের টান বলে কথা, বন্ধু জানালেন_আমার ঢাকা যাত্রার মাধ্যমেই কঙ্বাজার থেকে চট্টগ্রাম ফিরে আসবেন, ফ্লাইটও ছিল সন্ধ্যার পর। ফলে আর বিলম্ব নয়। অপরাহ্নে শ্যালকের স্কুটারে চেপে পেঁৗছে গেলাম চট্টগ্রামের সুপ্রাচীন কালীবাড়ি চট্টেশ্বরী মায়ের মন্দিরের বিপরীত প্রান্তে আকাশছোঁয়া রাজেশ্বরী অ্যাপার্টমেন্টে। আজকাল চারদিকে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, গ্যারেজ, গাড়ি রাখার উন্মুক্ত জায়গা আর দোকানপাট। চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে ফোন লাগালাম। লিফট থেকে বেরিয়ে আসা বন্ধুকে দেখে খানিকটা হকচকিয়েই গেলাম বটে। মাথার সুবিন্যস্ত কোঁকড়া চুল ওঠা, ওজন কমেছে চোখে পড়ার মতো। থুঁতনি ও গালে সার্জারির চিহ্ন নিয়ে সামনে দাঁড়ানো দৈবাৎ বেঁচে যাওয়া বন্ধু ঢালী আল মামুন।
তাঁর সঙ্গে আমার আলাপচারিতা, দীর্ঘ বন্ধুত্বের বয়ান বা ফিরিস্তি এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, সামনে দাঁড়ানো শিল্পী দম্পতি ঢালী আল মামুন আর দিলারা বেগম জলি মৃত্যুকূপ থেকে উঠে আসা দুই মানব সন্তান, দুজনের একজনেরও বেঁচে থাকার কথা ছিল না। যে দুর্ঘটনা বাংলাদেশ কাঁপিয়ে সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেশ-বিদেশের বাঙালির নিদ্রা হরণ করে নিয়েছিল, তাঁরা সে দুর্ঘটনার নির্মম শিকার। দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও অসামান্য প্রতিভাবান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরের সঙ্গে একই গাড়ির আরোহী এই শিল্পী দম্পতি বেঁচে আছেন, জীবন তাঁদের চলমান রেখেছে বটে, রেখে গিয়েছে নির্মম ও কঠিন ক্ষত, উসকে দিচ্ছে হাজারো প্রশ্ন।
হুজুগের কথা বলছিলাম_ওই দুর্ঘটনাটি নিয়ে কত হৈচৈ, কত লম্ফঝম্প। একদিকে সরকারি আস্ফালন, যোগাযোগমন্ত্রীর ভাঁড়ামি, দায়িত্বে অবহেলা ও কর্তব্যহীনতার চরম দৃষ্টান্ত; অন্যদিকে রাজনীতির মারপ্যাঁচ। আমাদের দেশে মিডিয়া এক অদ্ভুত অবস্থানে দাঁড়িয়ে, যে যার মতো করে ঘটনা সাজায়, ঘটনা নিয়ে খেলে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি দৈনিকের ওপর ভর করে দাঁড়ানো এক কলাম লেকক এখন প্রায় সর্বভুক। তাঁর ধারণা_তিনি রাজনীতি, সমাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, ধর্মসহ সর্ববিষয়ে পণ্ডিত। তাতেও আপত্তি ছিল না, ইদানীং তাঁকে মাঠে নামিয়ে শক্তি পরীক্ষার প্রচেষ্টা নিতান্ত দুঃখজনক। ওই দুর্ঘটনার পর হঠাৎ করে নেতৃত্বে চলে এলেন তিনি। শহীদ মিনার আগলে রেখে সভা-সমাবেশ, ঈদ পালনের ভেতর সরকার ও রাজনীতিবিরোধী দুষ্টচক্রের আস্ফালন দেখে মনে হলো, ঘটনা ভিন্নখাতে গড়াচ্ছে। কিন্তু সব ফকফকা। এই যে আরেকটি ঈদ পালিত হয়ে গেল, দুই ঈদে সময়ের তফাত প্রায় দুই মাস। এই দুই মাসে পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হয়নি। সমাধান তো দূরের কথা, যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বক্তব্যও কমেনি। রাজপথ, জনপথ বা যোগাযোগ নিয়ে কোনো ধরনের বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সব কিছু হয় পূর্ববৎ অথবা খারাপ। কিন্তু ভদ্রলোককে দেখা গেল না, তার মানে তাঁরা ঈদ পালন করেছেন যাঁর যাঁর গৃহকোণে, কোথায় গেল সেই শপথ? বাড়ি না ফেরার ইস্পাত-কঠিন প্রতিজ্ঞা? কোথায় হারিয়ে গেল তাঁকে ঘিরে আবর্তিত তরুণ-তরুণীরা? নেপথ্য শক্তিই বা কোথায়?
তার মানে ওই জাতীয় আস্ফালন ছিল এক ধরনের হুজুগে কাজ। ধরে নিলাম, পরোক্ষ বাধা, চাপ, সময়াভাব বা অন্যান্য কারণে তাঁরা তা করতে পারেননি। এই যে ঢালী আল মামুন ও দিলারা বেগম জলি বেঁচে আছেন, ট্রমা অথবা মানসিক ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আরেকটি ঈদ পার করলেন, তাঁদের খবর নেয়নি কেউ। যাঁরা মৃতদের নিয়ে দেশ তোলপাড় করলেন, জীবিতদের জন্য তাঁদের মায়া কোথায়? এখন যদি মনে হয় ঘটনা ছিল সাজানো অথবা অযৌক্তিক আবেগপ্রসূত খুব কি অন্যায় ভাবা হবে?
সে যা-ই হোক, আমার বন্ধু মামুনকে দেখে আমি কিন্তু আশ্বস্তই হয়েছি, তাঁর ঠাঁই চিকিৎসকের ভাষায় 'টাফ গাই' মামুন আত্মবিশ্বাস ও সাহসে ভর করে জীবন চলমান রেখেছেন, ডান হাত ওঠানামায় অসুবিধা আছে, পাঁজর ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়া হাড় কৃত্রিম উপায়ে জোড়া লাগানোর পরও বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। বলছেন, ছবি তিনি আঁকবেনই। প্রয়োজনে প্রেক্ষাপট, আঙ্গিক ও শৈলী বদলিয়ে তুলি চালাবেন।
তাঁকে মনে হয়েছে সাহসে ভর করা বাংলাদেশের প্রতীক। যে জাতি রাজনীতি, সমাজনীতি, অপঘাত, অপমৃত্যুর ভেতর থেকে মাথা তুলে বাঁচতে জানে, লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা, আন্তরিকতা, প্রীতি ও শুভেচ্ছাসিক্ত এই শিল্পী দম্পতিকে নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন পাশে দাঁড়ানোর। আমরা তাঁদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। প্রত্যাশা করি_জীবদ্দশায় তাঁদের আর কোনো সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত অথবা রক্তাক্ত প্রিয়জনের মুখ দেখতে
হবে না।
লেখক : সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক
dasguptaajoy@hotmail.com
ওই যে আবেগে স্পর্শ বাঙালি চিন্তা, বন্ধুটি সে প্রক্রিয়ার দায়ে গভীরভাবে জড়িত, মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর পরই ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন সে কঙ্বাজারে, এসেছে ভ্রমণ বা অবসর কাটানো বলতে পারলেই ভালো লাগত, দুর্ভাগ্যবশত বন্ধু ও বন্ধুপত্নীর কঙ্বাজার ভ্রমণ ছিল জরুরি, মানসিক ও স্বাস্থ্যগত উভয় দিক থেকে তাঁর জন্য এ ছিল জরুরি যাত্রা। গোড়াতে একটু দমে গিয়েছিলাম, আফসোস হচ্ছিল, হায় রে! এতদূর এসেও বুঝি আর দেখা হলো না। কিন্তু না, অন্তরের টান বলে কথা, বন্ধু জানালেন_আমার ঢাকা যাত্রার মাধ্যমেই কঙ্বাজার থেকে চট্টগ্রাম ফিরে আসবেন, ফ্লাইটও ছিল সন্ধ্যার পর। ফলে আর বিলম্ব নয়। অপরাহ্নে শ্যালকের স্কুটারে চেপে পেঁৗছে গেলাম চট্টগ্রামের সুপ্রাচীন কালীবাড়ি চট্টেশ্বরী মায়ের মন্দিরের বিপরীত প্রান্তে আকাশছোঁয়া রাজেশ্বরী অ্যাপার্টমেন্টে। আজকাল চারদিকে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, গ্যারেজ, গাড়ি রাখার উন্মুক্ত জায়গা আর দোকানপাট। চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে ফোন লাগালাম। লিফট থেকে বেরিয়ে আসা বন্ধুকে দেখে খানিকটা হকচকিয়েই গেলাম বটে। মাথার সুবিন্যস্ত কোঁকড়া চুল ওঠা, ওজন কমেছে চোখে পড়ার মতো। থুঁতনি ও গালে সার্জারির চিহ্ন নিয়ে সামনে দাঁড়ানো দৈবাৎ বেঁচে যাওয়া বন্ধু ঢালী আল মামুন।
তাঁর সঙ্গে আমার আলাপচারিতা, দীর্ঘ বন্ধুত্বের বয়ান বা ফিরিস্তি এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, সামনে দাঁড়ানো শিল্পী দম্পতি ঢালী আল মামুন আর দিলারা বেগম জলি মৃত্যুকূপ থেকে উঠে আসা দুই মানব সন্তান, দুজনের একজনেরও বেঁচে থাকার কথা ছিল না। যে দুর্ঘটনা বাংলাদেশ কাঁপিয়ে সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেশ-বিদেশের বাঙালির নিদ্রা হরণ করে নিয়েছিল, তাঁরা সে দুর্ঘটনার নির্মম শিকার। দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও অসামান্য প্রতিভাবান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরের সঙ্গে একই গাড়ির আরোহী এই শিল্পী দম্পতি বেঁচে আছেন, জীবন তাঁদের চলমান রেখেছে বটে, রেখে গিয়েছে নির্মম ও কঠিন ক্ষত, উসকে দিচ্ছে হাজারো প্রশ্ন।
হুজুগের কথা বলছিলাম_ওই দুর্ঘটনাটি নিয়ে কত হৈচৈ, কত লম্ফঝম্প। একদিকে সরকারি আস্ফালন, যোগাযোগমন্ত্রীর ভাঁড়ামি, দায়িত্বে অবহেলা ও কর্তব্যহীনতার চরম দৃষ্টান্ত; অন্যদিকে রাজনীতির মারপ্যাঁচ। আমাদের দেশে মিডিয়া এক অদ্ভুত অবস্থানে দাঁড়িয়ে, যে যার মতো করে ঘটনা সাজায়, ঘটনা নিয়ে খেলে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি দৈনিকের ওপর ভর করে দাঁড়ানো এক কলাম লেকক এখন প্রায় সর্বভুক। তাঁর ধারণা_তিনি রাজনীতি, সমাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, ধর্মসহ সর্ববিষয়ে পণ্ডিত। তাতেও আপত্তি ছিল না, ইদানীং তাঁকে মাঠে নামিয়ে শক্তি পরীক্ষার প্রচেষ্টা নিতান্ত দুঃখজনক। ওই দুর্ঘটনার পর হঠাৎ করে নেতৃত্বে চলে এলেন তিনি। শহীদ মিনার আগলে রেখে সভা-সমাবেশ, ঈদ পালনের ভেতর সরকার ও রাজনীতিবিরোধী দুষ্টচক্রের আস্ফালন দেখে মনে হলো, ঘটনা ভিন্নখাতে গড়াচ্ছে। কিন্তু সব ফকফকা। এই যে আরেকটি ঈদ পালিত হয়ে গেল, দুই ঈদে সময়ের তফাত প্রায় দুই মাস। এই দুই মাসে পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হয়নি। সমাধান তো দূরের কথা, যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বক্তব্যও কমেনি। রাজপথ, জনপথ বা যোগাযোগ নিয়ে কোনো ধরনের বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সব কিছু হয় পূর্ববৎ অথবা খারাপ। কিন্তু ভদ্রলোককে দেখা গেল না, তার মানে তাঁরা ঈদ পালন করেছেন যাঁর যাঁর গৃহকোণে, কোথায় গেল সেই শপথ? বাড়ি না ফেরার ইস্পাত-কঠিন প্রতিজ্ঞা? কোথায় হারিয়ে গেল তাঁকে ঘিরে আবর্তিত তরুণ-তরুণীরা? নেপথ্য শক্তিই বা কোথায়?
তার মানে ওই জাতীয় আস্ফালন ছিল এক ধরনের হুজুগে কাজ। ধরে নিলাম, পরোক্ষ বাধা, চাপ, সময়াভাব বা অন্যান্য কারণে তাঁরা তা করতে পারেননি। এই যে ঢালী আল মামুন ও দিলারা বেগম জলি বেঁচে আছেন, ট্রমা অথবা মানসিক ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আরেকটি ঈদ পার করলেন, তাঁদের খবর নেয়নি কেউ। যাঁরা মৃতদের নিয়ে দেশ তোলপাড় করলেন, জীবিতদের জন্য তাঁদের মায়া কোথায়? এখন যদি মনে হয় ঘটনা ছিল সাজানো অথবা অযৌক্তিক আবেগপ্রসূত খুব কি অন্যায় ভাবা হবে?
সে যা-ই হোক, আমার বন্ধু মামুনকে দেখে আমি কিন্তু আশ্বস্তই হয়েছি, তাঁর ঠাঁই চিকিৎসকের ভাষায় 'টাফ গাই' মামুন আত্মবিশ্বাস ও সাহসে ভর করে জীবন চলমান রেখেছেন, ডান হাত ওঠানামায় অসুবিধা আছে, পাঁজর ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়া হাড় কৃত্রিম উপায়ে জোড়া লাগানোর পরও বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। বলছেন, ছবি তিনি আঁকবেনই। প্রয়োজনে প্রেক্ষাপট, আঙ্গিক ও শৈলী বদলিয়ে তুলি চালাবেন।
তাঁকে মনে হয়েছে সাহসে ভর করা বাংলাদেশের প্রতীক। যে জাতি রাজনীতি, সমাজনীতি, অপঘাত, অপমৃত্যুর ভেতর থেকে মাথা তুলে বাঁচতে জানে, লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা, আন্তরিকতা, প্রীতি ও শুভেচ্ছাসিক্ত এই শিল্পী দম্পতিকে নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন পাশে দাঁড়ানোর। আমরা তাঁদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। প্রত্যাশা করি_জীবদ্দশায় তাঁদের আর কোনো সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত অথবা রক্তাক্ত প্রিয়জনের মুখ দেখতে
হবে না।
লেখক : সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক
dasguptaajoy@hotmail.com
No comments