মহাশ্বেতা-সুমনদের সঙ্গে মমতার সম্পর্কে ভাঙন by সুব্রত আচার্য্য,
মাওবাদী ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর মধ্যে অপ্রীতিকর বাক্যুদ্ধ শুরু হয়েছে। একটি মানবাধিকার সংগঠনকে প্রতিবাদ সভা করতে না দেওয়ায় মহাশ্বেতা বলেছেন, মমতার সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। মমতা সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছেন, বয়সের কারণে কেউ তাঁকে দিয়ে নানা কথা বলাচ্ছে। মমতা এখানেই থামেননি, একই ইস্যুতে দলীয় সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী কবীর সুমনকে দল যে 'এক সেকেন্ডে বরখাস্ত' করতে পারে সে কথাও কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন।
লেখক মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, নবারুণ ভট্টাচার্য, সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কবীর সুমন, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অপর্ণা সেনসহ কলকাতায় শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এপিডিআর নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবাদ সভায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন। পুলিশ প্রথমে এই সভার অনুমোদন দিলেও গত শনিবার তা বাতিল করে দেয়। এ ঘটনায় খুব খেপেছেন মহাশ্বেতা দেবীসহ ওই বুদ্ধিজীবীরা। জঙ্গলমহল থেকে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতেই মূলত এপিডিআর ২৩ ও ২৪ নভেম্বর ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ওই প্রতিবাদ সভার উদ্যোগ নিয়েছিল।
গতকাল সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাশ্বেতা দেবী বলেন, ৬৪ বছরে এমন ঘটনা তিনি দেখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার 'ফ্যাসিস্ট কায়দায়' সরকার চালানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'বাম সরকারের ৩৪ বছরেও আমি তাদের নানা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি, এখনো করব।'
মহাশ্বেতা দেবীর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই রাজ্য সরকারের সচিবালয় মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, 'কলকাতার কেউ কেউ মানবাধিকারের নাম করে মাওবাদীদের সমর্থন দিচ্ছেন। তাঁরা সামনে গণতন্ত্রের ব্যানার নিচ্ছেন কিন্তু পেছনে মাওবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন। এটা একদমই মানা হবে না।'
বুদ্ধিজীবীদের নাম উল্লেখ না করে মমতা আরো বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের আইনে ইচ্ছা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু আমরা শান্তি চাই। গণতন্ত্রের বিকাশ হোক সেটাও চাই।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মহাশ্বেতা দেবী সম্পর্কে মমতা বলেন, 'আমি ওনাকে সম্মান করি। তবে তাঁর এই কথায় আমি দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু তাঁর বয়স হওয়ার কারণে কেউ তাঁকে দিয়ে এসব বলিয়ে নিচ্ছেন।'
নিজ দলের সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী কবীর সুমন অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে অলিখিতভাবে বিচ্ছিন্ন। তিনি মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল গান লিখছেন। বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এপিডিআরকে সভা করতে অনুমোদন না দেওয়ায় এদিন অন্যদের সঙ্গে কবীর সুমনও প্রতিবাদ জানান। এ ব্যাপারে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'আমি ইচ্ছা করলে তাঁকে এক সেকেন্ডে বরখাস্ত করতে পারি। কিন্তু আমি চাই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।' মমতা প্রশ্ন তোলেন, গুলি করে যারা মানুষ খুন করে চলেছে, তাদের এভাবে সমর্থন দেওয়ার মানে কী? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পাঁচ মাস যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধ ছিল। কিন্তু তবু খুনের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। কত দিন চুপ করে থাকব?'
মহাশ্বেতা দেবীসহ কলকাতার অনেক বুদ্ধিজীবী বামফ্রন্ট সরকারের বিদায় ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচ্ছন্নভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মমতা ক্ষমতায় বসার পর রাজ্য সরকারের অনেক অনুষ্ঠানে এদের দেখা যাচ্ছিল। এই পর্যায়ে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সরকার তথা মমতার বাদানুবাদ শুরু হলো।
গতকাল সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাশ্বেতা দেবী বলেন, ৬৪ বছরে এমন ঘটনা তিনি দেখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার 'ফ্যাসিস্ট কায়দায়' সরকার চালানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'বাম সরকারের ৩৪ বছরেও আমি তাদের নানা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি, এখনো করব।'
মহাশ্বেতা দেবীর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই রাজ্য সরকারের সচিবালয় মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, 'কলকাতার কেউ কেউ মানবাধিকারের নাম করে মাওবাদীদের সমর্থন দিচ্ছেন। তাঁরা সামনে গণতন্ত্রের ব্যানার নিচ্ছেন কিন্তু পেছনে মাওবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন। এটা একদমই মানা হবে না।'
বুদ্ধিজীবীদের নাম উল্লেখ না করে মমতা আরো বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের আইনে ইচ্ছা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু আমরা শান্তি চাই। গণতন্ত্রের বিকাশ হোক সেটাও চাই।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মহাশ্বেতা দেবী সম্পর্কে মমতা বলেন, 'আমি ওনাকে সম্মান করি। তবে তাঁর এই কথায় আমি দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু তাঁর বয়স হওয়ার কারণে কেউ তাঁকে দিয়ে এসব বলিয়ে নিচ্ছেন।'
নিজ দলের সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী কবীর সুমন অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে অলিখিতভাবে বিচ্ছিন্ন। তিনি মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল গান লিখছেন। বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এপিডিআরকে সভা করতে অনুমোদন না দেওয়ায় এদিন অন্যদের সঙ্গে কবীর সুমনও প্রতিবাদ জানান। এ ব্যাপারে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'আমি ইচ্ছা করলে তাঁকে এক সেকেন্ডে বরখাস্ত করতে পারি। কিন্তু আমি চাই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।' মমতা প্রশ্ন তোলেন, গুলি করে যারা মানুষ খুন করে চলেছে, তাদের এভাবে সমর্থন দেওয়ার মানে কী? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পাঁচ মাস যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধ ছিল। কিন্তু তবু খুনের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। কত দিন চুপ করে থাকব?'
মহাশ্বেতা দেবীসহ কলকাতার অনেক বুদ্ধিজীবী বামফ্রন্ট সরকারের বিদায় ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচ্ছন্নভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মমতা ক্ষমতায় বসার পর রাজ্য সরকারের অনেক অনুষ্ঠানে এদের দেখা যাচ্ছিল। এই পর্যায়ে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সরকার তথা মমতার বাদানুবাদ শুরু হলো।
No comments