সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল-সাড়ে চার মাসেই ঋণ ১৯ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের সাড়ে চার মাসেই ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৫ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১২ মাসে সরকার ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সে হিসাবে ১২ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে মাত্র সাড়ে চার মাসে।
গত বছরের একই সময় ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। তারপরও অর্থবছর শেষে নিট ঋণ দাঁড়িয়েছিল ২০ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা ঋণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওই ঋণ নেওয়া হয়। যদিও পরে ওই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। সরকারের অতিমাত্রায় ঋণগ্রহণ মূল্যস্টম্ফীতিকে উস্কে দেয়। যে কারণে বরাবরই ঋণ কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছেন বিশিষ্টজনরা।
সূত্র জানায়, অর্থবছরের শুরুতেই সরকারের খরচ বাড়লেও আয় সেভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে রাজস্ব আয় কমে যাওয়া, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে শ্লথগতি, বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ কমাসহ নানা কারণে সরকারকে বাজেট ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে বছরের শুরু থেকেই ব্যাংক ঋণের ওপর এতটা নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক'দিন আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, সরকারের ব্যাংক ঋণ নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। এ ছাড়া ঋণ গ্রহণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন সময় সরকারের এ ঋণকে আশঙ্কার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে উন্নত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ না নিয়ে রেমিট্যান্স, বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত, বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতি বাজেটেই সরকার ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। তবে চলতি অর্থবছর অন্যান্য উৎস থেকে তুলনামূলক কম ঋণ পাওয়ায় অর্থবছরের শুরু থেকেই ব্যাংকিং খাতের ওপর বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত তারল্য না থাকায় তারা সরকারকে চাহিদা অনুপাতে ঋণ দিতে পারছে না। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই বেশি ঋণ সরবরাহ করতে হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত নতুন নোট ইস্যু করে টাকা সরবরাহ করে থাকে, যা মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেয় বলে বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, কোনো অবস্থাতেই ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বেশি ঋণ গ্রহণ সরকারের জন্য ভালো নয়। কেননা এভাবে ঋণ নিতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে সরকারের ঋণ জোগান দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে পারবে না। এতে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই ব্যাংক থেকে আর কোনো ঋণ নেওয়া ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া ব্যয় সংকোচন, সঞ্চয়পত্র বিক্রি, রেমিট্যান্স আহরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সাহায্য বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ সরবরাহ করতে হলে সাধারণভাবে নতুন নোট ইস্যু করে সরবরাহ করতে হয়, যা মূল্যস্ফীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। সর্বশেষ গত অক্টোবরের হিসাবে মূল্যস্টম্ফীতি ১১ শতাংশের ওপর দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, অর্থবছরের শুরুতেই সরকারের খরচ বাড়লেও আয় সেভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে রাজস্ব আয় কমে যাওয়া, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে শ্লথগতি, বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ কমাসহ নানা কারণে সরকারকে বাজেট ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে বছরের শুরু থেকেই ব্যাংক ঋণের ওপর এতটা নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক'দিন আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, সরকারের ব্যাংক ঋণ নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। এ ছাড়া ঋণ গ্রহণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন সময় সরকারের এ ঋণকে আশঙ্কার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে উন্নত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ না নিয়ে রেমিট্যান্স, বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত, বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতি বাজেটেই সরকার ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। তবে চলতি অর্থবছর অন্যান্য উৎস থেকে তুলনামূলক কম ঋণ পাওয়ায় অর্থবছরের শুরু থেকেই ব্যাংকিং খাতের ওপর বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত তারল্য না থাকায় তারা সরকারকে চাহিদা অনুপাতে ঋণ দিতে পারছে না। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই বেশি ঋণ সরবরাহ করতে হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত নতুন নোট ইস্যু করে টাকা সরবরাহ করে থাকে, যা মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেয় বলে বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, কোনো অবস্থাতেই ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বেশি ঋণ গ্রহণ সরকারের জন্য ভালো নয়। কেননা এভাবে ঋণ নিতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে সরকারের ঋণ জোগান দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে পারবে না। এতে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই ব্যাংক থেকে আর কোনো ঋণ নেওয়া ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া ব্যয় সংকোচন, সঞ্চয়পত্র বিক্রি, রেমিট্যান্স আহরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সাহায্য বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ সরবরাহ করতে হলে সাধারণভাবে নতুন নোট ইস্যু করে সরবরাহ করতে হয়, যা মূল্যস্ফীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। সর্বশেষ গত অক্টোবরের হিসাবে মূল্যস্টম্ফীতি ১১ শতাংশের ওপর দাঁড়িয়েছে।
No comments