ঘর ধুলাবালিমুক্ত রাখতে
ড্রয়িংরুম : যে কোনো বাড়ির ফরমাল রুম হচ্ছে ড্রয়িংরুম। এখানে পরিচিত, কম পরিচিত সব আত্মীয়স্বজন প্রথমেই এসে বসে। তাই এই রুমের প্রতি সবারই থাকে একটু আলাদা নজর। কারণ ড্রয়িংরুমের সাজসজ্জার মধ্য দিয়েই বাড়ির মানুষের রুচিবোধ ফুটে ওঠে। তাই এ রুমের আসবাব অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। ড্রয়িংরুমে আসবাবের মধ্যে সাধারণত সোফা, সেন্টার টেবিল, টেলিভিশন, কর্নার র্যাক থাকে।
এ ছাড়া ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ব্যবহার করা হয় নানারকম শোপিস, পটারি, ওয়ালমেট, হ্যান্ড পেইন্টিংস ইত্যাদি। অনেকেই ঘর ধুলাবালিমুক্ত রাখতে জানালায় নেট ব্যবহার করে থাকেন। আপনি নেট ব্যবহার করতে না চাইলে প্রতিদিন ঘর দুবার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ঘর প্রতিদিন না মুছলেও সমস্যা হয় না। জানালা ও সোফার ফাঁকে জমে থাকা ময়লা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। ড্রয়িংরুমের ফার্নিচার একটু ফাঁকা ফাঁকা করে সাজানো ভালো। তাহলে ধুলাবালি সহজে পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়। ফার্নিচারের ওপর জমে থাকা ময়লা প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। আর সপ্তাহে একদিন ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলে ধুলাবালির প্রকোপ থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। তবে কাচের সেন্টার টেবিলের ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্গ্নাস ক্লিনার কিংবা কাপড়ে দেওয়া নীল পাউডার। নীল কাগজ নিয়ে গ্গ্নাস ঘষলে গ্গ্নাস অনেক পরিষ্কার হয় এবং দাগ পড়ে না। আর বেশি নকশা করা শোপিস ব্রাশ দিয়ে মুছতে পারেন।
ডাইনিংরুম : বাড়ির ডাইনিংরুমটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। কারণ খাবার ঘর পরিপাটি হলে খাবারেও রুচি আসে। এই ঘরে সাধারণত ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ, ওভেন, পানির ফিল্টার, ডাইনিং শোকেস, ট্রলি ইত্যাদি থাকে। টেবিলের চেয়ারগুলো প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছতে হবে। প্রয়োজনে চেয়ারের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। ডাইনিং টেবিলের কাচ ময়লামুক্ত রাখতে চাইলে টেবিলের ওপর বিছিয়ে রাখতে পারেন নেট কিংবা টেবিল ম্যাট। এতে ধুলাবালি কম পড়বে। তবে প্রতিদিন খাবার শেষে টেবিলের কাপড় ঝেড়ে ফেলবেন। তাহলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হবে। ফ্রিজ, ওভেন মাঝেমধ্যে গল্গাস ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। শোকেসের পেছনে জমে থাকা অসংখ্য ধুলা আর ঝুল প্রতিদিন পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন এগুলো সরিয়ে ঝাড়ূ দেওয়া উচিত। ঘরে ধুলাবালি জমার বড় একটি কারণ বাইরে থেকে জুতা পরে ঘরে ঢোকা। তাই বাইরে থেকে আসার সময় জুতা খুলে ঘরে ঢোকা উচিত অথবা পাপোশে পা মুছে আসতে হবে।
মাস্টার বেড : বাড়ির মূল বেডরুমটি হলো মাস্টার বেড। সারাদিন কর্মব্যস্ত শেষে এই রুমেই মানুষ ঘুমায়। তাই এ রুমটি হওয়া উচিত ঘুমবান্ধব। সবসময় ঘরের বিছানা ও আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখতে হবে, তাহলে মনে একটা প্রশান্তি আসবে। এই রুমের বিছানা, বালিশ, তোশক, জাজিম সপ্তাহে একদিন রোদে দিতে পারলে ভালো। তাহলে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এই রুমের আসবাবগুলো প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এ ছাড়া খাট, আলমারি, ওয়াড্রর্োবের পেছনে জমে থাকা ময়লা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
পড়ার ঘর : বাসার অন্য সব ঘর থেকে এ ঘরে একটু শান্ত পরিবেশ থাকা উচিত। তাই এই ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পড়াশোনার উপযোগী করতে হবে। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘর থাকলে সে ঘরে পড়তেও মন বসে। এই ঘরে সাধারণত পড়ার টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, বইয়ের তাক ইত্যাদি থাকে। পড়ার টেবিলে বই বেশি গাদাগাদি করে না রাখাই ভালো। কারণ বই ফাঁকা করে রাখলে ময়লা পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়। মাসে দু-একবার পড়ার টেবিল ডিটারজেন্ট দিয়ে মাজলে পরিষ্কার থাকে। কম্পিউটার যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস, তাই এর যত্ন একটু মনোযোগ সহকারে নেওয়া উচিত। কম্পিউটারের টেবিল শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলার পাশাপাশি মনিটরটা মাঝে মধ্যে গ্গ্নাস ক্লিনার দিয়ে মুছতে পারেন। আর কি-বোর্ডের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করলে ভালো হয়।
রান্নাঘর : আপনার রান্নাঘরটি যেমন আকৃতির হোক না কেন, এখানে রাখতে হবে রান্নার সব জিনিসপাতি। তাই এ ঘরটি পরিষ্কারের জন্য বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। রান্নাঘরের বড় একটা সমস্যা এখানে, গ্যাসের ধোঁয়ায় সবকিছু আটা হয়ে যায়। তাই মাসে অন্তত দু-একবার প্রতিটি তাক থেকে জিনিস নামিয়ে ধুয়ে মুছে ভালো করে সাজিয়ে রাখতে হবে। একইভাবে থালাবাসনের র্যাক ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করলে ঝকঝকে থাকবে।
এ ছাড়া ঘরের মেঝে যদি টাইলসের হয় তাহলে মাঝে মধ্যে গরম পানি ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করলে ঘর অনেক পরিষ্কার থাকবে। আর ঘরে ব্যবহৃত সিলিংফ্যান ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। অনেকেই জুতার র্যাকটা ডাইনিংরুমে রাখেন। এটা ডাইনিংরুমে না রেখে বারান্দায় রাখাই ভালো। তাহলে ঘরে কম ময়লা হয়।
লেখা : সাদিয়া আফরিন বনি; মডেল :স্বর্ণা ও নাদিয়া
ছবি :সাদমান সাকিব
ডাইনিংরুম : বাড়ির ডাইনিংরুমটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। কারণ খাবার ঘর পরিপাটি হলে খাবারেও রুচি আসে। এই ঘরে সাধারণত ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ, ওভেন, পানির ফিল্টার, ডাইনিং শোকেস, ট্রলি ইত্যাদি থাকে। টেবিলের চেয়ারগুলো প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছতে হবে। প্রয়োজনে চেয়ারের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। ডাইনিং টেবিলের কাচ ময়লামুক্ত রাখতে চাইলে টেবিলের ওপর বিছিয়ে রাখতে পারেন নেট কিংবা টেবিল ম্যাট। এতে ধুলাবালি কম পড়বে। তবে প্রতিদিন খাবার শেষে টেবিলের কাপড় ঝেড়ে ফেলবেন। তাহলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হবে। ফ্রিজ, ওভেন মাঝেমধ্যে গল্গাস ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। শোকেসের পেছনে জমে থাকা অসংখ্য ধুলা আর ঝুল প্রতিদিন পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন এগুলো সরিয়ে ঝাড়ূ দেওয়া উচিত। ঘরে ধুলাবালি জমার বড় একটি কারণ বাইরে থেকে জুতা পরে ঘরে ঢোকা। তাই বাইরে থেকে আসার সময় জুতা খুলে ঘরে ঢোকা উচিত অথবা পাপোশে পা মুছে আসতে হবে।
মাস্টার বেড : বাড়ির মূল বেডরুমটি হলো মাস্টার বেড। সারাদিন কর্মব্যস্ত শেষে এই রুমেই মানুষ ঘুমায়। তাই এ রুমটি হওয়া উচিত ঘুমবান্ধব। সবসময় ঘরের বিছানা ও আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখতে হবে, তাহলে মনে একটা প্রশান্তি আসবে। এই রুমের বিছানা, বালিশ, তোশক, জাজিম সপ্তাহে একদিন রোদে দিতে পারলে ভালো। তাহলে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এই রুমের আসবাবগুলো প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এ ছাড়া খাট, আলমারি, ওয়াড্রর্োবের পেছনে জমে থাকা ময়লা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
পড়ার ঘর : বাসার অন্য সব ঘর থেকে এ ঘরে একটু শান্ত পরিবেশ থাকা উচিত। তাই এই ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পড়াশোনার উপযোগী করতে হবে। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘর থাকলে সে ঘরে পড়তেও মন বসে। এই ঘরে সাধারণত পড়ার টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, বইয়ের তাক ইত্যাদি থাকে। পড়ার টেবিলে বই বেশি গাদাগাদি করে না রাখাই ভালো। কারণ বই ফাঁকা করে রাখলে ময়লা পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়। মাসে দু-একবার পড়ার টেবিল ডিটারজেন্ট দিয়ে মাজলে পরিষ্কার থাকে। কম্পিউটার যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস, তাই এর যত্ন একটু মনোযোগ সহকারে নেওয়া উচিত। কম্পিউটারের টেবিল শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলার পাশাপাশি মনিটরটা মাঝে মধ্যে গ্গ্নাস ক্লিনার দিয়ে মুছতে পারেন। আর কি-বোর্ডের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করলে ভালো হয়।
রান্নাঘর : আপনার রান্নাঘরটি যেমন আকৃতির হোক না কেন, এখানে রাখতে হবে রান্নার সব জিনিসপাতি। তাই এ ঘরটি পরিষ্কারের জন্য বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। রান্নাঘরের বড় একটা সমস্যা এখানে, গ্যাসের ধোঁয়ায় সবকিছু আটা হয়ে যায়। তাই মাসে অন্তত দু-একবার প্রতিটি তাক থেকে জিনিস নামিয়ে ধুয়ে মুছে ভালো করে সাজিয়ে রাখতে হবে। একইভাবে থালাবাসনের র্যাক ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করলে ঝকঝকে থাকবে।
এ ছাড়া ঘরের মেঝে যদি টাইলসের হয় তাহলে মাঝে মধ্যে গরম পানি ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করলে ঘর অনেক পরিষ্কার থাকবে। আর ঘরে ব্যবহৃত সিলিংফ্যান ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। অনেকেই জুতার র্যাকটা ডাইনিংরুমে রাখেন। এটা ডাইনিংরুমে না রেখে বারান্দায় রাখাই ভালো। তাহলে ঘরে কম ময়লা হয়।
লেখা : সাদিয়া আফরিন বনি; মডেল :স্বর্ণা ও নাদিয়া
ছবি :সাদমান সাকিব
No comments