বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন রাজশাহীর ডিলাররা-কেজিতে ৯ টাকা কমানো হয়েছে বিএডিসির আলুবীজের দাম by রফিকুল ইসলাম,

রাজশাহীতে কেজিতে ৯ টাকা কমানো হয়েছে বিএডিসির আলুবীজের দাম। কৃষকদের ব্যয়ের কথা চিন্তা করে দাম কমানো হলেও লোকসানের আশঙ্কায় বীজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন রাজশাহীর ডিলাররা। ফলে বীজের একটি বড় অংশ ডিলারদের গুদামেই পড়ে আছে। আগের কেনা অবিক্রীত বীজের মূল্যবৃদ্ধির করা অথবা লোকসানের টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী জেলা বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।


ডিলাররা জানান, গত ১১ নভেম্বর তাঁরা বিএডিসির গুদাম থেকে আলুবীজ উত্তোলন করেন। সে সময় আলুবীজের যে দাম ছিল, তার মাত্র চার দিন পরই দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। এ-গ্রেডের বীজ বিক্রির মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৫ টাকা ও ডায়মন্ড-বি গ্রেডের বীজের বিক্রি মূল্য ছিল ২৩ টাকা।
গত ১৫ নভেম্বর বিএডিসি কর্তৃপক্ষ গ্রেড-এ বীজের বিক্রি মূল্য ২৫ টাকার পরিবর্তে নির্ধারণ করে ১৬ টাকা এবং ডায়মন্ড-বি গ্রেডের বীজের বিক্রি মূল্য ২৩ টাকার স্থলে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১৪ টাকা। এ কারণে ডিলাররা আগের কেনা বীজ বিক্রি বন্ধ করে দেন। রাজশাহী বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান জানান, ১৫ নভেম্বরের আগে যেসব ডিলার বীজ উত্তোলন করেছেন, তাঁদের সেই বীজের একটি বড় অংশ বিক্রি না হয়ে গুদামে থেকে গেছে। ৫৫ জন ডিলারের গুদামে এখনো ৬০ থেকে ৭০ টন বীজ অবিক্রীত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিএডিসি রাজশাহীর উপপরিচালক (বীজ বিপণন) আবুল কালাম শামসুদ্দিন জানান, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর জন্য বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বীজের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যাঁরা ১৫ নভেম্বর থেকে ডিও লেটার জমা দিয়েছেন, তাঁরা মূল্য পুনর্নির্ধারণের আওতায় পড়বেন। এর আগে যাঁরা বীজ উত্তোলন করেছেন, সেই ডিলারদের গুদামগুলোয় অবশিষ্ট যে আলুবীজ মজুদ আছে, তার একটি তালিকা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ তাদের সেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবে বলে
তিনি জানান।
 

No comments

Powered by Blogger.