অবশেষে পরমাণু বিদু্যুৎকেন্দ্র আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে! by ডা. এম এ করীম
৩ নভেম্বর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে মহাজোট সরকার। বড় আনন্দের খবর। কিন্তু এর দুই দিন পর পত্রিকায় দেখলাম, কিছুসংখ্যক বাম রাজনৈতিককর্মী পরমাণু বিদ্যুতের বিরোধিতা করে মানববন্ধন করেছেন। খবরটা অবশ্যই আমাকে মর্মাহত করেছে। দ্বিতীয় খবর নিয়ে আলোচনার আগে যে বিষয়ে লিখতে চাই, তা হলো_পরমাণু বিদু্যুৎ উৎপাদনের ইতিহাসে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
১৯৬১ সালে তৎকালীন সরকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের (লোক দেখানো) উদ্যোগ নেয় (আমার আগের লেখায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি)। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষার পর ১৯৬৩ সালে পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ ৫০ বছর পর বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখতে পেল বা পেতে যাচ্ছে। সরকার আশা করছে, ২০১৩ সালের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে প্রায় ২০০ কোটি ডলার খরচ হবে। রুশ সরকার অর্থ দেবে। পাশাপাশি তার প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বর্জ্য গ্রহণ করবে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরুর পাঁচ বছরের মধ্যে ওই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আমার আগের লেখায় লিখেছিলাম, প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ সবচেয়ে কম। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি খরচ কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রে জ্বালানি খরচের এক-তৃতীয়াংশ, আর গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক-পঞ্চমাংশ। তিন টন কয়লা বা ২ দশমিক ৬ টন তেল পুড়িয়ে যে শক্তি পাওয়া যায়, এক গ্রাম ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়া করে তার সমপরিমাণ শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব। উপরন্তু কয়লা বা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো এর বিশাল অবকাঠামোর প্রয়োজন হয় না। কার্বন নিঃসরণ হয় না বলে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। বিশ্বে প্রচলিত জ্বালানির তুলনায় পরমাণু জ্বালানির মজুদ অনেক বেশি। সারা পৃথিবীতে জ্বালানির চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে প্রচলিত জ্বালানির মজুদ দিনকে দিন কমে আসছে। তা ছাড়া এসব জ্বালানি বিশ্বের পরিবেশ মারাত্মক দূষিত করছে। পাথুরে কয়লা এবং জ্বালানি তেলের পর আরো উন্নত বা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ, বাতাস, জলবিদ্যুৎ এবং পরমাণু জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হচ্ছে। আগেই বলেছি, সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং দূষণমুক্ত জ্বালানি হিসেবে পরমাণু জ্বালানি অন্য সব জ্বালানির চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের শতকরা ২০-২২ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে পরমাণু জ্বালানি থেকে। এ বছর ২০-২২ এপ্রিল বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'একবিংশ শতকে পরমাণু জ্বালানি' শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। একই বিষয়ে প্যারিসে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৬৫টি দেশের প্রায় আট শতাধিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ এতে অংশ নেন। সেই সময়ই পরমাণু জ্বালানির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনার পর সম্মেলনের শেষে যে ইশতেহার বের করা হয়, তাতে সবাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, পরমাণু জ্বালানি পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত এবং নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য। বিশ্বের উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলোসহ সব দেশের জন্যই পরমাণু প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাধিকার পাওয়ার মতো একটি বিষয়_এর জন্য নিরাপত্তা বিধান করাও জরুরি বলে ওই ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরমাণু জ্বালানির চাহিদা বেশি হওয়ার কারণগুলো আমি আগেই উল্লেখ করেছি। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৪৪০টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। কোনো কারণে যদি এগুলো বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্বের আবহাওয়ায় প্রতিবছর আরো ৬০ কোটি টন কার্বন যুক্ত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় পেয়েছেন। এক হিসাবে দেখা গেছে, বর্তমানে পরমাণু জ্বালানির যে দাম রয়েছে, তা যদি দ্বিগুণ বাড়ে, তাতে বিদ্যুতের মূল্য মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণ বাড়লে গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন খরচ বাড়বে ৬০-৭০ শতাংশ। আমরা যদি জাপানের দিকে দৃষ্টি দিই, তাহলে দেখতে পাব, সেখানে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় প্রতি ইউনিট ৪ ডলার ৮০ সেন্ট, কয়লা খরচ হয় ৪ ডলার ৯৫ সেন্ট এবং গ্যাসে ৪ ডলার ৬৫ সেন্ট। কোরিয়ায় পরমাণুতে ২ ডলার ৩৪ সেন্ট, কয়লা ২ ডলার ১৬ সেন্ট এবং গ্যাসে ৪ ডলার ৬৫ সেন্ট। ফ্রান্সে পরমাণুতে ২ ডলার ৫৪ সেন্ট, কয়লায় ৩ ডলার ৩৩ সেন্ট এবং গ্যাসে ৩ ডলার ৯২ সেন্ট। যদি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের হিসাব নেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে, রাশিয়াসহ ইউরোপ মহাদেশে ২০৪টি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১২২টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এশিয়ায় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ১০৮টি এবং আফ্রিকায় মাত্র দুটি। এখানে উল্লেখ্য, তৃতীয় বিশ্বের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পৃথিবীর পরমাণু বিদ্যুতের শূন্য ৬ শতাংশ উৎপাদন করে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) দায়িত্ব হলো, এই সংস্থার দেশগুলোকে পরমাণু জ্বালানির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া। পরমাণু বিদ্যুৎ সম্পর্কে এর আগে আমার বিভিন্ন লেখায় লিখেছিলাম, বাংলাদেশের রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ১৯৬১ সালে জমি ইজারা নেওয়া হয়। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন কারণে এই প্রকল্প এত দিন এগোয়নি। কয়েকবার অর্থনৈতিক ও কারিগরি সমীক্ষার পর ১৯৬৩ সালে ২৯২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ২৬০ একর বিদ্যুৎ স্থাপনের জন্য এবং ৩২ একর আবাসিক এলাকার জন্য রাখা হয়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বাংলাদেশ সহায়তা দিয়েছিল তখন থেকেই। ২০০৭ সালের জুনে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেয়। আগামী ২০৫০ সাল পর্যন্ত আটটি উন্নয়নশীল দেশকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। সেই জাতিসংঘের আইএইএ বিভাগের দুজন প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসেন। তাঁরা কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। যেকোনো দেশ ইচ্ছা করলেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারে না। এর জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন লাগে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সত্যিই সৌভাগ্যবান। সৌভাগ্যবান বলছি এ জন্য যে বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উপযোগী হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্য কোনো পথে সম্ভব নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা সাত হাজার মেগাওয়াট (সরকারি হিসাব মতে)। কিন্তু বাস্তবে (বিশেষজ্ঞদের মতে) প্রকৃত চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। আমাদের গড়পড়তা উৎপাদন হচ্ছে মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট। এই বিশাল ঘাটতির কারণে জনদুর্ভোগ পর্বতসম। জনভোগান্তির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে দেশীয় শিল্প-কলকারখানা বিকাশলাভে। কলকারখানার উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কর্মসংস্থানের পথও সংকুচিত হচ্ছে। আবাসন শিল্প মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। যেসব বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে, বিদ্যুতের অভাবে সেগুলোতে মানুষ উঠতে পারছে না। সরকার 'সোলার প্যানেল' বসানোর পূর্বশর্ত জুড়ে দিয়েছে, যদি বিদ্যুৎ সংযোগ কেউ নিতে চায়। 'সোলার প্যানেল' অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রেন্টাল আর কুইক রেন্টালের বেড়াজালে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকারি খাতের ব্যর্থতায় উচ্চমূল্যে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বারবার নবায়ন করা হচ্ছে। এতে শুধু ভর্তুকিই নয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ায় ভোক্তার ওপর চাপ বাড়ছে। বর্তমানে পিডিবি ২৯টি ভাড়াভিত্তিক এবং দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে। তাতে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে প্রায় ১২ টাকা। অবশ্য আবাসিক গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয় গড়পড়তা ইউনিটপ্রতি তিন থেকে সাড়ে তিন টাকায়। তেল পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় দিন দিন এ খাতে ভর্তুকি বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে উভয় দিক থেকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আর বড় যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেগুলোর আয়ু প্রায় শেষ। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ বাড়ানোর কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না। ছোট ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, আমাদের বড় এবং বেশ নিয়মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো, কোন ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আমরা অগ্রাধিকার দেব। পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা কাজ করছে। বিশেষ করে জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর থেকে। কয়লাভিত্তিক, তেলভিত্তিক, গ্যাসভিত্তিক, জলবিদ্যুৎভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা চিন্তায় আনা যায়। এগুলোর ক্ষেত্রে কি কোনো অসুবিধা নেই। কয়লাভিত্তিকের কথা আগেই বলেছি। তেলভিত্তিক খরচ প্রচুর; আর তেলের মজুদই বা কত? তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার (তেলের) খুবই অস্থির। গ্যাস আমাদের পর্যাপ্ত নেই। শিল্পকারখানা এবং গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছি। ভৌগোলিক অবস্থান জলবিদ্যুতের কথা বলে না। সব দিক থেকে বিবেচনা করেই বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরমাণু বিদ্যুৎ এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী। রাশিয়ার অ্যাটমিক কমিশনের মহাপরিচালক ফিরোয়েনকো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'এই চুক্তির আওতায় পরমাণু বিদু্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ, বর্জ্য ফিরিয়ে নেওয়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থায়ন, আইনি কাঠামো তৈরি এবং বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা দেবে।' তিনি আরো বলেন, 'জাপানের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর নতুন ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নতুন নকশায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। এতে পাঁচটি নতুন ব্যবস্থা যোগ করা হবে, যাতে ঠাণ্ডা হওয়ার উন্নত ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে উচ্চমাত্রার ভূকম্পন সহনশীল ব্যবস্থা। দীর্ঘ চার দশক পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। শত্রুর অভাব নেই বিভিন্ন অজুহাত তুলে ভালো প্রয়াসকে নসাৎ করার। পারমাণবিক বোমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মারণাস্ত্র বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু তার পরও উন্নত দেশগুলো কি এসব বোমা বানানো থেকে নিজেদের বিরত রাখছে? দেশের বর্তমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের প্রকল্পের বিকল্প নেই। জাপানের কেন্দ্রটি ছিল ৪০ বছরের পুরনো। প্রতিদিন সড়ক বা বিমান দুর্ঘটনায় কত লোক মারা যাচ্ছে! তাই বলে কি আমরা ঘর থেকে বের হওয়া কিংবা বিমানে বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত আছি? সুতরাং এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন প্রয়োজন সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের পূর্ণ সহযোগিতা। দেশের অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রয়োজন।
লেখক : বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট পরমাণু চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা
লেখক : বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট পরমাণু চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা
No comments