জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ-আরো ৫ শতাংশ বাড়বে আগামী বছর by শিমূল নজরুল,
এক বছরের ব্যবধানে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩৭.১২ শতাংশ। আর আগামী অর্থবছরে (২০১২-১৩) এ চাহিদা আরো ৫ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃপক্ষ। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হওয়ার পাশাপাশি যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিকল্পনা) এস এম রেজওয়ান হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হওয়ায় চলতি অর্থবছর ফার্নেস অয়েলের চাহিদা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বাড়বে। এ ছাড়া দেশে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় ডিজেলের চাহিদা বাড়ছে। এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে বিপিসি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, দেশে জ্বালানি তেলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তেলের আমাদানি এবং মজুদ ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০১০-১১) দেশে প্রায় ৪৮ লাখ ৬৮ টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ বছর দেশ প্রায় ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩৭.১২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে এ চাহিদা আরো ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭০ লাখ টনে দাঁড়াবে। কর্মকর্তারা আরো জানান, চলতি অর্থবছরে ৪০ লাখ টন ডিজেল প্রয়োজন হবে। আর ফার্নেস অয়েল লাগবে প্রায় ১৫ লাখ টন। শুধু বিদ্যুৎ খাতেই ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন হবে প্রায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার টনের বেশি।
এদিকে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শুধু ফার্নেস অয়েলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন বেশি। বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৪৫ শতাংশ ব্যবহার হয় যোগাযোগ খাতে, কৃষি খাতে প্রয়োজন হয় ২১ শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত হয় মাত্র ১৯ শতাংশ, শিল্প খাতে ৬ শতাংশ এবং গৃহস্থালি ও অন্যান্য খাতে প্রয়োজন হয় ৯ শতাংশ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে বিভিন্ন জেলায় ফার্নেস অয়েলনির্ভর আরো ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় এক হাজার ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। পুরনো আটটি এবং নতুন ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দে ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন হবে প্রায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার টন।
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, দেশে জ্বালানি তেলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তেলের আমাদানি এবং মজুদ ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০১০-১১) দেশে প্রায় ৪৮ লাখ ৬৮ টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ বছর দেশ প্রায় ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩৭.১২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে এ চাহিদা আরো ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭০ লাখ টনে দাঁড়াবে। কর্মকর্তারা আরো জানান, চলতি অর্থবছরে ৪০ লাখ টন ডিজেল প্রয়োজন হবে। আর ফার্নেস অয়েল লাগবে প্রায় ১৫ লাখ টন। শুধু বিদ্যুৎ খাতেই ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন হবে প্রায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার টনের বেশি।
এদিকে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শুধু ফার্নেস অয়েলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন বেশি। বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৪৫ শতাংশ ব্যবহার হয় যোগাযোগ খাতে, কৃষি খাতে প্রয়োজন হয় ২১ শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত হয় মাত্র ১৯ শতাংশ, শিল্প খাতে ৬ শতাংশ এবং গৃহস্থালি ও অন্যান্য খাতে প্রয়োজন হয় ৯ শতাংশ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে বিভিন্ন জেলায় ফার্নেস অয়েলনির্ভর আরো ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় এক হাজার ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। পুরনো আটটি এবং নতুন ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দে ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন হবে প্রায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার টন।
No comments