মিসরে বিক্ষোভ জোরদার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২

মিসরের রাজধানী কায়রোসহ কয়েকটি শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ সহিংসতায় তিন দিনে ২২ জন নিহত এবং এক হাজার ৭৫০ জন আহত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানান। এ সহিংসতা আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। বিক্ষোভ দমনে সরকারের শক্তি প্রয়োগের প্রতিবাদে গতকাল সংস্কৃতিমন্ত্রী ইমাদ আবু গাজি পদত্যাগ করেন।


বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের (এসসিএএফ) পদত্যাগ দাবি করছে। তাদের অভিযোগ, এসসিএএফ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করছে। তারা এসসিএএফের প্রধান ও মুবারক আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়ির পদত্যাগও দাবি করে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে তারা। ১০ মাস পার হয়ে গেলেও তাদের যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। মনে হচ্ছে, আমাদের ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।' শুক্র ও শনিবারের বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পর রবিবারও হাজারো মানুষ কায়রোর তাহরির স্কয়ারে সমবেত হয়। পুলিশ তাদের সরাতে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে সাময়িকভাবে ছত্রভঙ্গ হলেও পরে তারা আবার জড়ো হয়। গত শনিবারও একই ঘটনা ঘটে। টিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ গুলি ছুড়েছে। তবে পুলিশ এ দাবি নাকচ করে দেয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ২২ জন নিহত হয়েছে। কায়রো ছাড়াও আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ ও আসওয়ান শহরে সহিংসতা চলছে।
পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক প্রধান এল বারাদিসহ মিসরের বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী আগামী সপ্তাহের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে মন্ত্রিসভা থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিকে দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করেন। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে মিসরে পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরুর কথা। বিভিন্ন এলাকায় তিন মাস ধরে ভোটগ্রহণ চলবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.