কম বয়সে বল হাতে চমক
বয়স মাত্র ১৮ বছর, তাতেই অনেক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্যাটট্রিক কামিন্সের নাম। ১৮ বছর বয়সের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই পেসার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের প্রথম মৌসুমেই হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী বোলার। আর সেই ১৯৫৩ সালে ইয়ান ক্রেগের পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান টিনএজ বোলার হিসেবে টেস্টে অভিষেক হয়েছে তাঁর।
ব্যাগি গ্রিন টুপিটার সম্মান রেখে স্মরণীয় করেছেন অভিষেকটাও। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টিনএজ বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টের কোনো ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তিটা কামিন্সেরই। অভিষেকে নয়, তবে ১৮ বছর বয়সেই ৬ উইকেট নেওয়ার আগের কীর্তি ছিল বাংলাদেশের এনামুল হক জুনিয়রের।
একমাত্র টিনএজ বোলার হিসেবে অবশ্য টেস্ট অভিষেকে ৫ বা এর বেশি উইকেট নেননি কামিন্স। তাঁর আগে এ কীর্তি আছে আরো সাতজনের। শুরুটা করা যাক কামিন্সকে দিয়েই। ঘরোয়া ও ক্লাব ক্রিকেটের পর এই তরুণ আলো ছড়িয়েছিলেন ওয়ানডেতেও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৩০.০০ গড়ে ৫ উইকেট। কেপটাউন টেস্টে হেরে যাওয়ায় সিরিজে সমতা আনতে একটা ঝুঁকি নিতেই হতো অস্ট্রেলিয়াকে। ১৮ বছর বয়সী কামিন্সকে টেস্টের উত্তাল সমুদ্রে নামিয়ে সেই ঝুঁকিটাই নেন মাইকেল ক্লার্ক। আর অভিষেকেই কামিন্স বুঝিয়ে দিয়েছেন সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে যেতে আসেননি তিনি।
প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন কেবল হাশিম আমলার উইকেটটা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচটাকে অস্ট্রেলিয়ার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে যেতে দেননি। তৃতীয় দিন জ্যাক রুডলফকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে শুরু কামিন্সের। এরপর মাইকেল ক্লার্কের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জ্যাক ক্যালিসকে। চতুর্থ উইকেটে ডি ভিলিয়ার্স ও হাশিম আমলার ১৪৭ রানের জুটিতে বড় লিডের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কামিন্সের অসাধারণ আউটসুইঙ্গারে ডি ভিলিয়ার্স দ্বিতীয় স্লিপে ক্লার্ককে ক্যাচ দিলে ভাঙে জুটিটা। এরপর ১০৬তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিল্যান্ডার ও মরকেলকে ফিরিয়ে তো হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। ইমরান তাহির সেটা করতে না দিলেও স্টেইনকে ফিরিয়ে ঠিকই ইতিহাস গড়েন ঘণ্টায় ১৪৫-১৫০ মাইল বেগে বল করা এ পেসার। নিজের এমন সাফল্যের কৃতিত্বটা তিনি দিলেন পুরো দলকে, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় দেড় মাস একসঙ্গে আছি আমরা। একটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছি, দলের সবাই দারুণ সহযোগিতাও করেন আমাকে। তারাই উৎসাহ দিয়ে কমিয়ে দিয়েছেন চাপটা। জয়ের জন্য শেষ দিন ১৬৮ করতে হবে আমাদের, এটা হয়ে গেলে সার্থক হবে আমার অর্জন।'
৬ উইকেট নেওয়ার দিনে কামিন্সের বয়স ছিল ১৮ বছর ১৯৬ দিন। কম বয়সে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। '৯৬-এ ওয়ানডে অভিষেকের ২ বছর বাদে টেস্ট আঙ্গিনায় পা রাখা তাঁর। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচি টেস্টের শুরুর দিন আফ্রিদির বয়স ছিল ১৮ বছর ২৩৫ দিন। মার্ক ওয়াহকে ইনজামামের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। এরপর এলবিডাবি্লউ করেন স্টিভ ওয়াহ আর বোল্ড করেন ড্যারেন লেম্যানকে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৮ বছর ২৩৬ দিন বয়সে ৫ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন গ্যাভিন রবার্টসন ও গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ফিরিয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য উইকেটহীন ছিলেন আফ্রিদি আর ম্যাচটাও ড্র হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত। ওয়ানডেতে অভিষেক ইনিংসে ৩৭ বলে সেঞ্চুরির পর টেস্ট অভিষেকেও ৫ উইকেট! অমিত সম্ভাবনা থাকলেও ২৭ টেস্টের বেশি খেলা হয়নি আফ্রিদির। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭তম টেস্ট শেষে ৩৫.৬০ গড়ে ৪৮ উইকেট নিয়েই জানিয়ে দেন চূড়ান্তভাবে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
আফ্রিদির মতো উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৯৬ সালে শেখুপুরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার শহীদ নাজিরের। ১৮ বছর ৩১৯ দিন বয়সে ৫৩ রানে তিনি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ড্র হওয়া ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন নাজির। তবে পরে অধারাবাহিক হয়ে পড়ায় ১৫ টেস্টের বেশি খেলা হয়নি তাঁর। ৩৫.৩৩ গড়ে নাজিরের টেস্ট উইকেট ৩৬টি।
টিনএজে তো বটেই অভিষেক টেস্টেই সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা ভারতীয় লেগস্পিনার নরেন্দ্র হিরোয়ানির। ১৯৮৮ সালে চিপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকেই দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৮টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে দুই ক্যারিবীয় ওপেনারকে ফিরিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী ও কপিল দেব। এরপর বাকি ৮ উইকেটই নেন ১৯ বছর ৮৮ দিন বয়সী চশমা পরা এ লেগস্পিনার। অধিনায়ক ভিভ রিচার্ডসকে বোল্ড আর কার্ল হুপারকে করেছিলেন এলবিডাবি্লউ। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্সকে এলবিডাবি্লউ ও ফিল সিমন্সকে অমরানাথের ক্যাচ বানানোর পর অধিনায়ক রিচার্ডসকে তালুবন্দি করান কপিল দেবের। বাকি ৫ উইকেটের ৫টিই ছিল স্টাম্পিং! ভারতের ২৫৫ রানে জেতা ম্যাচটিতে ১৩৬ রানে হিরোয়ানি নেন মোট ১৬ উইকেট। অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বব ম্যাসিরও আছে ১৬ উইকেট, তবে তিনি হিরোয়ানির চেয়ে রান দিয়েছেন ১টি বেশি। ১৭ টেস্টে ৩০.১০ গড়ে ৬৬ উইকেট নিয়ে ১৯৯৬ সালে অবসর নেন হিরোয়ানি।
১৯ বছর ১০৯ দিন বয়সে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিও। ২০০৮ সালে ন্যাপিয়ারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন মাইকেল ভন, অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, কেভিন পিটারসেন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও রায়ান সাইডবটমের উইকেট। ২২ বছর বয়সী এ পেসার ১৩ টেস্টে ৪২.৫৪ গড়ে নিয়েছেন ৩৫ উইকেট।
এ ছাড়া ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার জন জেমস ফেরিস নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ বছর ২৫২ দিন বয়সে ৭৬ রানে ৫টি ও ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার মাইকেল জর্জ মেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার কুয়ান ম্যাকার্থি ১৯ বছর ২৭১ দিন বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ৪৩ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
অভিষেকে না হলেও টেস্ট ইতিহাসে ১৮ বছর হওয়ার আগে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে দুজনের। দুজনই আবার পাকিস্তানের। ১৯৫৮ সালে জর্জটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নাসিম উল গনি ১৬ বছর ৩০৩ দিন বয়সে ১১৬ রানে ৫ ও ১৭ বছর ২৫৭ দিন বয়সে মোহাম্মদ আমির ২০০৯ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৭৯ রানে ৫ উইকেট। ওয়েবসাইট
অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া টিনএজাররা
একমাত্র টিনএজ বোলার হিসেবে অবশ্য টেস্ট অভিষেকে ৫ বা এর বেশি উইকেট নেননি কামিন্স। তাঁর আগে এ কীর্তি আছে আরো সাতজনের। শুরুটা করা যাক কামিন্সকে দিয়েই। ঘরোয়া ও ক্লাব ক্রিকেটের পর এই তরুণ আলো ছড়িয়েছিলেন ওয়ানডেতেও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৩০.০০ গড়ে ৫ উইকেট। কেপটাউন টেস্টে হেরে যাওয়ায় সিরিজে সমতা আনতে একটা ঝুঁকি নিতেই হতো অস্ট্রেলিয়াকে। ১৮ বছর বয়সী কামিন্সকে টেস্টের উত্তাল সমুদ্রে নামিয়ে সেই ঝুঁকিটাই নেন মাইকেল ক্লার্ক। আর অভিষেকেই কামিন্স বুঝিয়ে দিয়েছেন সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে যেতে আসেননি তিনি।
প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন কেবল হাশিম আমলার উইকেটটা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচটাকে অস্ট্রেলিয়ার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে যেতে দেননি। তৃতীয় দিন জ্যাক রুডলফকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে শুরু কামিন্সের। এরপর মাইকেল ক্লার্কের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জ্যাক ক্যালিসকে। চতুর্থ উইকেটে ডি ভিলিয়ার্স ও হাশিম আমলার ১৪৭ রানের জুটিতে বড় লিডের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কামিন্সের অসাধারণ আউটসুইঙ্গারে ডি ভিলিয়ার্স দ্বিতীয় স্লিপে ক্লার্ককে ক্যাচ দিলে ভাঙে জুটিটা। এরপর ১০৬তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিল্যান্ডার ও মরকেলকে ফিরিয়ে তো হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। ইমরান তাহির সেটা করতে না দিলেও স্টেইনকে ফিরিয়ে ঠিকই ইতিহাস গড়েন ঘণ্টায় ১৪৫-১৫০ মাইল বেগে বল করা এ পেসার। নিজের এমন সাফল্যের কৃতিত্বটা তিনি দিলেন পুরো দলকে, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় দেড় মাস একসঙ্গে আছি আমরা। একটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছি, দলের সবাই দারুণ সহযোগিতাও করেন আমাকে। তারাই উৎসাহ দিয়ে কমিয়ে দিয়েছেন চাপটা। জয়ের জন্য শেষ দিন ১৬৮ করতে হবে আমাদের, এটা হয়ে গেলে সার্থক হবে আমার অর্জন।'
৬ উইকেট নেওয়ার দিনে কামিন্সের বয়স ছিল ১৮ বছর ১৯৬ দিন। কম বয়সে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। '৯৬-এ ওয়ানডে অভিষেকের ২ বছর বাদে টেস্ট আঙ্গিনায় পা রাখা তাঁর। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচি টেস্টের শুরুর দিন আফ্রিদির বয়স ছিল ১৮ বছর ২৩৫ দিন। মার্ক ওয়াহকে ইনজামামের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। এরপর এলবিডাবি্লউ করেন স্টিভ ওয়াহ আর বোল্ড করেন ড্যারেন লেম্যানকে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৮ বছর ২৩৬ দিন বয়সে ৫ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন গ্যাভিন রবার্টসন ও গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ফিরিয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য উইকেটহীন ছিলেন আফ্রিদি আর ম্যাচটাও ড্র হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত। ওয়ানডেতে অভিষেক ইনিংসে ৩৭ বলে সেঞ্চুরির পর টেস্ট অভিষেকেও ৫ উইকেট! অমিত সম্ভাবনা থাকলেও ২৭ টেস্টের বেশি খেলা হয়নি আফ্রিদির। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭তম টেস্ট শেষে ৩৫.৬০ গড়ে ৪৮ উইকেট নিয়েই জানিয়ে দেন চূড়ান্তভাবে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
আফ্রিদির মতো উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৯৬ সালে শেখুপুরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার শহীদ নাজিরের। ১৮ বছর ৩১৯ দিন বয়সে ৫৩ রানে তিনি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ড্র হওয়া ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন নাজির। তবে পরে অধারাবাহিক হয়ে পড়ায় ১৫ টেস্টের বেশি খেলা হয়নি তাঁর। ৩৫.৩৩ গড়ে নাজিরের টেস্ট উইকেট ৩৬টি।
টিনএজে তো বটেই অভিষেক টেস্টেই সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা ভারতীয় লেগস্পিনার নরেন্দ্র হিরোয়ানির। ১৯৮৮ সালে চিপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকেই দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৮টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে দুই ক্যারিবীয় ওপেনারকে ফিরিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী ও কপিল দেব। এরপর বাকি ৮ উইকেটই নেন ১৯ বছর ৮৮ দিন বয়সী চশমা পরা এ লেগস্পিনার। অধিনায়ক ভিভ রিচার্ডসকে বোল্ড আর কার্ল হুপারকে করেছিলেন এলবিডাবি্লউ। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্সকে এলবিডাবি্লউ ও ফিল সিমন্সকে অমরানাথের ক্যাচ বানানোর পর অধিনায়ক রিচার্ডসকে তালুবন্দি করান কপিল দেবের। বাকি ৫ উইকেটের ৫টিই ছিল স্টাম্পিং! ভারতের ২৫৫ রানে জেতা ম্যাচটিতে ১৩৬ রানে হিরোয়ানি নেন মোট ১৬ উইকেট। অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বব ম্যাসিরও আছে ১৬ উইকেট, তবে তিনি হিরোয়ানির চেয়ে রান দিয়েছেন ১টি বেশি। ১৭ টেস্টে ৩০.১০ গড়ে ৬৬ উইকেট নিয়ে ১৯৯৬ সালে অবসর নেন হিরোয়ানি।
১৯ বছর ১০৯ দিন বয়সে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিও। ২০০৮ সালে ন্যাপিয়ারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন মাইকেল ভন, অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, কেভিন পিটারসেন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও রায়ান সাইডবটমের উইকেট। ২২ বছর বয়সী এ পেসার ১৩ টেস্টে ৪২.৫৪ গড়ে নিয়েছেন ৩৫ উইকেট।
এ ছাড়া ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার জন জেমস ফেরিস নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ বছর ২৫২ দিন বয়সে ৭৬ রানে ৫টি ও ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার মাইকেল জর্জ মেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার কুয়ান ম্যাকার্থি ১৯ বছর ২৭১ দিন বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ৪৩ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
অভিষেকে না হলেও টেস্ট ইতিহাসে ১৮ বছর হওয়ার আগে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে দুজনের। দুজনই আবার পাকিস্তানের। ১৯৫৮ সালে জর্জটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নাসিম উল গনি ১৬ বছর ৩০৩ দিন বয়সে ১১৬ রানে ৫ ও ১৭ বছর ২৫৭ দিন বয়সে মোহাম্মদ আমির ২০০৯ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৭৯ রানে ৫ উইকেট। ওয়েবসাইট
অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া টিনএজাররা
No comments