কায়রোয় গণবিক্ষোভের ডাক
মিসরের রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সেনাশাসন-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। দেশটির ক্ষমতাসীন সেনা কাউন্সিলের বিরুদ্ধে তাহরির স্কয়ারে চলমান বিক্ষোভ আজ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। গত তিন দিনে নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাশাসন-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত এবং প্রায় এক হাজার ৮০০ জন আহত হয়।
কোয়ালিশন অব রিভ্যলিউশন ইয়ুথ এবং এপ্রিল সিক্স মুভমেন্ট এই গণবিক্ষোভের ডাক দেয় বলে আল-জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইন জানিয়েছে। এ আন্দোলনকারীরাই গত ফেব্রুয়ারিতে হোসনি মোবারকের পতন ঘটায়।
বিক্ষোভকারীরা মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব আমর্ড ফোর্সেসের (এসসিএফ) ক্ষমতা ত্যাগ এবং বেসামরিক নেতৃত্বের কাছে শাসনভার হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
কায়রোর তাহরির স্কয়ার থেকে জাজিরার প্রতিনিধি জামাল এলশাইয়াল জানান, সেনা আদালতে বেসামরিক লোকদের বিচার কার্যক্রম পুনরায় চালু, সরকারবিরোধীদের ওপর নির্যাতন ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহারের ঘটনার পর সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাবির ওপর সাধারণ মিসরীয়রা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।
তাহরির স্কয়ারে এখন প্রায় ২০ হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান করছেন। সেনাশাসন-বিরোধী আন্দোলনের সংগঠকেরা এ সংখ্যাকে লাখে পরিণত করতেই আজ বিকেলে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যেসব বিক্ষোভকারী মোবারক-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, তাদেরকে আজকের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন সংগঠকেরা।
এদিকে, তাহরির স্কয়ারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে গড়ানোর প্রেক্ষাপটে মিসরের মন্ত্রিপরিষদ গতকাল সোমবার রাতে পদত্যাগ করে। তবে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে কি না, সেনা কর্তৃপক্ষ এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। এতে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনা জানিয়েছে, মিসরের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল গতকাল সোমবার সংকট সমাধানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে গত কয়েক দিনের সহিংসতায় হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে তাহরির স্কয়ারে আন্দোলনরত জনতা সামরিক কাউন্সিলের এ আহ্বানের নিন্দা জানিয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখে আলোচনার প্রস্তাব অর্থহীন।
ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাবির দীর্ঘদিন ধরে মোবারক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সেনাশাসকেরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে।
বিক্ষোভকারীরা মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব আমর্ড ফোর্সেসের (এসসিএফ) ক্ষমতা ত্যাগ এবং বেসামরিক নেতৃত্বের কাছে শাসনভার হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
কায়রোর তাহরির স্কয়ার থেকে জাজিরার প্রতিনিধি জামাল এলশাইয়াল জানান, সেনা আদালতে বেসামরিক লোকদের বিচার কার্যক্রম পুনরায় চালু, সরকারবিরোধীদের ওপর নির্যাতন ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহারের ঘটনার পর সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাবির ওপর সাধারণ মিসরীয়রা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।
তাহরির স্কয়ারে এখন প্রায় ২০ হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান করছেন। সেনাশাসন-বিরোধী আন্দোলনের সংগঠকেরা এ সংখ্যাকে লাখে পরিণত করতেই আজ বিকেলে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যেসব বিক্ষোভকারী মোবারক-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, তাদেরকে আজকের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন সংগঠকেরা।
এদিকে, তাহরির স্কয়ারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে গড়ানোর প্রেক্ষাপটে মিসরের মন্ত্রিপরিষদ গতকাল সোমবার রাতে পদত্যাগ করে। তবে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে কি না, সেনা কর্তৃপক্ষ এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। এতে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনা জানিয়েছে, মিসরের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল গতকাল সোমবার সংকট সমাধানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে গত কয়েক দিনের সহিংসতায় হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে তাহরির স্কয়ারে আন্দোলনরত জনতা সামরিক কাউন্সিলের এ আহ্বানের নিন্দা জানিয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখে আলোচনার প্রস্তাব অর্থহীন।
ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাবির দীর্ঘদিন ধরে মোবারক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সেনাশাসকেরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে।
No comments