মুরবি্বদের প্রতি আচরণ by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
মানবিক গুণাবলির মধ্যে নির্মল আচরণ একটি অন্যতম গুণ। সমাজে নিয়ম-শৃঙ্খলা, প্রেম-প্রীতি ও শ্রদ্ধা-সম্মানের এই মহৎ গুণে সুখ-শান্তি নেমে আসে। ইসলামে তাই মুরবি্বদের প্রতি সৎ আচরণ প্রদর্শনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
সৎ স্বভাব বা সৎ আচরণের মাধ্যমেই আমরা জীবনের প্রতিটি কর্মক্ষেত্র সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি। পরিবারের সদস্য হিসেবে আদব রক্ষা করা যেমন সবার উচিত, তেমনি আচরণের মাধ্যমেই মুরবি্বদের মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করা সবার কর্তব্য। মানুষের উত্তম স্বভাব এবং নিষ্ঠাচার পার্থিব বা পারলৌকিক জীবনকে করে সৌন্দর্যমণ্ডিত। পারস্পরিক সম্পর্ক এবং নিষ্ঠতা নির্ভর করে মানুষের আচরণের ওপর। সৎ আচরণই মানুষকে মহান ও মহীয়ান করে তোলে।
পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আমরা একত্রে বসবাস করি এবং সমাজে-সংসারে মুরবি্বরাই নেতৃস্থানীয়। পিতা-মাতা, বয়োজ্যেষ্ঠ ভ্রাতা-ভগি্ন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরাই মুরবি্ব শ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মুরবি্বদের আদেশ-নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কিংবা তাদের নির্দেশমতো চলার পথকে অনুসরণ করা সৎ আচরণের নামান্তর মাত্র। বয়োজ্যেষ্ঠ মুরবি্বদের প্রতি শ্রেণীমতো আদব ও সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের বিধান রয়েছে। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত শিশুদের মুরবি্বদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা দেওয়া। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শনের কারণেই পরিবার, সমাজ ও জীবনের সব ক্ষেত্র হয় কল্যাণময়। তাই সমাজ-সংসারের আদব রক্ষার জন্য মুরবি্বদের প্রতি ভদ্রতা, নম্রতা, শিষ্টতা এবং নমনীয়তা দেখাতে হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন মজিদে বলা হয়েছে :
'মানুষের সঙ্গে ভদ্রোচিত আলাপ করো। অন্য শ্রেণীর লোকের প্রতি অবজ্ঞা ভরে বিদ্রূপ করো না।' আমাদের প্রিয় নবী করিম (সা.) বলেছেন, 'যারা মুরবি্বদের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমার উম্মত নয়।' তিনি আরও বলেছেন :যে যুবক কোনো বৃদ্ধের প্রতি তার বার্ধক্যের কারণে সম্মান প্রদর্শন করবেন, আল্লাহতায়ালা সেই যুবকের শেষ বয়সে তার প্রতি সম্মানকারী লোক পয়দা করবেন। সম্মানবোধ এবং আচরণের ক্ষেত্রে এই মহান বাণী আমরা সামনে রেখে বলতে পারি, মুরবি্বদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, বয়োবৃদ্ধকে পিতার মতো সম্মান দেখানো মানবিক মূল্যবোধেরই পরিচয় বহন করে। এ সম্পর্কে রাসূলে করিম (সা.) আরও বলেছেন : তিনটি বিষয় বা আচরণের দ্বারা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত ও মজবুত হয়। তা হলো_ কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই সালাম দেবে, মজলিসে এলে বসার স্থান দেবে এবং তিনি যে নামে সম্বোধন করলে খুশি হন সেই নামে তাকে সম্বোধন করবে। তিনি আরও
বলেছেন :মানুষের আচার-আচরণ ও নিষ্ঠাচারে মোমিনের মর্যাদা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মুরবি্বদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার জন্য সবার সঙ্গে নম্র ব্যবহার ও সদালাপী হতে হবে। হজরত নবী করিম (সা.) এই রকম আচরণকারীর জন্য দোজখ থেকে নাজাত পাওয়ার এবং আল্লাহর বন্ধুত্ব লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। একবার এক সম্মানিত ব্যক্তি তার কাছে এলে তিনি নিজে চাদর বিছিয়ে দিয়ে বলেছেন :তোমাদের নিকট কোনো সম্প্রদায়ের মুরবি্বলোক এলে তাকে যথাযথ সম্মান করো। সম্মান করা ইমানের অঙ্গ। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহতায়ালা ভদ্রতা ও নম্রতাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন এবং তিনি বিনয়ীকে যা দান করেন, গর্বিতকে তা প্রদান করেন না।
সত্যিকারভাবে মানুষের মর্যাদা পারস্পরিক সৎ আচরণের ওপর নির্ভর করে। নির্ভর করে অন্য একজন মানুষের সৎ আচরণের ওপর একে অপরের ভেদাভেদ ভুলে যাওয়া, শ্রেণী-বৈষম্য দূরীকরণ, জলসা-বৈঠকে, সভা-সমাবেশে, চাকর-বাকর ও নিঃস্ব-দিনমজুরের প্রতি সৎ আচরণ এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন সৌজন্যবোধের পরিচয় বহন করে। কারও সঙ্গে তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞা করা কিংবা অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ইসলামের পরিপন্থী।
পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আমরা একত্রে বসবাস করি এবং সমাজে-সংসারে মুরবি্বরাই নেতৃস্থানীয়। পিতা-মাতা, বয়োজ্যেষ্ঠ ভ্রাতা-ভগি্ন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরাই মুরবি্ব শ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মুরবি্বদের আদেশ-নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কিংবা তাদের নির্দেশমতো চলার পথকে অনুসরণ করা সৎ আচরণের নামান্তর মাত্র। বয়োজ্যেষ্ঠ মুরবি্বদের প্রতি শ্রেণীমতো আদব ও সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের বিধান রয়েছে। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত শিশুদের মুরবি্বদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা দেওয়া। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শনের কারণেই পরিবার, সমাজ ও জীবনের সব ক্ষেত্র হয় কল্যাণময়। তাই সমাজ-সংসারের আদব রক্ষার জন্য মুরবি্বদের প্রতি ভদ্রতা, নম্রতা, শিষ্টতা এবং নমনীয়তা দেখাতে হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন মজিদে বলা হয়েছে :
'মানুষের সঙ্গে ভদ্রোচিত আলাপ করো। অন্য শ্রেণীর লোকের প্রতি অবজ্ঞা ভরে বিদ্রূপ করো না।' আমাদের প্রিয় নবী করিম (সা.) বলেছেন, 'যারা মুরবি্বদের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমার উম্মত নয়।' তিনি আরও বলেছেন :যে যুবক কোনো বৃদ্ধের প্রতি তার বার্ধক্যের কারণে সম্মান প্রদর্শন করবেন, আল্লাহতায়ালা সেই যুবকের শেষ বয়সে তার প্রতি সম্মানকারী লোক পয়দা করবেন। সম্মানবোধ এবং আচরণের ক্ষেত্রে এই মহান বাণী আমরা সামনে রেখে বলতে পারি, মুরবি্বদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, বয়োবৃদ্ধকে পিতার মতো সম্মান দেখানো মানবিক মূল্যবোধেরই পরিচয় বহন করে। এ সম্পর্কে রাসূলে করিম (সা.) আরও বলেছেন : তিনটি বিষয় বা আচরণের দ্বারা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত ও মজবুত হয়। তা হলো_ কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই সালাম দেবে, মজলিসে এলে বসার স্থান দেবে এবং তিনি যে নামে সম্বোধন করলে খুশি হন সেই নামে তাকে সম্বোধন করবে। তিনি আরও
বলেছেন :মানুষের আচার-আচরণ ও নিষ্ঠাচারে মোমিনের মর্যাদা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মুরবি্বদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার জন্য সবার সঙ্গে নম্র ব্যবহার ও সদালাপী হতে হবে। হজরত নবী করিম (সা.) এই রকম আচরণকারীর জন্য দোজখ থেকে নাজাত পাওয়ার এবং আল্লাহর বন্ধুত্ব লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। একবার এক সম্মানিত ব্যক্তি তার কাছে এলে তিনি নিজে চাদর বিছিয়ে দিয়ে বলেছেন :তোমাদের নিকট কোনো সম্প্রদায়ের মুরবি্বলোক এলে তাকে যথাযথ সম্মান করো। সম্মান করা ইমানের অঙ্গ। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহতায়ালা ভদ্রতা ও নম্রতাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন এবং তিনি বিনয়ীকে যা দান করেন, গর্বিতকে তা প্রদান করেন না।
সত্যিকারভাবে মানুষের মর্যাদা পারস্পরিক সৎ আচরণের ওপর নির্ভর করে। নির্ভর করে অন্য একজন মানুষের সৎ আচরণের ওপর একে অপরের ভেদাভেদ ভুলে যাওয়া, শ্রেণী-বৈষম্য দূরীকরণ, জলসা-বৈঠকে, সভা-সমাবেশে, চাকর-বাকর ও নিঃস্ব-দিনমজুরের প্রতি সৎ আচরণ এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন সৌজন্যবোধের পরিচয় বহন করে। কারও সঙ্গে তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞা করা কিংবা অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ইসলামের পরিপন্থী।
No comments