আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নেতানিয়াহু?
ইহুদিদের ‘আলোর উৎসবের’ প্রাক্কালে সম্প্রতি বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করে ইসরায়েলি সরকার। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে রকম খোশ মেজাজ দেখান, তা তাঁর স্বভাবের সঙ্গে যায় না।
চসারের কবিতা সম্পর্কে নিজের পড়াশোনা নিয়ে কথা বলে চমকে দেন অতিথিদের। সাগ্রহেই রাজি হন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে।
নেতানিয়াহুর এমন খোশ মেজাজের কারণ আছে। সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৮১ শতাংশ ইসরায়েলিই মনে করে, আগামী জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি পুনর্নির্বাচিত হবেন।
‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যা দরকার মনে করি, সেটাই করি আমি। আমার মনে হয় না, ইহুদিদের আর একটি সুযোগ দেবে ইতিহাস।’ বিদেশি সাংবাদিকদের বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তাঁর কোয়ালিশনে রদবদল আনতেই পারেন। এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি প্রার্থী দিচ্ছে কট্টর জাতীয়তাবাদী ইসরায়েল বেইতেইনু দলের সঙ্গে জোট করে।
হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আব্রাহাম ডিসকিন বলেন, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে অপেক্ষমাণ এই রাজনীতিক একজন জটিল মানুষ। তাঁকে হয়তো অনেকের পছন্দ হবে না, কিন্তু তিনি একজন সক্ষম নেতা।
আব্রাহাম ডিসকিন বলেন, নেতানিয়াহু এমন একজন নেতা, যিনি প্রয়োজনীয় কাজটি করতে সক্ষম। এটাই তাঁর সাফল্যের রহস্য।
নেতানিয়াহুর বিদায়ী সরকার একের পর এক সমস্যার মুখে পড়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা ভালো করে জমে উঠতে না-উঠতেই নার্সরা ধর্মঘটে যান। উচ্চ দ্রব্যমূল্য ও আবাসন সমস্যার কারণে গত বছর রাজপথে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। তার পরও নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় ফিরে আসাটা অনেকটাই নিশ্চিত।
পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, আজকের ইসরায়েলের পরিবর্তিত বাস্তবতাই হয়তো নেতানিয়াহুর পেছনে ভরসার কারণ। আরব-বসন্তে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছিল, তা ইসরায়েলে সেভাবে লাগেনি। ইসরায়েলের অনন্য ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এর একটি কারণ। নানা কারণে বৈরী প্রতিবেশী সিরিয়ায় চলছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। দীর্ঘদিনের নির্ভরযোগ্য মিত্র মিসরের সঙ্গে বন্ধুত্বে হঠাৎ করেই ভাটা পড়েছে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পরবর্তী পর্যায় নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। গাজার সাম্প্রতিক সংঘাত প্রমাণ করেছে যে কট্টরপন্থী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা বহু দূর। সর্বশেষ জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের কূটনৈতিক বিজয় অনেক ইসরায়েলিকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে হওয়ার ভয়ে ভীত করে তুলেছে। এই যখন সার্বিক পরিস্থিতি, তখন দেশটির ভোটাররা একজন শক্ত মানুষকে দেশের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক।
দাউদ ইসলাম
নেতানিয়াহুর এমন খোশ মেজাজের কারণ আছে। সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৮১ শতাংশ ইসরায়েলিই মনে করে, আগামী জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি পুনর্নির্বাচিত হবেন।
‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যা দরকার মনে করি, সেটাই করি আমি। আমার মনে হয় না, ইহুদিদের আর একটি সুযোগ দেবে ইতিহাস।’ বিদেশি সাংবাদিকদের বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তাঁর কোয়ালিশনে রদবদল আনতেই পারেন। এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি প্রার্থী দিচ্ছে কট্টর জাতীয়তাবাদী ইসরায়েল বেইতেইনু দলের সঙ্গে জোট করে।
হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আব্রাহাম ডিসকিন বলেন, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে অপেক্ষমাণ এই রাজনীতিক একজন জটিল মানুষ। তাঁকে হয়তো অনেকের পছন্দ হবে না, কিন্তু তিনি একজন সক্ষম নেতা।
আব্রাহাম ডিসকিন বলেন, নেতানিয়াহু এমন একজন নেতা, যিনি প্রয়োজনীয় কাজটি করতে সক্ষম। এটাই তাঁর সাফল্যের রহস্য।
নেতানিয়াহুর বিদায়ী সরকার একের পর এক সমস্যার মুখে পড়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা ভালো করে জমে উঠতে না-উঠতেই নার্সরা ধর্মঘটে যান। উচ্চ দ্রব্যমূল্য ও আবাসন সমস্যার কারণে গত বছর রাজপথে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। তার পরও নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় ফিরে আসাটা অনেকটাই নিশ্চিত।
পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, আজকের ইসরায়েলের পরিবর্তিত বাস্তবতাই হয়তো নেতানিয়াহুর পেছনে ভরসার কারণ। আরব-বসন্তে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছিল, তা ইসরায়েলে সেভাবে লাগেনি। ইসরায়েলের অনন্য ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এর একটি কারণ। নানা কারণে বৈরী প্রতিবেশী সিরিয়ায় চলছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। দীর্ঘদিনের নির্ভরযোগ্য মিত্র মিসরের সঙ্গে বন্ধুত্বে হঠাৎ করেই ভাটা পড়েছে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পরবর্তী পর্যায় নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। গাজার সাম্প্রতিক সংঘাত প্রমাণ করেছে যে কট্টরপন্থী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা বহু দূর। সর্বশেষ জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের কূটনৈতিক বিজয় অনেক ইসরায়েলিকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে হওয়ার ভয়ে ভীত করে তুলেছে। এই যখন সার্বিক পরিস্থিতি, তখন দেশটির ভোটাররা একজন শক্ত মানুষকে দেশের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক।
দাউদ ইসলাম
No comments