নানা রঙে প্রযুক্তি মেলা by হাসান ইমাম
ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে করা হয়েছে বিশাল প্যাভিলিয়ন। মঞ্চে চলছে মন মাতানো গান। গাইছেন জনপ্রিয় সব শিল্পীরা। দর্শকেরও অভাব নেই।
পাঠক, কোনো লাইভ কনসার্টের অনুষ্ঠানের কথা বলছি মনে করলে করতে পারেন। কিন্তু তা হবে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ, এখানে যত মানুষ আসছে, তার মাত্র একটি অংশই আছে কনসার্টে। বাকিরা ঘুরছে ইতিউতি। এখানে যে আয়োজনের শেষ নেই। আসলে মূল অনুষ্ঠানটা হলো তথ্যপ্রযুক্তির মেলা—বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) ‘বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড’। মেলার স্লোগান করা হয়েছে ‘দিন বদলের দীক্ষা, প্রযুক্তি আর শিক্ষা’।
২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের এই মেলায় প্রতিদিনই মানুষের ঢল নামছে বলা চলে। কুমিল্লা থেকে মেলায় আসা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন আয়োজন দেখে অনেক ভালো লাগছে। রাজধানীতে প্রায়ই এমন আয়োজন হলেও আসার সুযোগ হয়নি। একটা ল্যাপটপ কিনব ভাবছি। নানা ধরনের আয়োজন দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ।’
নতুন প্রযুক্তি নতুন পণ্য
মেলায় আছে নানা ধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্য। দেখা গেল ইন্টার্যা ক্টিভ হোয়াইট বোর্ড, ইতিমধ্যে যা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ করতে চাইলে ডিজিটাল বোর্ড অতীব প্রয়োজন। অন্য বোর্ড থেকে এর সুবিধা হলো, এখানে কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়াই, কোনো মার্কার বা ডাস্টার ছাড়াই লেখা যাবে এবং তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার লেখায় পরিণত হবে। মেলায় আছে নানা ধরনের হেডফোন। বৈচিত্র্যময় এসব হেডফোন বেশি আকর্ষণ করছে তরুণদের। আছে থ্রিডি এলসিডি মনিটর, চশমা ছাড়াই যেখানে থ্রিডির মজা পাওয়া যাবে সহজে। আছে থ্রিডি ক্যামেরা, স্পিকার, নতুন মডেলের ল্যাপটপসহ আরও অনেক পণ্য।
পুরস্কার আর ছাড়ের মেলা
মেলার অধিকাংশ স্টলেই আছে উপহার জেতার সুযোগ। আছে প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ের ব্যবস্থা। মিরপুর থেকে মেলায় আসা আরেফা জামান বলেন, ‘কম্পিউটারের কি-বোর্ডটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ভাবলাম, একটা কিনে নেব মেলা থেকে। কিন্তু তার আগেই একটা স্টলে গিয়ে প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে সেই কি-বোর্ডই জিতে নিলাম। খুব ভালো লাগছে।’ একটা কিনলে অন্যটা ফ্রি নিতে পারবেন—এমন ব্যবস্থাও আছে কোনো কোনো স্টলে। স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে বা কোনো কিছু কিনে জিতে নিতে পারেন কি-বোর্ড, মাউস, টি-শার্ট, পেনড্রাইভ বা নগদ টাকা ছাড়।
ছবি আঁকি মাউসে
শুরুর দিন থেকেই জমে উঠেছে শিশুদের কম্পিউটারে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা। রং-তুলির বদলে শিশুরা এখন কম্পিউটারে ছবি আঁকতে ভালোবাসে। তেমনই একজন মগবাজার গার্লস হাইস্কুলের খোদেজা অ্যানি। তৃতীয় শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী মেলায় এসে অংশ নিয়েছে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায়। মনের মাধুরী মিশিয়ে সে রং করছে কম্পিউটারে আঁকা গাছ আর ঘরে।
বাচ্চাদের মেলায় আনতেই এমন একটি আয়োজন আয়োজকদের। শেষ দিন পর্যন্ত এতে অংশ নিতে পারবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ৬ থেকে ১০ বছর এবং ১১ থেকে ১৪ বছর—এই দুই শাখায় ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা চলছে মেলায়, যার ওপর তারা পাবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
আছে কুইজ পর্ব ও সেলিব্রিটি আড্ডা
প্রতিদিন মেলায় থাকছে কুইজ পর্ব। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি বা সাধারণ জ্ঞানের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নিতে পারেন পুরস্কার। কুইজে পুরস্কার জেতা আওলাদ হোসন বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। ডিজিটাল মেলায় এসে একটি পেনড্রাইভ জিতেছি। এমন আয়োজন বছরের বিভিন্ন সময়ে করা যেতে পারে। এতে করে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।’
সেলিব্রিটি আড্ডায় প্রতিদিন অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন জগতের তারকারা। গান বা আলোচনায় মুখর করে তুলছেন মেলার প্রাঙ্গণ। দর্শকও নিজেদের প্রিয় শিল্পীকে কাছে পেয়ে ছুটে যাচ্ছে অটোগ্রাফ নিতে বা অনুরোধের গান শুনতে।
একনজরে মেলা
তথ্যপ্রযুক্তির এই মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মোট ৯০টি স্টল ও ১৫টি প্যাভিলিয়ন আছে এখানে। এই মেলা শেষ হবে আগামীকাল। মেলায় প্রবেশে টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলেএ মেলা।
মেলার আহ্বায়ক শাহিদ-উল মনির বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর এমন আয়োজনের চেষ্টা করি। সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তিপণ্য পরিচিত করতেই এই আয়োজন। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করা। নিজেদের জীবন আরও উন্নত করতে সবারই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করা উচিত।’
২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের এই মেলায় প্রতিদিনই মানুষের ঢল নামছে বলা চলে। কুমিল্লা থেকে মেলায় আসা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন আয়োজন দেখে অনেক ভালো লাগছে। রাজধানীতে প্রায়ই এমন আয়োজন হলেও আসার সুযোগ হয়নি। একটা ল্যাপটপ কিনব ভাবছি। নানা ধরনের আয়োজন দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ।’
নতুন প্রযুক্তি নতুন পণ্য
মেলায় আছে নানা ধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্য। দেখা গেল ইন্টার্যা ক্টিভ হোয়াইট বোর্ড, ইতিমধ্যে যা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ করতে চাইলে ডিজিটাল বোর্ড অতীব প্রয়োজন। অন্য বোর্ড থেকে এর সুবিধা হলো, এখানে কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়াই, কোনো মার্কার বা ডাস্টার ছাড়াই লেখা যাবে এবং তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার লেখায় পরিণত হবে। মেলায় আছে নানা ধরনের হেডফোন। বৈচিত্র্যময় এসব হেডফোন বেশি আকর্ষণ করছে তরুণদের। আছে থ্রিডি এলসিডি মনিটর, চশমা ছাড়াই যেখানে থ্রিডির মজা পাওয়া যাবে সহজে। আছে থ্রিডি ক্যামেরা, স্পিকার, নতুন মডেলের ল্যাপটপসহ আরও অনেক পণ্য।
পুরস্কার আর ছাড়ের মেলা
মেলার অধিকাংশ স্টলেই আছে উপহার জেতার সুযোগ। আছে প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ের ব্যবস্থা। মিরপুর থেকে মেলায় আসা আরেফা জামান বলেন, ‘কম্পিউটারের কি-বোর্ডটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ভাবলাম, একটা কিনে নেব মেলা থেকে। কিন্তু তার আগেই একটা স্টলে গিয়ে প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে সেই কি-বোর্ডই জিতে নিলাম। খুব ভালো লাগছে।’ একটা কিনলে অন্যটা ফ্রি নিতে পারবেন—এমন ব্যবস্থাও আছে কোনো কোনো স্টলে। স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে বা কোনো কিছু কিনে জিতে নিতে পারেন কি-বোর্ড, মাউস, টি-শার্ট, পেনড্রাইভ বা নগদ টাকা ছাড়।
ছবি আঁকি মাউসে
শুরুর দিন থেকেই জমে উঠেছে শিশুদের কম্পিউটারে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা। রং-তুলির বদলে শিশুরা এখন কম্পিউটারে ছবি আঁকতে ভালোবাসে। তেমনই একজন মগবাজার গার্লস হাইস্কুলের খোদেজা অ্যানি। তৃতীয় শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী মেলায় এসে অংশ নিয়েছে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায়। মনের মাধুরী মিশিয়ে সে রং করছে কম্পিউটারে আঁকা গাছ আর ঘরে।
বাচ্চাদের মেলায় আনতেই এমন একটি আয়োজন আয়োজকদের। শেষ দিন পর্যন্ত এতে অংশ নিতে পারবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ৬ থেকে ১০ বছর এবং ১১ থেকে ১৪ বছর—এই দুই শাখায় ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা চলছে মেলায়, যার ওপর তারা পাবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
আছে কুইজ পর্ব ও সেলিব্রিটি আড্ডা
প্রতিদিন মেলায় থাকছে কুইজ পর্ব। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি বা সাধারণ জ্ঞানের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নিতে পারেন পুরস্কার। কুইজে পুরস্কার জেতা আওলাদ হোসন বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। ডিজিটাল মেলায় এসে একটি পেনড্রাইভ জিতেছি। এমন আয়োজন বছরের বিভিন্ন সময়ে করা যেতে পারে। এতে করে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।’
সেলিব্রিটি আড্ডায় প্রতিদিন অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন জগতের তারকারা। গান বা আলোচনায় মুখর করে তুলছেন মেলার প্রাঙ্গণ। দর্শকও নিজেদের প্রিয় শিল্পীকে কাছে পেয়ে ছুটে যাচ্ছে অটোগ্রাফ নিতে বা অনুরোধের গান শুনতে।
একনজরে মেলা
তথ্যপ্রযুক্তির এই মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মোট ৯০টি স্টল ও ১৫টি প্যাভিলিয়ন আছে এখানে। এই মেলা শেষ হবে আগামীকাল। মেলায় প্রবেশে টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলেএ মেলা।
মেলার আহ্বায়ক শাহিদ-উল মনির বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর এমন আয়োজনের চেষ্টা করি। সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তিপণ্য পরিচিত করতেই এই আয়োজন। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করা। নিজেদের জীবন আরও উন্নত করতে সবারই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করা উচিত।’
No comments