পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৬ মামলার অনুমোদন- একটি ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা জালিয়াতি
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকা নেয়ার ঘটনায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক ২৬টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই দিন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কর্মকর্তাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলার অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন ৩১টি মামলা বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, হলমার্ক গ্রুপের কায়দায় আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠানের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাত করে। এর মধ্যে ফান্ডেড সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ২৬টি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরপর মামলা দায়ের হবে।টি এ্যান্ড ব্রাদার্স, প্যারাগন নিট এ্যান্ড কম্পোজিট, খানজাহান আলী সোয়েটার, নকশি নিট কম্পোজিট এবং ডিএন স্পোর্টসÑ এই ৫টি প্রতিষ্ঠান প্রায় হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করে। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এর মধ্যে রয়েছেন টি এ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান জিনাত ফাতেমা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাওহীদ হাসান এবং পরিচালক তসলিম হাসান। প্যারাগন নিট এ্যান্ড কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল হাসান রাজা এবং দুই পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এসএম মনিরুজ্জামান। নকশি নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল মালেক ও চেয়ারম্যান আমেনা বেগম। খানজাহান সোয়েটারের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম মোল্লা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল জলিল শেখ এবং প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক মীর মোঃ শওকত আলী ও রফিকুল ইসলাম। আর ডিএন স্পোটর্সেরও তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এর মধ্যে ফান্ডেড প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা রয়েছে। এ টাকার বিপরীতে ২৬টি মামলার অনুমোদ দেয়া হয়। বাকি ফান্ডেড টাকার অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে ওইসব টাকা আত্মসাতের ঘটনাও আইনী পদক্ষেপ নেবে দুদক।
এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এদিন ৫টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। মামলার আসামিরা হলেন, কক্সবাজার বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী, ট্রাক মালিক হারুন-অর-রশিদ বাহাদুর, আলহাজ নুরুল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ, সাজাহান খান এবং নাসির উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি আমদানি ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সরকারের ৩০ লাখ ১৪ হাজার ৩৮০ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আগামি সপ্তাহে মামলাগুলো দায়ের করবেন।
No comments