বিচার যেন প্রহসন না হয়- ডেসটিনির দুর্নীতি
ডেসটিনির বাংলা ভাগ্য বা নিয়তি। ডেসটিনি নামধারী কোম্পানিটি গ্রাহকদের ভাগ্য বদলে দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে আহরণ করেছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা বেপাত্তা।
এত বড় আর্থিক জালিয়াতির দায়ে ডেসটিনির তিন পরিচালক আটক রয়েছেন, আর সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট পেয়েছেন শর্তসাপেক্ষ জামিন। পরিচালকদের বাকি ১৮ জন পলাতক। এদিকে আটক হওয়া ব্যক্তিদের জামিনের তোড়জোড় চলছে, মামলার বিচারসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অগ্রগতিও হতাশাজনক। আড়ালে চলে যাচ্ছে ডেসটিনির অপরাধ ও অপরাধীরা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, প্রতারণা যত বড়, তার বিচার কি ততই কঠিন? ডেসটিনি যখন দেশব্যাপী প্রতারণার জাল ছড়াচ্ছিল, তখন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সরকার ছিল নির্বিকার। যখন প্রতারণার ষোলোকলা পূর্ণ হওয়ার পথে, যখন বেশির ভাগ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে, তখন দুদক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে। কিন্তু বিচার নিয়ে চলছে শুভংকরের ফাঁকি। এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকও ফলপ্রসূ হয়নি। কেউই সন্তোষজনক পদক্ষেপের প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ: বিদেশে অর্থ পাচার, হুন্ডি ব্যবসা, অবৈধ ব্যাংকিং, জঙ্গিদের অর্থায়ন, ভুয়া বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও অর্থ আত্মসাৎ। এগুলো গুরুতর অপরাধ। তাহলেও ডেসটিনির ১৮ জন নিখোঁজ কর্মকর্তাকে আটকে ব্যর্থতা, তদন্তকাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন না করা, সরকারি সংস্থাগুলোর অসহযোগিতায় দুদকের মামলাটি প্রহসনে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে যেসব পদক্ষেপ নিতে বলেছিল, সেগুলোও পালিত হয়নি। সরকারের যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়কে (রেজসকো) বলা হয়েছিল ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন বাতিল করতে। অথচ তারা এমএলএম পদ্ধতির অন্য ৩১ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করলেও ডেসটিনির তবিয়ত বহালই রয়েছে। ব্যাংক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দায় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের, তারা সেটাও করেনি। প্রতারণার দায়ে পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে, এনবিআরকে বলা হয়েছিল ডেসটিনির ২৭টি কোম্পানির রাজস্ব ফাঁকির বিহিত করতে, সমবায় অধিদপ্তরকে বলা হয়েছিল সমবায় আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেরও করণীয় ছিল। কিন্তু কেউই দৃষ্টিগোচর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এসব থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীতি কাদের প্রশ্রয়ে হয় এবং কারা ক্ষমতার বর্ম দিয়ে সেই দুর্নীতিকে আইনের আওতার বাইরে রেখে দেয়।
সরকারের হাতে রয়েছে একটি বছর। ইতিমধ্যে প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে হাওয়া বুঝে পাল তোলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ রকম অবস্থায় গুরুতর আর্থিক অপরাধের প্রতিকারে শিথিলতা বিচারহীনতারই নামান্তর। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের কাছে এটা মোটেই প্রত্যাশিত নয়। যে প্রতিষ্ঠানটি হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করে সরকার কি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার দায় নেবে?
প্রশ্ন উঠতে পারে, প্রতারণা যত বড়, তার বিচার কি ততই কঠিন? ডেসটিনি যখন দেশব্যাপী প্রতারণার জাল ছড়াচ্ছিল, তখন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সরকার ছিল নির্বিকার। যখন প্রতারণার ষোলোকলা পূর্ণ হওয়ার পথে, যখন বেশির ভাগ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে, তখন দুদক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে। কিন্তু বিচার নিয়ে চলছে শুভংকরের ফাঁকি। এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকও ফলপ্রসূ হয়নি। কেউই সন্তোষজনক পদক্ষেপের প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ: বিদেশে অর্থ পাচার, হুন্ডি ব্যবসা, অবৈধ ব্যাংকিং, জঙ্গিদের অর্থায়ন, ভুয়া বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও অর্থ আত্মসাৎ। এগুলো গুরুতর অপরাধ। তাহলেও ডেসটিনির ১৮ জন নিখোঁজ কর্মকর্তাকে আটকে ব্যর্থতা, তদন্তকাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন না করা, সরকারি সংস্থাগুলোর অসহযোগিতায় দুদকের মামলাটি প্রহসনে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে যেসব পদক্ষেপ নিতে বলেছিল, সেগুলোও পালিত হয়নি। সরকারের যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়কে (রেজসকো) বলা হয়েছিল ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন বাতিল করতে। অথচ তারা এমএলএম পদ্ধতির অন্য ৩১ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করলেও ডেসটিনির তবিয়ত বহালই রয়েছে। ব্যাংক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দায় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের, তারা সেটাও করেনি। প্রতারণার দায়ে পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে, এনবিআরকে বলা হয়েছিল ডেসটিনির ২৭টি কোম্পানির রাজস্ব ফাঁকির বিহিত করতে, সমবায় অধিদপ্তরকে বলা হয়েছিল সমবায় আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেরও করণীয় ছিল। কিন্তু কেউই দৃষ্টিগোচর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এসব থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীতি কাদের প্রশ্রয়ে হয় এবং কারা ক্ষমতার বর্ম দিয়ে সেই দুর্নীতিকে আইনের আওতার বাইরে রেখে দেয়।
সরকারের হাতে রয়েছে একটি বছর। ইতিমধ্যে প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে হাওয়া বুঝে পাল তোলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ রকম অবস্থায় গুরুতর আর্থিক অপরাধের প্রতিকারে শিথিলতা বিচারহীনতারই নামান্তর। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের কাছে এটা মোটেই প্রত্যাশিত নয়। যে প্রতিষ্ঠানটি হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করে সরকার কি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার দায় নেবে?
No comments