হাফেজ মাওলানা ওমরের সংক্ষিপ্ত জীবনী by শাহীন হাসনাত
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল, সদর সাহেবখ্যাত আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরীর (রহ.) বড় ছেলে হাফেজ মাওলানা ওমর আহমদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। দুই মেয়ের জনক মাওলানা ওমর মা, স্ত্রী, এক ভাই, তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী, ভক্ত-শিষ্য রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে ঢাকাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তার মৃত্যুতে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। হাফেজ ওমর আহমদের ছোট ভাই ও গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রুহুল আমিন পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর পোস্তগোলার একটি ওয়াজ মাহফিল শেষে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি গত দু'দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বুধবার সকালে চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন।
মাওলানা ওমর আহমদ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে 'পীর সাহেব' হুজুর নামে খ্যাত ছিলেন। সদর সাহেব হুজুরের রেখে যাওয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন। ওয়ায়েজ হিসেবে তিনি বেশ প্রসিদ্ধ ছিলেন। লেখালেখিতেও তিনি সরব ছিলেন। ইসলামবিরোধী বিভিন্ন অপতৎপরতায় তিনি প্রতিবাদী জনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। হাফেজ ওমর আহমদ ১৯৫০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার গওহরডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার কারী আবদুস সামাদের কাছে। এরপর সেখান থেকেই তিনি বরেণ্য শিক্ষক হাফেজ আবদুল হকের (রহ.) কাছে হিফ্জ শেষ করেন। হিফ্জ শেষ করার পর তিনি তার পিতা হজরত সদর সাহেবের (রহ.) কাছে বিভিন্ন কিতাব পড়েন। এরই ফাঁকে তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার বামুডাঙ্গা হাই স্কুল থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সদর সাহেব (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় জামাতে শরহে বেকায়া পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান গমন করেন। পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে ১৯৮৩ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পাকিস্তানে অবস্থানকালে তিনি শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। তার ব্যাপক উদ্যোগের ফলে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে বেশ কয়েকটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হাফেজ ওমর আহমদ (রহ.) ছাত্র অবস্থায়ই আত্মশুদ্ধির মানসে উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ আরেফবিল্লাহ শাহ হাকিম মুহাম্মদ আখতারের সঙ্গে ইসলাহী সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তার কাছ থেকেই বায়াতের অনুমতি লাভ করেন। হাফেজ ওমর আহমদ (রহ.) দীর্ঘদিন হজরত সদর সাহেব প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন বাংলাদেশ খাদেমুল ইসলাম জামায়াতের আমির ছিলেন। মৃত্যু অবধি তিনি এ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকার জামিয়া রাহমানিয়ার পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গতকাল বাদ জোহর গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে তার পিতার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন। আমীন।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর পোস্তগোলার একটি ওয়াজ মাহফিল শেষে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি গত দু'দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বুধবার সকালে চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন।
মাওলানা ওমর আহমদ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে 'পীর সাহেব' হুজুর নামে খ্যাত ছিলেন। সদর সাহেব হুজুরের রেখে যাওয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন। ওয়ায়েজ হিসেবে তিনি বেশ প্রসিদ্ধ ছিলেন। লেখালেখিতেও তিনি সরব ছিলেন। ইসলামবিরোধী বিভিন্ন অপতৎপরতায় তিনি প্রতিবাদী জনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। হাফেজ ওমর আহমদ ১৯৫০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার গওহরডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার কারী আবদুস সামাদের কাছে। এরপর সেখান থেকেই তিনি বরেণ্য শিক্ষক হাফেজ আবদুল হকের (রহ.) কাছে হিফ্জ শেষ করেন। হিফ্জ শেষ করার পর তিনি তার পিতা হজরত সদর সাহেবের (রহ.) কাছে বিভিন্ন কিতাব পড়েন। এরই ফাঁকে তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার বামুডাঙ্গা হাই স্কুল থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সদর সাহেব (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় জামাতে শরহে বেকায়া পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান গমন করেন। পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে ১৯৮৩ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পাকিস্তানে অবস্থানকালে তিনি শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। তার ব্যাপক উদ্যোগের ফলে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে বেশ কয়েকটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হাফেজ ওমর আহমদ (রহ.) ছাত্র অবস্থায়ই আত্মশুদ্ধির মানসে উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ আরেফবিল্লাহ শাহ হাকিম মুহাম্মদ আখতারের সঙ্গে ইসলাহী সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তার কাছ থেকেই বায়াতের অনুমতি লাভ করেন। হাফেজ ওমর আহমদ (রহ.) দীর্ঘদিন হজরত সদর সাহেব প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন বাংলাদেশ খাদেমুল ইসলাম জামায়াতের আমির ছিলেন। মৃত্যু অবধি তিনি এ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকার জামিয়া রাহমানিয়ার পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গতকাল বাদ জোহর গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে তার পিতার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন। আমীন।
No comments