কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড- তিন বছরে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণ by গাজীউল হক
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার বেড়েছে সামান্য। এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে।
আর পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে। বরাবরের মতো এবারও শহরের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি বিদ্যালয়গুলো ভালো করেছে।
এবার ৪১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। শূন্য ভাগ পাসের হার কোনো বিদ্যালয়ে নেই। তবে তিন বছরের মধ্যে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফল বিবরণী থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কুণ্ডু গোপীদাস বলেছেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বিত উদ্যোগেই কাঙ্ক্ষিত ফল হয়েছে। সার্বিক ফলাফলে আমি খুশি।’
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে এক লাখ ৮৯ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ৩২৮ জন। পাসের হার শতকরা ৯১ দশমিক ৮৬। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৩ ও মেয়েদের ৯০ দশমিক ৬২। পাসের হারের দিক দিয়ে মেয়েরা ছেলেদের থেকে পিছিয়ে আছে শতকরা ২ দশমিক ৯১ ভাগ।
কায়সার আহমেদ জানান, এ বছর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছেলে এক হাজার ৭৭৩ ও মেয়ে এক হাজার ৯৯০ জন। অর্থাৎ মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ২১৭টি জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।
তিন বছরে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণ: এ বোর্ডে ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬২৪ জন। ২০১১ সালে দুই হাজার ৩৯৬। এবার পেয়েছে তিন হাজার ৭৬৩ জন। তিন বছরের মধ্যে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণেরও বেশি। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মমিনুল হক চৌধুরী জানান, খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রদর্শন ও পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের প্রশ্নোত্তর সমাধান করে দেওয়ার কারণে এত বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে শিক্ষার মান নিচে নেমে গেছে। এসব শিক্ষার্থী পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যা পাবে, তাকে তাই দেওয়া উচিত।
সবেধন নীলমণি: কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের একটি বিদ্যালয় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় বোর্ডের মধ্যে ১৬তম হয়েছে। এই বিদ্যালয় থেকে ২২২ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘শহরের নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের বিদ্যালয় ভালো ফল করেছে। এ অর্জন পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির।’ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক সোমেশ কর চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, পড়াশোনার প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা বেড়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও ক্লাসমুখী হওয়ায় ফল ভালো হয়েছে।
এবার ৪১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। শূন্য ভাগ পাসের হার কোনো বিদ্যালয়ে নেই। তবে তিন বছরের মধ্যে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফল বিবরণী থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কুণ্ডু গোপীদাস বলেছেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বিত উদ্যোগেই কাঙ্ক্ষিত ফল হয়েছে। সার্বিক ফলাফলে আমি খুশি।’
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে এক লাখ ৮৯ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ৩২৮ জন। পাসের হার শতকরা ৯১ দশমিক ৮৬। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৩ ও মেয়েদের ৯০ দশমিক ৬২। পাসের হারের দিক দিয়ে মেয়েরা ছেলেদের থেকে পিছিয়ে আছে শতকরা ২ দশমিক ৯১ ভাগ।
কায়সার আহমেদ জানান, এ বছর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছেলে এক হাজার ৭৭৩ ও মেয়ে এক হাজার ৯৯০ জন। অর্থাৎ মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ২১৭টি জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।
তিন বছরে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণ: এ বোর্ডে ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬২৪ জন। ২০১১ সালে দুই হাজার ৩৯৬। এবার পেয়েছে তিন হাজার ৭৬৩ জন। তিন বছরের মধ্যে জিপিএ-৫ বেড়েছে ছয় গুণেরও বেশি। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মমিনুল হক চৌধুরী জানান, খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রদর্শন ও পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের প্রশ্নোত্তর সমাধান করে দেওয়ার কারণে এত বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে শিক্ষার মান নিচে নেমে গেছে। এসব শিক্ষার্থী পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যা পাবে, তাকে তাই দেওয়া উচিত।
সবেধন নীলমণি: কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের একটি বিদ্যালয় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় বোর্ডের মধ্যে ১৬তম হয়েছে। এই বিদ্যালয় থেকে ২২২ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘শহরের নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের বিদ্যালয় ভালো ফল করেছে। এ অর্জন পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির।’ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক সোমেশ কর চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, পড়াশোনার প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা বেড়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও ক্লাসমুখী হওয়ায় ফল ভালো হয়েছে।
No comments