সম্পাদক সমীপে- যেন ক্ষতি না হয়
আমাদের দেশে শীতকালে কিছু ভিনদেশী পাখির আগমন ঘটে। দেখতে ও চলাফেরায় অনেকটা দেশী হাঁসের মতোই। এরা শীতের শুরুতে আসে, আবার শীতের শেষ হলেই নিজ দেশে ফিরে যায়।
হাড়গিলা, বালিহাঁস, বাটুল, চোখাচোখি, গগণভেদ প্রভৃতি নামের এই ভিনদেশী পাখিগুলোই অতিথি পাখি নামে পরিচিত। শীতের কয়েক মাসের জন্য আসে বলে আমরা এদের অতিথি পাখি বলি। অতিথি পাখির বাস মূলত শীত প্রধান দেশে। শীতকালে সেসব দেশে তীব্র শীত বিরাজ করে। নদী ও খাল বিলের ঠা-া পানি জমে বরফে পরিণত হয়। তুষার ঝড়ে পথঘাট ঢেকে যায়। এ সময় এদের খাদ্যাভাবসহ বসবাস এতটাই অনুপযোগী হয়ে উঠে যে, প্রাণে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যায়। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা এসব পাখি তাই জীবন বাঁচানোর তাগিদেই কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে আসে আমাদের দেশে। নাতিশীতোষ্ণ হিসাবে আমাদের দেশের বিল-ঝিল, হাওড়-বাঁওড়ের মুক্ত আকাশে ঘুরে ফিরে খাবার খাওয়া ও চলাফেরা করা এরা পছন্দ করে। বলা চলে, এ জন্যই প্রতিবছর আমাদের দেশে এদের আগমন।আসলে পাখি যে শুধু আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তা নয়। পাখি প্রকৃতির অলঙ্কার। এই সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব।
সোহরাব, আয়েশ, সিংড়া, নাটোর।
No comments