জিপিএ-৫ পেয়েও কাঁদছে মাহমুদা by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
মাহমুদা আক্তার বৃষ্টি। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই সাফল্যে সবাই আনন্দ করলেও তার চোখে পানি। সে কাঁদছে। বলছে, ‘খালি বাবার কথা মনে পড়ছে, মায়ের কথা মনে পড়ছে।’
মাহমুদার বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চার বছর আগে মারা গেছেন। দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে সংসার চালাতেন মা। ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে মাহমুদাদের বাড়ি। তার বাবার নাম মোজাহার আলী। মায়ের নাম আমেনা খাতুন। দুই বোনের মধ্যে মাহমুদা বড়। চারঘাটের বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সে পরীক্ষা দিয়েছে।
ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েন আমেনা খাতুন। কাজের সন্ধানে যান বাবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে। কিন্তু সেখানে একটি চক্রের প্ররোচনায় পড়ে ফেনসিডিলসহ ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ কারাগারে আছেন তিনি।
সাইফুল জানান, এ ঘটনার পর নানি ফিকি বেওয়ার (৬৫) কাছেই থাকতে শুরু করে মাহমুদা ও তার বোন। নানি সারা দিন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান। নাতনির ভালো ফলের কথা শুনে ফিকি বেওয়াও কাঁদছেন। তিনি বলেন, ‘এই বেটিকে হামি এখন কী করে পড়হাব?’ বনকিশোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হেনা বলেন, পড়াশোনায় ভালো দেখে তিনি সারা বছর মাহমুদার প্রতি নজর রেখেছেন, পড়িয়েছেন।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে মাহমুদাদের বাড়ি। তার বাবার নাম মোজাহার আলী। মায়ের নাম আমেনা খাতুন। দুই বোনের মধ্যে মাহমুদা বড়। চারঘাটের বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সে পরীক্ষা দিয়েছে।
ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েন আমেনা খাতুন। কাজের সন্ধানে যান বাবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে। কিন্তু সেখানে একটি চক্রের প্ররোচনায় পড়ে ফেনসিডিলসহ ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ কারাগারে আছেন তিনি।
সাইফুল জানান, এ ঘটনার পর নানি ফিকি বেওয়ার (৬৫) কাছেই থাকতে শুরু করে মাহমুদা ও তার বোন। নানি সারা দিন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান। নাতনির ভালো ফলের কথা শুনে ফিকি বেওয়াও কাঁদছেন। তিনি বলেন, ‘এই বেটিকে হামি এখন কী করে পড়হাব?’ বনকিশোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হেনা বলেন, পড়াশোনায় ভালো দেখে তিনি সারা বছর মাহমুদার প্রতি নজর রেখেছেন, পড়িয়েছেন।
No comments