অল্পস্বল্প -‘আরও ভালো করতে হবে’
যে প্রত্যাশা নিয়ে বছর শুরু করেছিলেন, শেষটা তেমন করতে পারলেন না। ঠাসা সূচিতে একরকম ক্লান্তই হয়ে পড়েছেন।
পারফরম্যান্সের প্রতিফলন এশিয়ার অর্ডার অব মেরিটেও। ছিটকে পড়েছেন সেরা ১০ থেকে। বছর শেষে নিজের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করলেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান দেশে ফিরলেন কবে?
সিদ্দিকুর রহমান: ভারতের জীব মিলখা সিং টুর্নামেন্ট খেলে আজ (কাল) সকালে দেশে ফিরেছি।
বছরটা কেমন কাটল?
সিদ্দিকুর: ইউরোপিয়ান ট্যুরে কোয়ালিফাই করার আশা ছিল এবার। সেটা করতে পারিনি। তবে এশিয়ান ট্যুরে খেললাম। সব মিলিয়ে ভালোই কেটেছে। যদিও বছরের শেষ দিকটা মনের মতো হয়নি। আমাকে আরও ভালো করতে হবে।
আপনার পিঠে ব্যথা ছিল। সেটার কী অবস্থা এখন?
সিদ্দিকুর: এখন বেশ সুস্থ। তবে ব্যথাটা বেশ ভুগিয়েছে। এটার জন্য এ বছর কয়েকটা টুর্নামেন্ট খেলতেই পারিনি।
সিঙ্গাপুরে তো এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন?
সিদ্দিকুর: হ্যাঁ। ওখানে যে চিকিৎসককে দেখিয়েছিলাম উনি আমাকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। আর বেশ কিছু এক্সারসাইজ দিয়েছেন, সেগুলো করছি নিয়মিত। এখন কোনো সমস্যা নেই।
যেমন ঠাসা সূচি থাকে আপনার, তাতে চাইলেও কি বিশ্রাম নিতে পারবেন?
সিদ্দিকুর: ঠিকই বলেছেন। এবার পর পর অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছি। বেশ ব্যস্ত সময় গেছে। তবে সামনের বছর চেষ্টা করব বিশ্রাম নিতে।
আগামী বছরের জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা আছে?
সিদ্দিকুর: এ বছর যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো যাতে আর না হয় সেই চেষ্টা থাকবে। আসলে এ পর্যায়ে ফাইন টিউনিং করা দরকার। দরকার একজন ভালো কোচ।
কোনো কোচ কি নিয়োগ দিয়েছেন?
সিদ্দিকুর: ভাবছি, একজন মনোবিদ নিয়োগ করব। গলফটা মানসিক খেলা। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে এক কোচের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে যে কোচের সঙ্গে কাজ করেছি ওনার সঙ্গেও দেখা করব। আগামী দু-তিন সপ্তাহ দেশে থাকব। এরপর ট্রেনিংয়ের জন্য আবারও দেশের বাইরে যাব।
গত বছর এশিয়ার অর্ডার অব মেরিটে অষ্টম ছিলেন। এবার ১৭-তে নেমে গেলেন। এমন অবনমন কি ভাবতে পেরেছিলেন?
সিদ্দিকুর: এতটা অবনমন হবে ভাবিনি। আগামী বছর থেকে আবার নতুন করে শুরু হবে গ্রেডিং। আমিও নতুন করে শুরু করব।
এ বছর তো টাইগার উডস, রয় ম্যাকইলরয়দের সঙ্গে খেলেছেন। অভিজ্ঞতা তো ভালোই হলো?
সিদ্দিকুর: আসলে ভালো খেলার সুবাদেই ওদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার একটা বড় পাওয়া। যেটা না খেললে বোঝা যায় না। এটা সারা জীবনের জন্য বিশাল অভিজ্ঞতা। ওদের সঙ্গে খেলা আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে।
বিশ্বের কোন দেশে খেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
সিদ্দিকুর: আমার জন্য ইউরোপে খেলা কঠিন। ওখানকার আবহাওয়া একটা বড় সমস্যা। এখন এশিয়ায় টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়ছে। প্রাইজমানিও বাড়ছে। সমস্যা আসলে অন্যখানে।
কোথায় সমস্যা হচ্ছে?
সিদ্দিকুর: প্রধান সমস্যা ভিসা-জটিলতা। এর কারণে যেমন এ বছর অনেক টুর্নামেন্ট খেলতে পারিনি। তার ওপর প্রতিবছর আমার একটা করে পাসপোর্ট লাগে। আমাকে এখন নতুন পাসপোর্ট বানাতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের ভিসা নিতে হবে।
এ সমস্যা এড়ানোর উপায় কী?
সিদ্দিকুর: আমি জানি না কী উপায়। তবে সরকার চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। যেমন: থাইল্যান্ডের একজন খেলোয়াড়কে যাকে সে দেশের সরকার ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট দিয়েছে। আমি বলছি না যে আমাকে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট দিতে হবে। তবে সরকার যদি সহজ কোনো উপায় করে দেয়, ভালো হয়। ...আমাকে তো মোটামুটি সবাই চেনে।
No comments