মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে ভাষণ- জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার বিলাওয়ালের
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে। মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পা রাখলেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
বেনজিরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিন্ধু প্রদেশের নাওদেরার কাছে গারহি খোদা বকসে গতকাল দুই লাখের বেশি মানুষ সমবেত হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পরে সমাবেশে তিনি বক্তৃতা করেন।
সমাবেশে বিলাওয়াল গণতন্ত্র রক্ষায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা আরও উজ্জ্বল হতে থাকবে। বেনজির-তনয় বলেন, ‘এই দেশে দুই ধরনের ক্ষমতা আছে। একদিকে স্বৈরশাসন অন্যদিকে জনগণের ক্ষমতা। একদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে আছি। অন্যদিকে এমন ব্যক্তি আছে, যাদের নাম নিতে মানুষ ভয় পায়।’
বিলাওয়াল বলেন, ‘গারহি খোদা বকসে আজ আমি শহীদদের সঙ্গে আছি। আমি আমার মা ও নানার সঙ্গে আছি। জুলফিকার আলী ভুট্টো ও বেনজির ভুট্টো আজও আমাদের হূদয়ে জীবন্ত হয়ে আছেন।’
ভুট্টো পরিবারের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বিলাওয়ালের প্রতীকী গুরুত্ব অনেক। ভুট্টো পরিবারের মুখপাত্র আইজাজ দুররানি বলেন, বিলাওয়ালের রাজনৈতিক জীবেনর প্রথম বক্তৃতা ছিল গারহি খোদা বকসে। তাঁর মধ্য দিয়ে নতুন ভুট্টোর আবির্ভাব হচ্ছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
পাকিস্তানের ১১তম এবং মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকতবাগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন। গত পাঁচ বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। ২০১০ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করা যেত।
বেনজিরকে হত্যার সময় বিলাওয়ালের বয়স ছিল ১৯ বছর। তখন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান করা হয় তাঁকে। এখন তাঁর বয়স ২৪। ২৫ বছরে পা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সমাবেশ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া আধা সামরিক বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্যও মাঠে ছিলেন। এএফপি ও ডন।
সমাবেশে বিলাওয়াল গণতন্ত্র রক্ষায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা আরও উজ্জ্বল হতে থাকবে। বেনজির-তনয় বলেন, ‘এই দেশে দুই ধরনের ক্ষমতা আছে। একদিকে স্বৈরশাসন অন্যদিকে জনগণের ক্ষমতা। একদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে আছি। অন্যদিকে এমন ব্যক্তি আছে, যাদের নাম নিতে মানুষ ভয় পায়।’
বিলাওয়াল বলেন, ‘গারহি খোদা বকসে আজ আমি শহীদদের সঙ্গে আছি। আমি আমার মা ও নানার সঙ্গে আছি। জুলফিকার আলী ভুট্টো ও বেনজির ভুট্টো আজও আমাদের হূদয়ে জীবন্ত হয়ে আছেন।’
ভুট্টো পরিবারের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বিলাওয়ালের প্রতীকী গুরুত্ব অনেক। ভুট্টো পরিবারের মুখপাত্র আইজাজ দুররানি বলেন, বিলাওয়ালের রাজনৈতিক জীবেনর প্রথম বক্তৃতা ছিল গারহি খোদা বকসে। তাঁর মধ্য দিয়ে নতুন ভুট্টোর আবির্ভাব হচ্ছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
পাকিস্তানের ১১তম এবং মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকতবাগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন। গত পাঁচ বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। ২০১০ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করা যেত।
বেনজিরকে হত্যার সময় বিলাওয়ালের বয়স ছিল ১৯ বছর। তখন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান করা হয় তাঁকে। এখন তাঁর বয়স ২৪। ২৫ বছরে পা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সমাবেশ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া আধা সামরিক বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্যও মাঠে ছিলেন। এএফপি ও ডন।
No comments