সেচে বিদ্যুত সংযোগ ফের উন্মুক্ত
শর্তসাপেক্ষে সেচের জন্য বিদ্যুত সংযোগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যুত বিভাগের সেচের প্রস্তুতিসংক্রান্ত বৈঠকে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ইতোপূর্বে যাঁরা ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছেন তাঁদের সকলকে সেচের সংযোগ দেয়া হবে।
তবে এখন যাঁরা আবেদন করবেন তাঁদের আবেদন যাচাইবাছাই করে বিতরণ কোম্পানিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুত সচিব মনোয়ার ইসলাম, পিডিবি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর, বিপিসি চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান ছাড়াও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আরইবির তরফ থেকে তাদের বিতরণ এলাকায় ২৭ হাজার ২৭৭টি সেচের বিদ্যুত সংযোগের আবেদন জমা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, কারিগরি দিক বিবেচনা করে যেখানে সংযোগ দেয়া সম্ভব, সেখানেই নতুন সংযোগ দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে। তবে এর মধ্যে যেসব আবেদন জমা পড়েছে এবং ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হয়েছে তাদের এই সংযোগ দেয়া হবে। নতুন করে এখন কেউ আবেদন করলে তাদের আপাতত সংযোগ না দিয়ে আবেদন যাচাইবাছাই করে প্রতিবেদন দিতে হবে। উল্লেখ্য, গত সেচ মৌসুমের পর সেচে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ ছিল।
সেচের জন্য এখন পর্যন্ত সারাদেশে ২৭ হাজার ৩২৯টি আবেদন জমা রয়েছে। এর জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুত প্রয়োজন ১২৭ মেগাওয়াট। তবে আরইবির এক হাজার ৫০০ ফিডার ওভারলোডে চলছে। এসব ফিডারে বিদ্যুত সংযোগ দিতে পারবে না আরইবি।
বৈঠক সূত্র জানায়, এবার সেচ মৌসুমে এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। পেট্রোবাংলার তরফ থেকে বলা হয়েছে, সেচে বিদ্যুত উৎপাদনে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস দিতে পারলেও তারা এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দিতে পারবে না।
পিডিবি বৈঠকে জানিয়েছে, সেচে তেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রর ওপর তাদের বেশি নির্ভর করতে হবে। এজন্য এখন দৈনিক ১০ কোটি টাকার তেল লাগলেও সেচ মৌসুম পুরোদমে শুরু হলে দৈনিক তেল লাগবে ৩০ কোটি টাকার।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, এবার জানুয়ারি ২০১৩তে জ্বালানি তেল লাগবে তিন দশমিক ৫০ লাখ টন, ফেব্রুয়ারিতে লাগবে তিন দশমিক ১৫ লাখ টন এবং মার্চে প্রয়োজন হবে তিন দশমিক ২৫ লাখ টন। এছাড়া সেচ মৌসুমের ডিসেম্বর, এপ্রিল এবং মে মাসে জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে দুই দশমিক ৭৫ লাখ টন।
এবার শুধু সেচে বিদ্যুত চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট। এর বাইরে আরও চাহিদা রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট।
No comments