জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- পানির পাম্পের নামে ভৌতিক বিল
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচ শতাধিক আবাসিক গ্রাহককে পানির পাম্পের (মোটর) জামানতের নামে ভৌতিক বিল দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে জামানতের ওই টাকা যোগ করা হয়েছে।
এমনকি যাঁর বাসায় পানির পাম্প নেই, তাঁর নামেও জামানতের বিল দেওয়া হয়েছে।
পৌর সদরের ব্যবসায়ী বজলুর রশিদ কবিরাজ বলেন, ‘ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে গ্রাহকদের টাকা দিতে হয়। পানির পাম্প চালানোর জন্য যে পরিমাণ বিদ্যুতের ইউনিট ব্যবহার করি, সেই পরিমাণ বিল দিচ্ছি। তাহলে পানির পাম্পের জন্য জামানত দিব কেন? এটি ভৌতিক বিল।’ উপজেলার কানুপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাসায় পানির পাম্প নেই, অথচ পাম্পের জন্য সমিতি এক হাজার টাকার বিল দিয়েছে।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নুরুল ইসলাম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেসব আবাসিক গ্রাহকের বাসায় পানির পাম্প আছে, শুধু তাঁদেরই আমরা এক হাজার টাকার জামানতের অতিরিক্ত বিল দিয়েছি। সমীক্ষা চূড়ান্ত হওয়ার আগে বিল দেওয়ায় ভুলে পানির পাম্প নেই এমন গ্রাহককেও জামানতের বিল দেওয়া হয়েছে। এ রকম অনেক গ্রাহকই সমিতির অফিসে এসে সমস্যা সমাধান করে নিচ্ছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার আবাসিক গ্রাহক তাঁদের বাসাবাড়িতে পানির পাম্প ব্যবহার করছেন। এসব গ্রাহককে এক হাজার টাকা করে জামানত দিতে হবে। প্রথম পর্যায়ে পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের ডিসেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে জামানতের টাকা যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের জানুয়ারি মাসের বিলের সঙ্গে জামানতের টাকা যুক্ত করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতিরিক্ত টাকা যোগ করায় অধিকাংশ গ্রাহকই ডিসেম্বর মাসের বিল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে এই উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের সংযোগ স্থাপন করে। এর আগে থেকেই অনেকের বাসায় পানির পাম্প ছিল। পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ার পর থেকে তাঁরা যে পরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেছেন, তার বিল দিয়ে আসছেন। হঠাৎ করেই তাঁদের ডিসেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে ‘পানির পাম্পের জন্য জামানত’ কথা হাতে লিখে এক হাজার টাকা যুক্ত করা হয়েছে।
পৌর সদরের পুরাতন বাজার মহল্লার বাসিন্দা ইসরাফিল হোসেন জানান, ১৫ বছর ধরে তাঁর বাসায় পানির পাম্প আছে। হঠাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাঁর ডিসেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে পানির পাম্পের জন্য এক হাজার টাকা জামানতের বিল দিয়েছে। মূল বিলের সঙ্গে জামানতের টাকা যুক্ত থাকায় তিনি বিল দিতে পারছেন না।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় আমি বিষয়টি নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, নির্দেশনা থাকায় পানির পাম্পের জন্য গ্রাহকদের এক হাজার টাকার জামানত দিতে হবে।’
পৌর সদরের ব্যবসায়ী বজলুর রশিদ কবিরাজ বলেন, ‘ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে গ্রাহকদের টাকা দিতে হয়। পানির পাম্প চালানোর জন্য যে পরিমাণ বিদ্যুতের ইউনিট ব্যবহার করি, সেই পরিমাণ বিল দিচ্ছি। তাহলে পানির পাম্পের জন্য জামানত দিব কেন? এটি ভৌতিক বিল।’ উপজেলার কানুপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাসায় পানির পাম্প নেই, অথচ পাম্পের জন্য সমিতি এক হাজার টাকার বিল দিয়েছে।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নুরুল ইসলাম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেসব আবাসিক গ্রাহকের বাসায় পানির পাম্প আছে, শুধু তাঁদেরই আমরা এক হাজার টাকার জামানতের অতিরিক্ত বিল দিয়েছি। সমীক্ষা চূড়ান্ত হওয়ার আগে বিল দেওয়ায় ভুলে পানির পাম্প নেই এমন গ্রাহককেও জামানতের বিল দেওয়া হয়েছে। এ রকম অনেক গ্রাহকই সমিতির অফিসে এসে সমস্যা সমাধান করে নিচ্ছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার আবাসিক গ্রাহক তাঁদের বাসাবাড়িতে পানির পাম্প ব্যবহার করছেন। এসব গ্রাহককে এক হাজার টাকা করে জামানত দিতে হবে। প্রথম পর্যায়ে পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের ডিসেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে জামানতের টাকা যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের জানুয়ারি মাসের বিলের সঙ্গে জামানতের টাকা যুক্ত করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতিরিক্ত টাকা যোগ করায় অধিকাংশ গ্রাহকই ডিসেম্বর মাসের বিল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে এই উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের সংযোগ স্থাপন করে। এর আগে থেকেই অনেকের বাসায় পানির পাম্প ছিল। পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ার পর থেকে তাঁরা যে পরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেছেন, তার বিল দিয়ে আসছেন। হঠাৎ করেই তাঁদের ডিসেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে ‘পানির পাম্পের জন্য জামানত’ কথা হাতে লিখে এক হাজার টাকা যুক্ত করা হয়েছে।
পৌর সদরের পুরাতন বাজার মহল্লার বাসিন্দা ইসরাফিল হোসেন জানান, ১৫ বছর ধরে তাঁর বাসায় পানির পাম্প আছে। হঠাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাঁর ডিসেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে পানির পাম্পের জন্য এক হাজার টাকা জামানতের বিল দিয়েছে। মূল বিলের সঙ্গে জামানতের টাকা যুক্ত থাকায় তিনি বিল দিতে পারছেন না।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় আমি বিষয়টি নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, নির্দেশনা থাকায় পানির পাম্পের জন্য গ্রাহকদের এক হাজার টাকার জামানত দিতে হবে।’
No comments