সিলেটে ওসিসহ আওয়ামী লীগের ৩৫৬ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা-রিক্সাচালক জাকির হত্যা

সিলেটের বিশ্বনাথে বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের আন্দোলন চলাকালীন সংঘর্ষে রিক্সাচালক জাকির নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ থানায় আওয়ামী লীগের ৩৫৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত জাকিরের মা রহিমা বেগম দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য়


আদালতে হাজির হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ মোয়াজ্জেম হোছাইন এজাহার গ্রহণ করে তদন্তে সত্যতা পেলে মামলা রেকর্ডের জন্য বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে রহিমা বেগম বলেন, তাঁর ছেলে রিক্সাচালক জাকির উপজেলা শ্রমিক দলের একজন কর্মী ছিল। গত ১৭ এপ্রিল এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনা শুনে সে খুব মর্মাহত হয়। এর প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী সংগঠিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্বনাথের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে এসব কর্মসূচীতে সে অংশ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা নিজান, আলতাব মিজান, কবিরসহ অন্য আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হরতালবিরোধী জঙ্গী মিছিল করে। অকথ্য স্লোগান দিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসির বাসার সামনে গিয়ে তারা সমবেত হয়। ওইদিন রাত ২টা পর্যন্ত পুলিশসহ আসামিরা গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় ২৩ এপ্রিল বিশ্বনাথে হরতাল করতে দেয়া হবে না। হরতালে বাধা দিতে গিয়ে লাশ পড়লেও তারা পিছ পা হবে না।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ নিজেদের ও আসামিদের রক্ষা করতে বিশ্বনাথ উপজেলার নিরীহ লোকজনকে আসামি করে মামলা করে।
মামলায় আসামিদের কয়েকজন হলো- বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, ওসি (তদন্ত) চাঁন মিয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল, দেব দুলাল, এনাম ও মনোজ কান্তি। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিনকে। এছাড়া আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজম্মিল আলী ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি বাবুল আখতার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব আলী।

No comments

Powered by Blogger.