পবিত্র কোরআনের আলো-হজরত ঈসা মাসিহকে (আ.) পিতার মাধ্যম ছাড়াই জন্ম দেওয়া হয়েছিল
৪৭. ক্বা-লাত্ রাবি্ব আন্না- ইয়াকূনু লী ওয়ালাদুন ওয়া লামইয়ামছাছ্নী বাশারুন। ক্বা-লা কাযা-লিকাল্লা-হু ইয়াখ্লুক্বু মা-ঁইয়াশা-; ইযা- ক্বাদ্বা- আমরান ফাইন্নামা- ইয়াক্বূলু লাহূ কুন ফাইয়াকূন।৪৮. ওয়া ইউআ'লি্লমুহুল কিতা-বা ওয়ালহিক্মাতা ওয়াত্তাওরা-তা ওয়ালইনজীল।
৪৯. ওয়ারাসুলান ইলা-বানী ইছরা-ঈলা আন্নী ক্বাদ জি'তুকুম বিআ-ইয়াতিম্ মিঁর্ রাবি্বকুম আন্নী আখ্লুক্বু লাকুম্ মিনাত্ ত্বীনি কাহাইআতিত্ ত্বাইরি ফানফুখু ফীহি ফাইয়াকূনু ত্বাইরাম্ বিইযনিল্লাহি্; ওয়াউব্রিউল আক্মাহা ওয়ালআব্রাসু ওয়াউহ্য়িল মাওতা- বিইয্নিল্লাহি; ওয়াউনাবি্বউকুম বিমা- তা'কুলূনা ওয়ামা-তাদ্দাখিরূনা ফী বুইঊতিকুম; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতান লাকুম ইন কুনতুম মু'মিনীন। [সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৭-৪৯]
অনুবাদ : ৪৮. মারইয়াম (আ.) বললেন, হে প্রভু! আমার গর্ভে সন্তান আসবে কিভাবে? আমাকে তো কখনো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি। আল্লাহ তায়ালা বললেন, এভাবেই আল্লাহ যাকে চান (স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রমভাবেই) তাকে জন্ম দেন। তিনি যখন কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তখন শুধু বলেন, 'হও', অতঃপর তা হয়ে যায়।
৪৮. আর আল্লাহ তাকে শিক্ষা দেবেন কিতাব ও প্রজ্ঞা এবং তাওরাত ও ইনজিল।
৪৯. আল্লাহ তাকে বনি ইসরাইলের কাছে রাসুল করে পাঠালেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি তোমাদের কাছে এসেছি তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে কিছু নিদর্শন নিয়ে। (উদাহরণস্বরূপ) আমি মাটি দিয়ে পাখির মতো করে বানাব এবং পরে তাতে ফুঁ দেব, এরপর এটি জীবন্ত পাখি হয়ে উড়ে যাবে, আর আমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীদেরও সুস্থ করে দেব, আল্লাহর ইচ্ছায় আমি মৃতকেও জীবিত করে দেব, আমি তোমাদের আরো বলে দেব, তোমরা তোমাদের ঘরে কী কী জিনিস খাও এবং কী কী জিনিস জমা করে রাখো। তোমরা যদি আল্লাহর ওপর ইমান আনো তবে নিঃসন্দেহে এতে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোও আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় একই কাহিনীর বর্ণনা এসেছে। ইমরান বিনতে মারইয়াম (আ.)-কে যখন ফেরেশতা এসে ঈসা মাসিহের জন্মের খবর দিলেন, তখন মারইয়াম জবাব দিলেন, আমাকে তো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি, অর্থাৎ বৈধ বা অবৈধভাবে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম হয়নি। তবে আমার সন্তান হবে কীভাবে?
এটাই স্বাভাবিক যুক্তি। মারইয়াম জানতে চেয়েছিলেন সন্তান জন্মদানের জন্য তাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা হবে না কি এমনিতেই সন্তান হবে? উত্তরে আল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্তান এমনিতেই হবে। যে প্রক্রিয়ায় আল্লাহ 'কুন' বা 'হয়ে যাও' বলে তাঁর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেই সব কিছু হয়ে যায়। সেই প্রক্রিয়ায় পিতা ছাড়া মায়ের গর্ভে তিনি সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম। আর এর ফলে আল্লাহর কার্যকারণ নিয়মেরও কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। আল্লাহর সৃষ্টি জগৎ কার্যকারণ নিয়মেই চলে। এখানে কারণ হিসেবে পিতার অস্তিত্ব ছাড়াই মাতৃগর্ভে সন্তানের জন্ম_দৃশ্যত কারণের অনুপস্থিতি দেখা গেলেও প্রকৃত অর্থে কার্যকারণ নিয়ম অনুপস্থিত নয়। আল্লাহ তায়ালা ঈসা ইবনে মারইয়ামকে পিতার মাধ্যম ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন_এটা সম্ভব। আর এর সত্যতার অনুসর্গ হলো তাঁকে কিতাব ও প্রজ্ঞা দান করা। তাওরাত ও ইনজিলের জ্ঞান তাঁর মাধ্যমে মানুষকে দান করা। এ ছাড়া আরো অনেক নিদর্শন আল্লাহ তাঁকে দান করেছেন। আল্লাহ তাঁকে মোজেজা দান করেছেন।
৪৯ নম্বর আয়াতে ঈসা মাসিহ (আ.)-কে দেওয়া কিছু মোজেজার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। মাটি দিয়ে ছোট পাখির আকৃতি বানিয়ে একে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া, জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে হাতের স্পর্শ দিয়ে আরোগ্যলাভ করিয়ে দেওয়া, আল্লাহর ইচ্ছায় মৃতকে সাময়িকভাবে জীবিত করে দেওয়া। লোকেরা তাদের ঘরে কী খায় এবং কী জমিয়ে রাখে তা বলে দেওয়া ইত্যাদি মোজেজা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৪৮. মারইয়াম (আ.) বললেন, হে প্রভু! আমার গর্ভে সন্তান আসবে কিভাবে? আমাকে তো কখনো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি। আল্লাহ তায়ালা বললেন, এভাবেই আল্লাহ যাকে চান (স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রমভাবেই) তাকে জন্ম দেন। তিনি যখন কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তখন শুধু বলেন, 'হও', অতঃপর তা হয়ে যায়।
৪৮. আর আল্লাহ তাকে শিক্ষা দেবেন কিতাব ও প্রজ্ঞা এবং তাওরাত ও ইনজিল।
৪৯. আল্লাহ তাকে বনি ইসরাইলের কাছে রাসুল করে পাঠালেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি তোমাদের কাছে এসেছি তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে কিছু নিদর্শন নিয়ে। (উদাহরণস্বরূপ) আমি মাটি দিয়ে পাখির মতো করে বানাব এবং পরে তাতে ফুঁ দেব, এরপর এটি জীবন্ত পাখি হয়ে উড়ে যাবে, আর আমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীদেরও সুস্থ করে দেব, আল্লাহর ইচ্ছায় আমি মৃতকেও জীবিত করে দেব, আমি তোমাদের আরো বলে দেব, তোমরা তোমাদের ঘরে কী কী জিনিস খাও এবং কী কী জিনিস জমা করে রাখো। তোমরা যদি আল্লাহর ওপর ইমান আনো তবে নিঃসন্দেহে এতে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোও আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় একই কাহিনীর বর্ণনা এসেছে। ইমরান বিনতে মারইয়াম (আ.)-কে যখন ফেরেশতা এসে ঈসা মাসিহের জন্মের খবর দিলেন, তখন মারইয়াম জবাব দিলেন, আমাকে তো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি, অর্থাৎ বৈধ বা অবৈধভাবে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম হয়নি। তবে আমার সন্তান হবে কীভাবে?
এটাই স্বাভাবিক যুক্তি। মারইয়াম জানতে চেয়েছিলেন সন্তান জন্মদানের জন্য তাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা হবে না কি এমনিতেই সন্তান হবে? উত্তরে আল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্তান এমনিতেই হবে। যে প্রক্রিয়ায় আল্লাহ 'কুন' বা 'হয়ে যাও' বলে তাঁর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেই সব কিছু হয়ে যায়। সেই প্রক্রিয়ায় পিতা ছাড়া মায়ের গর্ভে তিনি সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম। আর এর ফলে আল্লাহর কার্যকারণ নিয়মেরও কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। আল্লাহর সৃষ্টি জগৎ কার্যকারণ নিয়মেই চলে। এখানে কারণ হিসেবে পিতার অস্তিত্ব ছাড়াই মাতৃগর্ভে সন্তানের জন্ম_দৃশ্যত কারণের অনুপস্থিতি দেখা গেলেও প্রকৃত অর্থে কার্যকারণ নিয়ম অনুপস্থিত নয়। আল্লাহ তায়ালা ঈসা ইবনে মারইয়ামকে পিতার মাধ্যম ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন_এটা সম্ভব। আর এর সত্যতার অনুসর্গ হলো তাঁকে কিতাব ও প্রজ্ঞা দান করা। তাওরাত ও ইনজিলের জ্ঞান তাঁর মাধ্যমে মানুষকে দান করা। এ ছাড়া আরো অনেক নিদর্শন আল্লাহ তাঁকে দান করেছেন। আল্লাহ তাঁকে মোজেজা দান করেছেন।
৪৯ নম্বর আয়াতে ঈসা মাসিহ (আ.)-কে দেওয়া কিছু মোজেজার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। মাটি দিয়ে ছোট পাখির আকৃতি বানিয়ে একে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া, জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে হাতের স্পর্শ দিয়ে আরোগ্যলাভ করিয়ে দেওয়া, আল্লাহর ইচ্ছায় মৃতকে সাময়িকভাবে জীবিত করে দেওয়া। লোকেরা তাদের ঘরে কী খায় এবং কী জমিয়ে রাখে তা বলে দেওয়া ইত্যাদি মোজেজা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments