ভাস্কর রশিদকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিন-ভারতের কারাগারে আট বছর
আমাদের সরকার কি দেশের নাগরিকদের ব্যাপারে কোনোই দায়দায়িত্ব অনুভব করে না? বা করলেও সেটা খুবই দায়সারা। বাংলাদেশের একজন ভাস্কর ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন আট বছর ধরে, অথচ সরকার দেশের এই সম্মানিত নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০০৪ সালে পুত্রবধূকে নিয়ে আজমির শরিফ যাওয়ার উদ্দেশে ভাস্কর রশিদ আহমেদ দিল্লির এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে বাগিবতণ্ডা হয় বলে জানা গেছে। যার ফলাফল হিসেবে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, জাল টাকা বহন করার অভিযোগে এরপর দুজনকেই আটক করা হয়। সেই থেকে তাঁরা দুজন আটকে আছেন ভারতের তিহার জেলে। রশিদ আহমেদ একজন শিল্পী; কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্করটি তাঁর করা। তিনি জাল টাকা বহন করবেন—এটা বিশ্বাস করা কঠিন। কোনো ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি বা পরিস্থিতির শিকার হলেও এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এরপর তিনি তাঁর পুত্রবধূসহ আট বছর ভারতের জেলে আটক থাকবেন, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
প্রতিটি দেশ ও তার সরকার নাগরিকের প্রতি এক ধরনের দায় অনুভব করে। ভিন্ন কোনো দেশে আটকা পড়লে নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ ধরনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা বলতে যা বোঝায়, তা আমাদের সরকারগুলো করে না। ভারতের সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আবার সবার নজরে এসেছে। আগামী ২০ জুলাই তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাঁর মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। রশিদ আহমেদের বয়স এখন প্রায় ৭৭। শারীরিক অবস্থাও খুব ভালো নয় বলে জানিয়েছেন তাঁর কন্যা। আমরা আশা করব, সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয়ে রশিদ আহমেদ ও তাঁর পুত্রবধূকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে। একজন শিল্পী তো বটেই, দেশের সাধারণ নাগরিকও বিদেশে বিপদে পড়লে তাঁর জন্য সরকারের কিছু করণীয় আছে।
প্রতিটি দেশ ও তার সরকার নাগরিকের প্রতি এক ধরনের দায় অনুভব করে। ভিন্ন কোনো দেশে আটকা পড়লে নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ ধরনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা বলতে যা বোঝায়, তা আমাদের সরকারগুলো করে না। ভারতের সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আবার সবার নজরে এসেছে। আগামী ২০ জুলাই তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাঁর মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। রশিদ আহমেদের বয়স এখন প্রায় ৭৭। শারীরিক অবস্থাও খুব ভালো নয় বলে জানিয়েছেন তাঁর কন্যা। আমরা আশা করব, সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয়ে রশিদ আহমেদ ও তাঁর পুত্রবধূকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে। একজন শিল্পী তো বটেই, দেশের সাধারণ নাগরিকও বিদেশে বিপদে পড়লে তাঁর জন্য সরকারের কিছু করণীয় আছে।
No comments