কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা-দুই নারী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ক্যামেরা ট্রায়ালের অনুমতি
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দুই নারী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’-এর অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। যা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম ক্যামেরা ট্রায়াল।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, এ দুই সাক্ষী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন যৌন নির্যাতন ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে চান। কিন্তু তাঁরা পরিচয় উন্মুক্ত করতে চান না। সাক্ষীদের মর্যাদা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ট্রাইব্যুনাল ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন মঞ্জুর করছেন।
আদেশে আরও বলা হয়, এই সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসে বিচারকগণ এবং রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের তিনজন করে নির্বাচিত আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। আসামিকেও হাজির করা হবে। তবে এজলাসে কোনো সাংবাদিক ও দর্শনার্থী থাকতে পারবেন না। ক্যামেরা ট্রায়ালে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা সাক্ষীদের পরিচয় বা সাক্ষ্যের বিষয়বস্তু উন্মুক্ত করতে পারবেন না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ১০(৪) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ এই ক্যামেরা ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী বলেন, এই দুই নারী সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্য। তাঁরা পরিচয় গোপন রেখে সাক্ষ্য দিতে চান।
আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক এই আবেদনের বিরোধিতা করেননি।
শহীদুল হককে জেরা শেষ: এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক ওরফে মামাকে গতকাল জেরা শেষ করে আসামিপক্ষ। জেরায় আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক মত (সাজেশন) দেন, কাদের মোল্লা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। এ সময় শহীদুল হক বলেন, এটি সত্য নয়।
শহীদুল গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন।
আদেশে আরও বলা হয়, এই সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসে বিচারকগণ এবং রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের তিনজন করে নির্বাচিত আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। আসামিকেও হাজির করা হবে। তবে এজলাসে কোনো সাংবাদিক ও দর্শনার্থী থাকতে পারবেন না। ক্যামেরা ট্রায়ালে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা সাক্ষীদের পরিচয় বা সাক্ষ্যের বিষয়বস্তু উন্মুক্ত করতে পারবেন না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ১০(৪) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ এই ক্যামেরা ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী বলেন, এই দুই নারী সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্য। তাঁরা পরিচয় গোপন রেখে সাক্ষ্য দিতে চান।
আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক এই আবেদনের বিরোধিতা করেননি।
শহীদুল হককে জেরা শেষ: এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক ওরফে মামাকে গতকাল জেরা শেষ করে আসামিপক্ষ। জেরায় আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক মত (সাজেশন) দেন, কাদের মোল্লা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। এ সময় শহীদুল হক বলেন, এটি সত্য নয়।
শহীদুল গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন।
No comments