ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং গণগ্রন্থাগার মিছবাহ্ উদ্দিন

বর্তমান যুগ তথ্যের যুগ। বিগত শতাব্দীর শেষভাগে এটা উন্নত বিশ্ব সহজেই বুঝেছিল। এ অনুধাবনটুকু একটা উন্নয়নশীল দেশকেও কতটুকু উন্নতির পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে তার বিস্ময়কর প্রতিফলন মালয়েশিয়া। যে দেশটি তাদের ক্রান্তিকাল অতিক্রমে সে পথে এগিয়েছিল।


যেমন ১৯৯১ সালে সে দেশের তৎকালীন নেতা ড. মাহাথির মোহাম্মদ ঘোষণা করেছলেন যে, ২০২০ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। কিন্তু তার পরবর্তী দশকে শিল্পযুগীয় উন্নতির চিন্তা তথ্যযুগে অচল এটা বুঝতে পেরে তাঁর দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় ‘কহড়ষিবফমব নধংবফ ংড়পরবঃু’ গড়ে তোলার দিকে। তাঁর এ পরিকল্পনা মালয়েশিয়াকে উন্নত দেশের শোভাযাত্রার অগ্রভাগে স্থান করে দেয়।
আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় চারযুগ আসন্ন। যখন আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি তখন উন্নত দেশগুলো তাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘসময় পার করেও আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দেশকে গড়ে তুলতে পারিনি। কোন রাজনৈতিক দলই বা যাঁরা ক্ষমতায় ছিল তাঁরা কেউই এ ধরনের ঠরংরড়হ জাতির সামনে তুলে ধরেনি। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বর্তমান সরকারই এবার প্রথম ‘ঠরংরড়হ-২০২১’ সেøাগান নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করে জাতিকে উদ্বেলিত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এ প্রত্যয়ে ২০২১ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। প্রায় একযুগ বাকি। সময় বেশি না হলেও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সদিচ্ছা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা সম্ভব। কেননা মালয়েশিয়া এক্ষেত্রে আমাদের পাথেয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া হচ্ছে একটি ঠরংরড়হ অর্থাৎ সরকারের প্রথাগত কাজের পদ্ধতির বদলে ডিজিটাল ব্যবস্থা স্থাপন। এ ঠরংরড়হ-প্তঞ ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হলে যুগপৎভাবে বিভিন্ন সেক্টরকে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। যেমনÑভূমিব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, কৃষিব্যবস্থা, শিল্প ও বাণিজ্যব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ইত্যাদি এবং আমাদের দেশের আলোকে সবচেয়ে যে বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশকে ডিজিটালাইজড করতে হলে কহড়ষিবফমব নধংবফ ংড়পরবঃু গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আমার আজকের বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতায় বাংলাদেশে শিক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির’ ঘোষণায় মানুষের এই আবাস গৃহ পৃথিবীকে আগামী দশকের মধ্যে ‘ডিজিটাল প্লান্ট’ এ রূপান্তরিত করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বাংলাদেশও এ প্রত্যয়ের সাথে যুক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য বিভিন্ন সেক্টরকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটালাইজড করতে হবে যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে এবং তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে। এ প্রসঙ্গে আমাদের দেশের শিক্ষা হারের একটি চিত্র তুলে ধরা হলো। ইঅঘইঊওঝ কর্তৃক ২০০৭ সালের ঢ়ড়পশবঃ ইড়ড়শ ড়হ ঊফঁপধঃরড়হধষ ঝঃধঃরংঃরপং রিপোর্টে প্রকাশিত।
খরঃবৎধপু ৎধঃব (৭+) : ইড়ঃয ংবী-৪৫.৩ গধষব-৪৯.৬
ঋবসধষব-৪০.৬ (পবহংঁং ২০০১)
খরঃবৎধপু ৎধঃব (৭+) : ইড়ঃয ংবী-৬১.৩ গধষব-৬৫.৯
ঋবসধষব-৫৬.৫ (পড়সঢ়ষবঃবফ ধঃ ষবধংঃ ষংঃ
মৎধফব ধহফ ষরঃবৎধপু ৎধঃব)
খরঃবৎধপু ৎধঃব (১৫+) : ইড়ঃয ংবী-৫০.৫ গধষব-৫৩.৯
ঋবসধষব-৪০.৮ (পবহংঁং ২০০১)
কহড়ষিবফমব নধংবফ ংড়পরবঃু-র আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ শিক্ষার হার এক ধরনের অন্তরায় নিঃসন্দেহে।
অবশ্যই অস্বীকার করার উপায় নেই যে এ হার স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সমন¦য়ে গঠিত। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে কতটুকু কাজে লাগানো যাবে এমনকি যারা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তাদেরও কত অংশ তথ্যপ্রযুক্তি কার্যক্রমে কেমন কার্যকর থাকবে সে প্রশ্নটা থেকেই যায়। আমরা জানি জ্ঞান প্রকৃত ঘটনা বা সত্যের সাথে পরিচিত হবার অবস্থা বা শর্ত। পাঠগত পড়াশুনার কারণে সকল শিক্ষিত লোকের জ্ঞানের একটা অবস্থান অর্জিত হয়। এজন্য সাধারণত বলা যায় সকল শিক্ষিত লোকই জ্ঞানী। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বর্তমান যে বাস্তবতা তা হলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শিক্ষা লাভ করে সামাজিকতার তাগিদে, পারিবারিক তাগিদে এবং নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করার একটা প্রত্যয় নিয়ে। এতে প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের যে একটা চিন্তা-চেতনা তা লক্ষ্য হিসেবে থাকে না। অবশ্য যে কিছু জনগোষ্ঠীর মধ্যে থাকে তা খুব উল্লেখযোগ্য বলা যাবে না। ফলে দেখা যায় যে কিছু ব্যক্তি শিক্ষা গ্রহণ করে মৌলিক দক্ষতা অর্জনের পর আর জ্ঞান অর্জনের পথে এগুতে চায় না। কথাটি এ জন্যই বলা যে জ্ঞানের প্রতি শাখার ওপর প্রতিনিয়ত গবেষণা হচ্ছে। আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান। আর জ্ঞান অর্জনের জন্য ওহপৎবসবহঃধষ কহড়ষিবফমব বলে একটি কথা আছে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের প্রবৃদ্ধি। এটি জেনে জ্ঞানকে পরিপূর্ণ বা সমৃদ্ধ করতে হবে। আর এটাই তথ্য। আর এ জন্যই যারা জ্ঞান অর্জন করবে অর্থাৎ শিক্ষা গ্রহণ করবে শুরু থেকেই সে শিক্ষা হতে হবে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর। ঠরংরড়হ-২০২১ কে টার্গেট ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন যা ২০২১ সালের মধ্যে সকল স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থান পাবে। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তিকে মজবুত করার জন্যই করতে হবে। কেননা বর্তমানে আমাদের দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নয়। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অন্যান্য সকল বিষয়ের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শতভাগ শিক্ষিত জাতি গড়ার কোন বিকল্প নেই। তা না করে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি শুধু ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করা হয় তাতে সাময়িক চমক সৃষ্টি বা উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা সুদূরপ্রসারী চিন্তা চেতনায় স্থায়িত্ব লাভ করবে না। বিষয়টি এমন হবে যেন ভিত্তি স্থাপন না করে বা দুর্বল ভিত্তির ওপর বহুতল ভবন তৈরির মতো অবস্থা যা এক সময় ভেঙ্গে পড়েত বাধ্য। এজন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতিকে সত্যিকারভাবে শিক্ষিত করতে হলে শিক্ষার জন্য পদ্ধতিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা হলো গ্রন্থাগার।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শিক্ষাব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নে তখন শিক্ষার হার ছিল মাত্র ৩৩%। ১৯২০ সাল থেকে ১৯৩৩ সালের মধ্যে সে দেশে শিক্ষার হার ৯০ ভাগে উন্নীত হয়েছিল একমাত্র সে দেশের লেনিনগ্রাদ লাইব্রেরীর কল্যাণে। শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের ভূমিকার এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তেমনি বলা যায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগেও উন্নত দেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে কহড়ষিবফমব নধংবফ ংড়পরবঃু গড়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক গ্রন্থগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এ ক্ষেত্রে গণগ্রন্থাগারের ভূমিকা আরও বেশি কার্যকর ও যুগোপযোগী। বলা হয়ে থাকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে পৃথিবীতে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন গণগ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থাগার ও জাতীয় এসেম্বলি লাইব্রেরি পরিদর্শনের জন্য ৫ (পাঁচ) সদস্যবিশিষ্ট সরকারী প্রতিনিধি দলের প্রোগ্রামে আমারও একজন সদস্য হিসেবে অংশ নেয়ার সুযোগ হয়েছিল। আধুনিক সে দেশটির গণগ্রন্থাগারগুলো বিশেষ করেতাদের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের গড়ে তোলার জন্য কিভাবে ভূমিকা পালন করছে তা অনুসরণ করলে আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য কার্যকর হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রোপলিটন সিটি সিউল পঁচিশটি ‘গু’ বা ওয়ার্ডে বিভক্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে গণগ্রন্থাগার রয়েছে। আমরা সিউলের তিনটি গণগ্রন্থাগার (চঁনষরপ খরনধৎধৎু) সরকারীভাবে পরিদর্শন করেছিলাম। ১. ঘড়ড়িহ উরমরঃধষ চঁনষরপ খরনৎধৎু, ২. উড়হমফঁবসবহ-মঁ-উরমরঃধষ খরনৎধৎু এবং ৩. খবব ঔরহধয গবসড়ৎরধষ খরনৎধৎু। প্রত্যেকটি গণগ্রন্থাগার ডিজিটালাইজড এবং পাশাপাশি সনাতন পদ্ধতিতেও গ্রন্থাগার সেবা কার্যক্রম প্রদান করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর উপায়ে জ্ঞান বিতরণের সুব্যবস্থা প্রত্যেকটি গ্রন্থাগারে বিদ্যমান। শিক্ষিত পাঠকদের জন্য গণগ্রন্থাগারগুলোর সেøাগান হচ্ছেÑ জবধফ, পযধষষবহমব, নব ঈযধহমবফ যা সে দেশের নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করে। এসব গণগ্রন্থাগারে যে বিষয়ট উল্লেখযোগ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ তা হলো ভবিষ্যত প্রজন্ম অর্থাৎ শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা গ্রহণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। যেসব শিশু পদ্ধতিগত শিক্ষা গ্রহণে স্কুলে গমন করেছে এবং যেসব শিশু এখনও স্কুলে যায়নি তাদের আনন্দ অনুভূতির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা আগ্রহী করে তোলা। যেমন ঊ-ষবধৎহং, ইধহধহধ পড়ড়শরহম ঊহমষরংয, গঁংরপঢ়ড়ঃ, ঊ-সঁংরপ ঊহমষরংয, ইধহধহধ অৎঃ ঊহমষরংয, ঝঃড়ৎু ঃবষষরহম ইত্যাদি। তাছাড়াও শিশুদের মানসিক সুকুমারবৃত্তিকে সুষ্ঠু বিকাশের জন্য গ্রন্থাগারগুলোতে রয়েছে চধৎবহঃ ঊভভবপঃরাবহবংং ঞৎধরহরহম, ইধফু ধহফ গড়ঃযবৎ ঈধৎব ংবপঃরড়হ। শিশুদের উপযুক্ত ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গণগ্রন্থাগারগুলোই যেন এ দেশের কার্যকর প্রতিষ্ঠান। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে গণগ্রন্থাগারগুলো ইলেকট্রনিক উপায়ে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের জন্যই শুধু উদ্বুদ্ধ করছে না। মানবিক বিকাশেও সহায়তা দান করছে। শিশুরা অনুধাবন করতে পারছে যে, জ্ঞানলাভের জন্য শিক্ষা নির্দিষ্ট একটা স্তর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয় বরং জ্ঞান অর্জন শিক্ষিত গোষ্ঠীর জন্য সারা জীবনের একটি অবিরত প্রক্রিয়া।
জ্ঞানভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ একটি জাতি গঠনে গণগ্রন্থাগারের উল্লিখিত ভূমিকা ও কার্যক্রম আমাদের দেশে কোন পর্যায়ে তা সহজেই অনুমেয়। পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষিত জাতি গঠনে আমাদের দেশের গণগ্রন্থাগার সেবার মান অবকাঠামো, কার্যক্রম সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে গ্রন্থাগার সেবার ক্ষেত্রে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার কার্যক্রম সারাদেশে অর্থাৎ অন্তত প্রতি জেলায় রয়েছে। যেহেতু বলা হয়, ‘গণগ্রন্থাগার জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’ সেহেতু জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গণগ্রন্থাগার সেবা ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি গণগ্রন্থাগার সেবা কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে একই ধারায় জেলা থেকে উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঠরংরড়হ-২০২১-কে সামনে রেখেই বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ পরিণত হতে পারে পূর্ণাঙ্গ একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে।

No comments

Powered by Blogger.