জরিপের ফলাফল প্রকাশ-রেকর্ডসংখ্যক নারী নামছেন কংগ্রেসের লড়াইয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নির্বাচনে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। আগামী নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়া এখনো শেষ না হলেও মনোনয়নের জন্য যে পরিমাণ আবেদন পড়েছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, এত বেশিসংখ্যক নারী এর আগে কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি।
পার্লামেন্টে নারীদের প্রতিনিধিত্ব উৎসাহী করতে '২০১২ প্রজেক্ট' নামের একটি প্রকল্প চালু করা হয় দেশটিতে। ওই ২০১২ প্রজেক্ট ও নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আমেরিকান উইমেন অ্যান্ড পলিটিকস (সিএডাবি্লউপি) জরিপটি চালায়।
জরিপে দেখা যায়, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত ২৯৫ জন নারী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী আগস্টে আরো এক দফা আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের এ নির্বাচনে ২৬২ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার সর্বোচ্চসংখ্যক নারী শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দৌড়ে জয়লাভ করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে জরিপে। এতে দেখা যায়, দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাইমারিতে এরই মধ্যে ১১৩ জন নারী জয়লাভ করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ ১৪১ জন নারী প্রাইমারিতে জয় পান।
তবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন দৌড়ে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অসমতাও লক্ষ করা গেছে। ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন চেয়েছেন ১৮৫ জন আর রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন অনেক কম, ১১০ জন। এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাট দল ৮৫ জনের এবং রিপাবলিকানরা ২৮ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে।
সিএডাবি্লউপির পরিচালক ডেবি ওয়ালশ নারীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এ বিষয়টিকে উৎসাহজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, যদি এ ধারা চলতে থাকে তবে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে আসা নারীদের সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী পার্লামেন্টে ২০ শতাংশ আসন নারীদের দখলে থাকবে। বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে ১৭ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। ওয়ালশ জানান, সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে রাজনীতিতে ভারসাম্যহীনতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, 'বছরটি যদি ডেমোক্র্যাটদের জন্য ভালো যায় তবে বলা যায় সেটা নারীদের জন্যও ভালো। কংগ্রেসে নারীদের অংশ ৫০ হলে সেটা অবশ্যই সুখের সংবাদ। তবে হুট করে এক বছরেই আমরা ১৭ থেকে লাফিয়ে ৫০-এ উঠতে পারব না।'
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের হিসাবমতে, পার্লামেন্টে নারীদের প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৭৮তম। এ ব্যাপারে তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বের ৯৫টি দেশ। পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরো বেশিসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতেই মূলত ২০১২ প্রকল্প চালু করা হয়।
ওয়ালশ জানান, প্রার্থিতা বাছাইয়ের লড়াই প্রাইমারিতে জয়লাভ এবং পরে কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের সাফল্য অনেক বেশি। এই দলের বর্তমান আইনপ্রণেতাদের ৩১ শতাংশ নারী। অন্যদিকে রিপাবলিকান সদস্যদের ১৭ শতাংশ নারী।
এ ব্যাপারে ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব উইমেনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট বোন গ্রাবেনহোফার জানান, কংগ্রেসের অনেক নারী সদস্যের আসন পরিবর্তন ও অবসর নেওয়ার কারণে অনেকের সামনেই নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ার পেছনে কারণ কী_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থ। নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে অর্থ সব সময়ই উৎসাহ জোগায়।'
সূত্র : গার্ডিয়ান।
জরিপে দেখা যায়, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত ২৯৫ জন নারী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী আগস্টে আরো এক দফা আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের এ নির্বাচনে ২৬২ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার সর্বোচ্চসংখ্যক নারী শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দৌড়ে জয়লাভ করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে জরিপে। এতে দেখা যায়, দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাইমারিতে এরই মধ্যে ১১৩ জন নারী জয়লাভ করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ ১৪১ জন নারী প্রাইমারিতে জয় পান।
তবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন দৌড়ে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অসমতাও লক্ষ করা গেছে। ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন চেয়েছেন ১৮৫ জন আর রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন অনেক কম, ১১০ জন। এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাট দল ৮৫ জনের এবং রিপাবলিকানরা ২৮ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে।
সিএডাবি্লউপির পরিচালক ডেবি ওয়ালশ নারীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এ বিষয়টিকে উৎসাহজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, যদি এ ধারা চলতে থাকে তবে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে আসা নারীদের সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী পার্লামেন্টে ২০ শতাংশ আসন নারীদের দখলে থাকবে। বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে ১৭ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। ওয়ালশ জানান, সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে রাজনীতিতে ভারসাম্যহীনতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, 'বছরটি যদি ডেমোক্র্যাটদের জন্য ভালো যায় তবে বলা যায় সেটা নারীদের জন্যও ভালো। কংগ্রেসে নারীদের অংশ ৫০ হলে সেটা অবশ্যই সুখের সংবাদ। তবে হুট করে এক বছরেই আমরা ১৭ থেকে লাফিয়ে ৫০-এ উঠতে পারব না।'
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের হিসাবমতে, পার্লামেন্টে নারীদের প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৭৮তম। এ ব্যাপারে তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বের ৯৫টি দেশ। পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরো বেশিসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতেই মূলত ২০১২ প্রকল্প চালু করা হয়।
ওয়ালশ জানান, প্রার্থিতা বাছাইয়ের লড়াই প্রাইমারিতে জয়লাভ এবং পরে কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের সাফল্য অনেক বেশি। এই দলের বর্তমান আইনপ্রণেতাদের ৩১ শতাংশ নারী। অন্যদিকে রিপাবলিকান সদস্যদের ১৭ শতাংশ নারী।
এ ব্যাপারে ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব উইমেনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট বোন গ্রাবেনহোফার জানান, কংগ্রেসের অনেক নারী সদস্যের আসন পরিবর্তন ও অবসর নেওয়ার কারণে অনেকের সামনেই নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ার পেছনে কারণ কী_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থ। নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে অর্থ সব সময়ই উৎসাহ জোগায়।'
সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments