সমস্যাগুলো দূর করার দায়িত্ব সরকারের-পরিবহন ধর্মঘট
দেশের পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তার বিহিত করা যাচ্ছে না। দেশের দুটি পরিবহন খাতে বুধবার থেকে ধর্মঘট চলছে। একটি ২৪ ঘণ্টার, অন্যটি অনির্দিষ্টকালের জন্য। এসব ধর্মঘটে নাগরিক ও জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। যেসব দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, সেসব দাবি যৌক্তিক এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এসব চাওয়া নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।
ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিগুলোর মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যে কারণে ধর্মঘট ডেকেছে বা তাদের মূল চাওয়াগুলো হচ্ছে, পণ্যবাহী যানে ডাকাতি ও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা। আর সিএনজি অটোরিকশাচালকদের মূল দাবি, পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা, মালিকদের অতিরিক্ত জমা আদায় বন্ধ ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এ দাবিগুলো শুধু যৌক্তিকই নয়, এই চাওয়াগুলো আসলে তাঁদের অধিকার। একটি পণ্যবাহী যান নিরাপদে রাস্তায় চলবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সরকার তা নিশ্চিত করতে পারছে না। নিয়মিত ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে পণ্যবাহী যান। যাদের বিষয়টি দেখার কথা, সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। একদিকে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করছে না, অর্থাৎ পণ্যবাহী যানে ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধ করতে পারছে না, অন্যদিকে নিজেরাই চাঁদাবাজি করছে।
সিএনজি অটোরিকশাচালকদের অভিযোগও পুলিশের বিরুদ্ধে। নাগরিকদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে শহরে কোনো সিএনজি সরকার-নির্ধারিত ভাড়া মেনে চলাচল করে না। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে জনগণ যাতে সরকার-নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করতে পারে, তা নিশ্চিত করা। সেটা তারা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বা করছে না। পুলিশ বাহিনীর এই ভূমিকার কারণে যাত্রী বা সিএনজি অটোরিকশাচালক দুই পক্ষই হয়রানির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে সিএনজি অটোরিকশার মালিকেরা চালকদের কাছ থেকে আদায় করছেন জমার নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি। ফলে মিটারে সিএনজি অটোরিকশা না চলা বা বেশি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নিচ্ছেন চালকেরা। বাড়তি জমা আদায়কারী মালিকদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বলা যায়, একটি দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছে পুরো বিষয়টি।
মূল সমস্যাটি হচ্ছে আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। পণ্যবাহী যানে যদি ডাকাতি অব্যাহত থাকে, সিএনজি অটোরিকশা যদি নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল না করে, মালিক যদি বেশি জমা নেন, তাতে এটাই স্পষ্ট যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করছে না। পুলিশ যখন নিয়মিত ট্রাক-বাস আটকে চাঁদা আদায় করে, সিএনজি অটোরিকশাচালকদের হয়রানি করে, তখন বোঝা যায় যে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো জবাবদিহি নেই। এর দায় পুরোটাই সরকারের। আইন কার্যকর করতে না পারার এই ব্যর্থতার মূল শিকার হচ্ছে দেশের জনগণ। এভাবে আর কত দিন! টনক বলে যদি সরকারের কিছু থেকে থাকে, তা নড়া উচিত।
সিএনজি অটোরিকশাচালকদের অভিযোগও পুলিশের বিরুদ্ধে। নাগরিকদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে শহরে কোনো সিএনজি সরকার-নির্ধারিত ভাড়া মেনে চলাচল করে না। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে জনগণ যাতে সরকার-নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করতে পারে, তা নিশ্চিত করা। সেটা তারা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বা করছে না। পুলিশ বাহিনীর এই ভূমিকার কারণে যাত্রী বা সিএনজি অটোরিকশাচালক দুই পক্ষই হয়রানির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে সিএনজি অটোরিকশার মালিকেরা চালকদের কাছ থেকে আদায় করছেন জমার নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি। ফলে মিটারে সিএনজি অটোরিকশা না চলা বা বেশি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নিচ্ছেন চালকেরা। বাড়তি জমা আদায়কারী মালিকদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বলা যায়, একটি দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছে পুরো বিষয়টি।
মূল সমস্যাটি হচ্ছে আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। পণ্যবাহী যানে যদি ডাকাতি অব্যাহত থাকে, সিএনজি অটোরিকশা যদি নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল না করে, মালিক যদি বেশি জমা নেন, তাতে এটাই স্পষ্ট যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করছে না। পুলিশ যখন নিয়মিত ট্রাক-বাস আটকে চাঁদা আদায় করে, সিএনজি অটোরিকশাচালকদের হয়রানি করে, তখন বোঝা যায় যে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো জবাবদিহি নেই। এর দায় পুরোটাই সরকারের। আইন কার্যকর করতে না পারার এই ব্যর্থতার মূল শিকার হচ্ছে দেশের জনগণ। এভাবে আর কত দিন! টনক বলে যদি সরকারের কিছু থেকে থাকে, তা নড়া উচিত।
No comments